উত্তর : উক্ত বক্তব্য বিভ্রান্তিকর। কেননা কোন মাযহাব বা ত্বরীকা মান্য করার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ নেই। আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম উম্মাকে তাঁর এবং তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا أَطِيْعُوا اللَّهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূলের আনুগত্য করো’ (সূরা আন-নিসা : ৫৯; সূরা আল-আ‘রাফ : ৩)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُوْلَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيْرًا ‘আর সুপথ প্রকাশিত হওয়ার পর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের বিপরীত পথে অনুগামী হয়, তবে সে যাতে অভিনিবিষ্ট আমি তাকে তাতেই প্রত্যাবর্তিত করবো ও তাকে জাহান্নামের নিক্ষেপ করব এবং ওটা নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তন স্থল’ (সূরা আন-নিসা : ১১৫)। এরূপভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে অসংখ্য বর্ণনা এসেছে যেখান থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তি কেবল পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসরণ করবে। অন্য কোন মাযহাব, ত্বরীকা, ইজম, রসম-রেওয়াজ ও পীর-ফকীরের অনুসরণ করবে না।