উত্তর : বিজয়ের আনন্দে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিয়াম পালন করার কোন দলীল নেই। এটা বিদ‘আতী প্রথা। নবী (ﷺ)-এর অনেক জায়গায় অনেকবার বিজয় লাভ করেছেন। বিজয় করতে গিয়ে ছাহাবায়ে কেরাম মারা গেছেন কিন্তু তাদের স্মরণে আনুষ্ঠানিকভাবে ছালাত-ছিয়াম বা এজাতীয় কোন কিছু তিনি করেননি। সুতরাং বিষয়টি শরী‘আত বহির্ভূত। মানুষের জন্য বিজয় ও মুক্তি লাভ অনেক বড় অর্জন। নবী (ﷺ)ও জীবনে এমনই বিজয় লাভ করেছিলেন। তিনি দ্বীন প্রচারের কারণে স্বজাতির কাছে নির্যাতিত হয়ে প্রিয় জন্মভূমি পবিত্র নগরী মক্কার সহায়-সম্বল, আত্মীয়-স্বজন, ধন-সম্পদ, বাড়ি-ঘর ছেড়ে হিজরত করেছিলেন মদীনা মুনাওয়ারায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘ ১০ বছর মদীনায় অবস্থান করার পর প্রিয় জন্মভূমি ও রেখে যাওয়া বাড়িঘর ফিরে পেয়েছিলেন। লাভ করেছিলেন চূড়ান্ত বিজয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ে অনেক খুশি ও আনন্দিত হয়েছিলেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করা দোষণীয় নয়। তবে বিজয়ের আনন্দের নামে অশ্লীল গান ও ইসলাম পরিপন্থী আচার-অনুষ্ঠান যাবে না। তবে যারা বিজয়ের জন্য অবদান রেখেছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের জন্য করতে হবে। কিন্তু সেটাও আনুষ্ঠানিকভাবে করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করবে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’। অন্যত্র নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি আমাদের আচার-অনুষ্ঠানের বিপরীত কোন কিছু প্রবর্তন করলে তা বর্জনীয়’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৬)।
প্রশ্নকারী : শিহাব উদ্দীন, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।