উত্তর : স্বাভাবিক কথা হল- মানুষের ঈমানে দুর্বলতা দেখা যায়। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘মানুষ যখন চুরি করে তখন তার মাঝে ঈমান থাকে না, যখন ছিনতায় করে তখন তার মাঝে ঈমান থাকে না। যখন ব্যভিচার করে তখনও তার মাঝে ঈমান থাকে না, মদপানের সময়ও ঈমান থাকে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৪৭৫)। ঈমান দুর্বল হওয়া বা নষ্ট হওয়ার অনেক কারণ আছে। কিন্তু ঈমানকে অবশ্যই নবায়ন করতে হয়। নয়লে ঈমানহীন অবস্থায় মৃত্যু হলে মানুষের শেষ আমলই মূল আমল হিসাবে গণ্য হবে। ঈমানকে নবায়ন করার ক্ষেত্রে সালফে সালেহীন যা উল্লেখ করেছেন তা নিম্নরূপ : ১. মহান আল্লাহকে চেনা, তাঁর ক্ষমতা, মর্যাদা, সৃষ্টিকর্ম এবং তাঁর গুণবাচক নামের মাধ্যমে (ইবনু রজব হাম্বলী, ফাযলে ইলমে সালাফ, পৃ. ৬৪-৬৫)। ২. নবীকে চেনার মাধ্যমে। তার রিসালাত, খাতমে নবুওয়াত, দায়িত্ববোধ, কুরআনিক আদর্শ এগুলোর মাধ্যমে (সূরা আল-আহযাব : ২১)। ৩. শারঈ জ্ঞান অর্জন (সূরা আল-ফাত্বির : ২৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৯৯)। ৪. মহান আল্লাহর সৃষ্টি জগৎ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা (সূরা আলে ইমরান : ১৯০; সূরা আয-যারিয়াত : ২১; সূরা ইউনুস : ১০১; দুররুল মানছুর, ২/৪০৯ পৃ.)। ৫. অর্থবুঝে কুরআন তেলাওয়াত করা (ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালেকীন, ১/৪৮৫ পৃ.)। ৬. অধিক পরিমাণ আল্লাহর যিকির করা (সূরা আর-রা‘দ : ২৮; ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৭; ইবনু তায়মিয়া, ওয়াবিলুছ ছাইয়িব, পৃ. ৬৩)। ৭. নেককার মজলিসে হাযির থাকা (সূরা আশ-শু‘আরা : ১০০-১০২; ছহীহ বুখারী, হা/৩৬৮৮)। ৮. বেশি বেশী নফল ইবাদত করা ৯. আল্লাহর কাছে ঈমান বৃদ্ধির দু‘আ করা (সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫৮৫)। ১০. সকল ধরণের পাপ থেকে নিজেকে যথাসম্ভব দূরে রাখা।
প্রশ্নকারী : শামীমা আখতার, ফরিদপুর।