উত্তর : যে রুমে কুরআনের মাছহাফ আছে সে রুমে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে কুরআনকে সম্মান করা ও সংরক্ষণ করা আবশ্যক। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আলেমগণ কুরআনের মাছহাফকে সংরক্ষণ করা ও সম্মান করার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে একমত পোষণ করেছেন’ (আল-মাজমূ‘, ২/৮৫)।
আলেমগণ এমন কিছু অবস্থা উল্লেখ করেছেন যেগুলোতে কুরআনের অপমান হয়। যেমন: কুরআনকে মাটিতে ফেলে রাখা কিংবা নাপাক জায়গায় ফেলে রাখা কিংবা কুরআনকে পা দিয়ে মাড়ানো কিংবা কুরআনের উপর থুথু ফেলা ... ইত্যাদি। এই অবস্থাগুলো আল্লাহর বাণীকে অপমান করার প্রমাণ বহন করে। জনৈক ব্যক্তি ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি যে বিছানায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করি সেই বিছানার উপর কুরআনের মুছহাফ রাখতে পারব? তিনি বললেন, হ্যাঁ’ (মুছান্নাফু আব্দুর রাযযাক, ২/১৭১; ইবনে আবূ দাঊদ, আল-মাছাহিফ, পৃ. ৪৪৬)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণকে প্রশ্নকারীর মাসয়ালাটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি মাসয়ালা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, ‘বেড রুমে কুরআন ঢুকানো, ঘুমানোর আগে বিছানায় কুরআন পড়া ও একটি লোহার বক্সের ভেতরে বেড রুমে কুরআন রাখা কি জায়েয? জবাবে তারা বলেন, ‘কুরআনে কারীম বেড রুমে ও বিছানার উপর পড়া জায়েয; যদি ব্যক্তি জুনুবী (সহবাস উত্তর গোসল ফরয হওয়ার অবস্থা) না হয় এবং মুছহাফ থেকে পড়াকালে ওযূ অবস্থায় থাকে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ৩/৬৭-৬৮ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : সাকিব, সাপাহার, নওগাঁ।