শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : উক্ত মাসআলায় সামান্য ইখতিলাফ থাকলেও সংশ্লিষ্ট হাদীছ, আছার ও পরবর্তী প্রায় সকল বিদ্বানের পর্যালোচনার আলোকে রুকূ‘ পেলে রাক‘আত গণ্য হবে। আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ ‘যে ব্যক্তি ছালাতের রাক‘আত পেল সে ছালাত পেল’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮০; ছহীহ মুসলিম, হা/৬০৭; মিশকাত, হা/১৪১২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৩২৮, ৩/১৯৯ পৃ.)। উক্ত হাদীছের ‘রাক‘আত’-এর অর্থ নিয়ে বিদ্বানগণের মাঝে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে অধিকাংশ বিদ্বানের মতে ‘রাক‘আত’ অর্থ রুকূ‘। তাই রুকূ‘ পেলে রাক‘আত হিসাবে গণ্য হবে। অনুরূপ কোন বর্ণনায় ‘সাজদাহ’ উল্লিখিত হয়েছে (ছহীহ বুখারী, হা/৫৫৬; মিশকাত, হা/৬০২; আছ-ছামারুল মুস্তাত্বাব, পৃ. ৯৭)। তাই রাক‘আত বলতে রুকূ। যেমন শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) পরিপূর্ণ রুকূ‘কেই রাক‘আত হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং দলীল হিসাবে উক্ত হাদীছ উল্লেখ করেছেন (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ২৩ তম খণ্ড, পৃ. ৩৩২)।

তাছাড়া জুম‘আর ছালাত সম্পর্কে এসেছে, مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الْجُمُعَةِ أَوْ غَيْرِهَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُهُ ‘যে ব্যক্তি জুম‘আ বা অন্য ছালাতে রাক‘আত পাবে, তার ছালাত পূর্ণ হবে’ (নাসাঈ, হা/৫৫৭; ইবনু মাজাহ, হা/১১২৩, সনদ ছহীহ)। উক্ত হাদীছে ‘রাক‘আত’ অর্থ রুকূ। শায়খ মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ বলেন, ‘ইমামের সাথে রাক‘আত না পেলে জুম‘আ গণ্য হবে না। আর রাক‘আত পাওয়া হল, ইমামের সাথে রুকূ‘ পাওয়া। সুতরাং যখন মুক্তাদী ইমামকে দ্বিতীয় রাক‘আতে রুকূ থেকে উঠার আগেই পেয়ে যাবে, তখন সে ছালাত পেয়ে যাবে। অতঃপর ইমামের সালামের পর মুছল্লী তার ছালাত সম্পন্ন করবে। অর্থাৎ মুক্তাদী দাঁড়িয়ে ছুটে যাওয়া রাক‘আত পড়ে নিবে (ফাতাওয়াউল ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, পৃ. ৮৯৪, প্রশ্ন নং-১২৬০১)।

অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যখন মুছল্লী ইমামের সাথে ছালাত আদায় করে এবং ইমামকে রুকূ অবস্থায় পায় অতঃপর সূরা ফাতিহা না পড়েই রুকূ করে, তবে তার ছালাত ছহীহ হবে’ (ফাতাওয়াউল ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, প্রশ্ন নং-৬৫৫১)। অতঃপর তিনি দলীল হিসাবে পেশ করেছেন, আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ ‘যে ব্যক্তি ছালাতের রাক‘আত পেল সে ছালাত পেল’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮০; ছহীহ মুসলিম, হা/৬০৭; মিশকাত, হা/১৪১২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৩২৮, ৩/১৯৯ পৃ.)। সালেম (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আ বা অন্যান্য ছালাতের এক রাক‘আত পেল, সে তার পূর্ণ ছালাত পেল’ (নাসাঈ, হা/৫৫৭; সনদ ছহীহ, ছহীহুল জামে‘ হা/৫৯৯৪)।

শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রুকূ‘ পেলে রাক‘আত গণ্য হবে। তিনি দলীল হিসাবে নি¤েœর হাদীছটি উপস্থাপন করেছেন।

عَنْ أَبِىْ بَكْرَةَ رضى الله عنه أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ رَاكِعٌ فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَّصِلَ إِلَى الصَّفِّ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّفِّ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ زَادَكَ اللهُ حِرْصًا وَّلَا تَعُدْ

আবু বাকরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এমন অবস্থায় পৌঁছলেন, যখন তিনি রুকূ অবস্থায় ছিলেন। তিনি কাতারে পৌঁছার পূর্বেই রুকূ করলেন অতঃপর তিনি হেঁটে কাতারে পৌঁছলেন। বিষয়টি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানালে তিনি বলেন, আল্লাহ তোমার (ইবাদতের প্রতি) আকাক্সক্ষা বাড়িয়ে দিন, তবে পুনরায় এরূপ করবে না (ছহীহ বুখারী, হা/৭৮৩; আবু দাঊদ, হা/৬৮৩-৮৪; মিশকাত, হা/১১১০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১০৪২, ৩/৬৪ পৃ.)।

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে উক্ত ছালাত ক্বাযা আদায়ের নির্দেশ দেননি। তাকে কাতার ছাড়া রুকূ‘তে ফিরে যেতে নিষেধ করেছেন। তবে মাসবূকের দায়িত্ব হল- কাতারে প্রবেশ না করা পর্যন্ত রুকূ‘তে যাওয়ার ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করা। আর এটাই ছহীহ ও জায়েয হওয়া বুঝায়। হাদীছে বর্ণিত ‘রাক‘আত’ অর্থ যে, রুকূ‘ এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, من أدرك الركوع فقد أدرك الركعة ‘যে ব্যক্তি রুকূ‘ পেল সে রাক‘আত পেল’ (শায়খ বিন বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১১/২৪৬ পৃ., ৩০/১৪৭ পৃ.)।

শায়খ মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রুকূ পেলে রাক‘আত গণ্য হবে। তিনি নি¤েœর হাদীছ উল্লেখ করেন। আবু হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, إِذَا جِئْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ وَنَحْنُ سُجُوْدٌ فَاسْجُدُوْا وَلَا تَعُدُّوْهَا شَيْئًا وَمَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ ‘তোমরা ছালাতে এসে আমাদেরকে সিজদায় পেলে সিজদায় চলে যাবে। তবে এ সিজদাকে গণ্য করবে না। আর যে ব্যক্তি রাক‘আত পেল সে ছালাত পেয়েছে’ (আবু দাঊদ, হা/৮৮৯, সনদ হাসান)। তিনি উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, হাদীছে রাক‘আত অর্থ হল রুকূ‘। অর্থাৎ যে ব্যক্তি রুকূ‘ পেল সে ছালাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে’ (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, হা/৪৯৬, ২/২৬০ পৃ.)। অতঃপর আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) আরো একটি হাদীছ উপস্থাপন করেছেন। আব্দুল আযীয ইবনু রাফে‘ (রাহিমাহুল্লাহ) এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا جِئْتُمْ وَالْإِمَامُ رَاكِعٌ فَارْكَعُوْا وَإِنْ كَانَ سَاجِدًا فَاسْجُدُوْا وَلَا تَعْتَدُّوْا بِالسُّجُوْدِ إِذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الرُّكُوْعُ

