উত্তর : পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তান উভয়ের জন্যই পিতা-মাতার খিদমাত করা অপরিহার্য। বিবাহের পূর্বে ও পরে সব সময়ই পিতা-মাতার অধিকার অব্যাহত থাকে। বিবাহের পরেও স্বামীর ঘর থেকে পিতা-মাতার খবরাখবর নেয়া মেয়ের দায়িত্ব। তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৭, ২৭৮২, ৫৯৭০, ৭৫৩৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৫)। এ ব্যাপারে বাধা প্রদান করা স্বামীর জন্য বৈধ নয়। মেয়ে সাবলম্বী হলে স্বেচ্ছায় পিতা-মাতাকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু স্বামীর অর্থ বা সম্পত্তি থেকে সহযোগিতা করতে হলে স্বামীর নিকট থেকে অনুমতি নেয়া অপরিহার্য। কেননা শ্বশুর-শাশূড়ীর খরচ বহন করা জামাইয়ের উপর যরূরী নয়। তবে জামাই যদি সাবলম্বী হয়, সেক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে উদারতা প্রদর্শন করা দরকার (ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-১২২১৪, ২১৭৩৭)।
অন্যদিকে যদি পিতা-মাতা কোন কারণ ছাড়াই সন্তানের উপর রাগান্বিত হন, তাহলে সন্তানের কোন গুনাহ হবে না। আল্লাহ নাখোশ হবেন না। কিন্তু সর্বদা পিতা-মাতাকে রাজি করার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া অকারণে সন্তানদের উপর বদ-দু‘আ করা জায়েয নয় (ছহীহ মুসলিম, হা/৩০০৯; ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-২৯৬০৫৩)।
প্রশ্নকারী : আহমাদ, ঢাকা।