উত্তর : তাহনীক্ব করা মুস্তাহাব। ‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে (নবজাতক) সন্তানদের নিয়ে আসা হত। তাদের জন্য তিনি বরকতের দু‘আ করতেন এবং খেজুর চিবিয়ে তাদের মুখে দিতেন (ছহীহ মুসলিম, হা/৫৫১২)। কেউ কেউ তাহনীক্বের বিষয়টিকে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে খাছ করেছেন। তবে অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, বাচ্চা জন্মের পর তাহনীক্ব করা মুস্তাহাব। আর এটা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে খাছ নয়। এ ব্যাপারে সালাফদের থেকে অনেক আছার বর্ণিত হয়েছে। যেমন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর শাসনামলে হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) জন্মগ্রহণ করলে তাকে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর কাছে নিয়ে আসা হয়। অতঃপর তিনি তার জন্য দু‘আ করেন এবং তাহনীক্ব করিয়ে দেন (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৯ম খণ্ড, পৃ. ৩০৩)। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, জন্মের পর বাচ্চাকে খেজুর দিয়ে তাহনীক্ব করানো মুস্তাহাব (শারহু ছহীহ মুসলিম, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ১২২)। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, তাহনীক্ব করা সুন্নাহ মুত্বলাক্বাহ (অর্থাৎ রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে খাছ নয়)। (শায়েখের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দ্রঃ)।
প্রশ্নকারী : আকমাল, কিশোরগঞ্জ।