বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
উত্তর : যে হক্ব আল্লাহ তা‘আলার নিকট পসন্দনীয় এবং যে সম্পর্কে আলেমগণ মতভেদ করেছেন তা মূলত একটিই, একাধিক নয়। বিতর্কিত বিষয়সমূহের মধ্যেও হক্ব বা সত্য একটিই হয়ে থাকে, দু’টি নয়। যে ব্যক্তি হক্বের বিরুদ্ধে যায়, সে হয়তো ইজতিহাদে ভুলের কারণে ওযরগ্রস্তÍ হবে, অথবা জেনেশুনে সত্যকে প্রত্যাখ্যানের কারণে গুনাহগার হবে। আর এই হক্বের অনেক শাখা-প্রশাখাও থাকতে পারে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ اَنَّ هٰذَا صِرَاطِیۡ مُسۡتَقِیۡمًا فَاتَّبِعُوۡہُ ۚ وَ لَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِکُمۡ عَنۡ سَبِیۡلِهِ ؕ ذٰلِکُمۡ  وَصّٰکُمۡ بِهِ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ

‘আর নিশ্চয় এটিই আমার সরল পথ। কাজেই তোমরা এর অনুসরণ কর এবং বিভিন্ন পথের অনুসরণ কর না, করলে তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তোমরা সাবধান হও’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৫৩)। অতএব হক্বের রাস্তা একটিই। পক্ষান্তরে বাতিলের রাস্তা অসংখ্য। তবে হক্বের অনেক শাখা আছে। যেমন আল্লাহ বলেছেন, وَ الَّذِیۡنَ جَاهَدُوۡا فِیۡنَا لَنَهْدِیَنَّهُمۡ سُبُلَنَا ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ لَمَعَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথসমূহে পরিচালিত করব। আর আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গেই থাকেন’ (সূরা আল-আনকাবূত : ৬৯)।

ছিরাতে মুস্তাক্বীমের অন্তর্ভুক্ত এই রাস্তাগুলো মূলত একটি রাস্তা থেকেই নির্গত হয়েছে, আর সেটিই হল কুরআন, ইসলাম এবং সুন্নাত। এর প্রকৃত ব্যাখ্যা আল্লাহ তা‘আলার এই কথার মধ্যে রয়েছে। اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ ‘আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন’ (সূরা আল-ফাতিহা : ৬)। অর্থাৎ সরল পথই হল ইসলাম, কুরআন এবং সুন্নাহ। এর এই পথটির মধ্যেই মানুষের জন্য অনেক শাখা রয়েছে। অনুরূপভাবে, আমরা যদি বলি ‘সত্য বিভিন্ন প্রকারের এবং সত্যের শাখা-প্রশাখা রয়েছে’। এর দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য হল, সত্যের শাখাগুলো একটি হক্ব বা সত্য পথের মধ্যেই শামিল আছে। মোদ্দাকথা হল, হক্ব বা সত্যের পথ একটিই, একাধিক নয় (কিতাবু শারহিল ক্বাওয়ায়িদিল মুছ্লা, ৪/৩১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : সামিঊল, কুলপাড়া, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৯) : কুরআন যেমন আল্লাহর কালাম অনুরূপ হাদীছের ক্ষেত্রে আমাদের আক্বীদা কেমন হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : মুসলিম অত্যাচারী শাসকদের আনুগত্য করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : পূর্বের সন্তান অথবা মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে গর্ভপাত করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : মাতুরিদী মতবাদের পরিচয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : করোনা ভাইরাসে যারা মারা গেছে, অল্প সংখ্যক লোক তাদের জানাযা পড়েছে। এই অবস্থায় অনুপস্থিত আত্মীয়-স্বজন কি সেই লাশের গায়েবানা জানাযা পড়তে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : চাকুরীজীবী ব্যক্তি অফিসের যাবতীয় পণ্য ক্রয় করে। কিছু পণ্য ক্রয় করার সময় দেখা যাচ্ছে পণ্যের দাম ৩০০/৪০০ টাকা, যা সব দোকানে একই দাম। কিন্তু ঐ ব্যক্তি সেই পণ্যটি ২৮০/৩৮০ টাকায় ক্রয় করতে পারে। উক্ত পণ্য ক্রয়ে যে ২০ টাকা সাশ্রয় হল, সেই টাকা কি তিনি নিজে গ্রহণ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : তিরমিযীতে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোন সন্তানহারা স্ত্রীলোককে সান্ত¡না দান করবে, তাকে জান্নাতে একটি ডোরা-কাটা কাপড় পরিধান করানো হবে’ (তিরমিযী, হা/১০৭৬)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২): নিছাব পরিমাণ হওয়ার সময় আমার কাছে সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ টাকা। বছর ফুর্তির সময় সেটা বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হয়। তাহলে কোন্ অংকটির উপর যাকাত হিসাব করতে হবে? নিছাব পরিমাণ হওয়া থেকে, না-কি বছর পুর্তি থেকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : কারো বিয়েতে যদি ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মোহর না দেয়া হয় তবে পরবর্তীতে স্ত্রীকে মোহর হিসাবে জমি বা টাকা দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪): কোন শ্রেণীর ভিক্ষুক স্বাদাক্বাহ পাওয়ার অধিক উপযুক্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : জনৈক বক্তা বলেছেন, যার নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে, তার উপর ফিতরা ওয়াজিব। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? কতটুকু খাবার থাকলে ফিতরা দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : রামাযান মাসে প্রতিদিন মসজিদে মুছল্লীদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