‘তোমরা যখন ইমামের রুকূ‘ অবস্থায় আসবে, তখন তেমারা রুকূ‘ কর। আর যদি সিজদা অবস্থায় থাকে, তাহলে সিজদা কর। তবে ইমামের সাথে রুকূ‘ না পেলে সিজদা পাওয়ার কারণে রাক‘আত গণ্য করবে না’ (বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা, হা/২৫৭৬; সিলসিলা আহাদীছিয যঈফাহ ওয়াল মাওযূ‘আহ, ১০/১৮৬ পৃ.)। উক্ত হাদীছকে তিনি ছহীহ দাবী করে গভীর পর্যালোচনা করেছেন (ইরওয়াউল গালীল, ২/২৬১-৬৬ পৃ., হা/৪৯৬-এর আলোচনা দ্র., সনদ ছহীহ)। তাছাড়া তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/২৬২২; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/২৫৮০; ইরওয়াউল গালীল, ২/২৬৩ পৃঃ), যায়েদ ইবনু ছাবেত (মুলতাক্বা আহলিল হাদীছ, ২৬/২২১ পৃ.; ইরওয়াউল গালীল, ২/২৬৩-৬৪ পৃ.), ওছমান ইবনুল আসওয়াদ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/২৬৪৬; ইরওয়াউল গালীল, ২/২৬৪ পৃ.) সহ বিভিন্ন ছাহাবী ও তাবেঈ থেকে অনেক ছহীহ আছারও পেশ করেছেন (ইরওয়াউল গালীল, হা/৪৯৬)।

সঊদী আরবের সর্বোচ্চ ফাতাওয়া বোর্ড ‘আল-লাজনা আদ-দায়েমা’ ফৎওয়া প্রদান করেছে যে, রুকূ‘ পেলে রাক‘আত বলে গণ্য হবে। দলীল হিসাবে তাঁরা আবু বাকরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এবং এ সম্পর্কে ‘আম হাদীছ দু’টি উল্লেখ করে বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে সূরা ফাতিহা পড়তে না পারার কারণে পুনরায় রাক‘আত ক্বাযা করতে আদেশ করেননি। সুতরাং যে ব্যক্তি রুকূ‘ পেল সে রাক‘আত পেল (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ৬/২২১ পৃ., ফৎওয়া নং-১৭৬৬১)।

শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ আল-ওছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) কোন মুছল্লী যখন ইমামের রুকূ‘ অবস্থায় ছালাতে প্রবেশ করে তখন তিনটি হালাত বা অবস্থা বর্ণনা করেছেন। যথা : ক. এ মর্মে নিশ্চিত হওয়া যে, ইমামের রুকূ‘ থেকে উঠার পূর্বে সে রুকূ‘তে পৌঁছেছে, তখন সে রাক‘আত পেয়েছে বলে গণ্য হবে কিন্তু তার সূরা ফাতিহা ছুটে গেছে। ক. এ মর্মে নিশ্চিত হওয়া যে, তার রুকূ‘তে পৌঁছানোর পূর্বে ইমাম রুকূ‘ থেকে উঠে গেছে, তখন তার রাক‘আত ফউত হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং তার ক্বাযা আদায় করতে হবে। ৩. এ মর্মে সন্দেহ পোষণ করা যে, সে ইমামকে রুকূ‘ অবস্থায় পেয়েছে অথবা তার রুকূ‘ পাওয়ার পূর্বেই ইমাম রুকূ‘ থেকে উঠে গেছে, তাহলে তার সন্দেহটা বিজয়ী হবে। অর্থাৎ তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারাব, অডিও ক্লিপ-১৭৫, প্রিন্ট পৃ. ১-২)।

অন্যদিকে রুকূ পেলে রাক‘আত গণ্য হবে না মর্মে যে সমস্ত প্রমাণ পেশ করা হয়, সেগুলোকে অনেকে ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন (ইরওয়াউল গালীল, ২/২৬৫-২৬৬, হা/৪৯৬-এর আলোচনা দ্র.)। তাছাড়া সূরাহ ফাতিহা না পড়ার কারণে রাক‘আত গণ্য হবে না মর্মে যে যুক্তি পেশ করা হয়, তা দলীলের আলোকে প্রমাণিত হয় না। কারণ এখানে রুকূর অবস্থাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। যেমন জনৈক ছাহাবী কুরআন থেকে কোন কিছু মুখস্থ রাখতে অক্ষমতা পেশ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ছালাতে ‘সুবহা-নাল্লাহি, ওয়াল হামদুলিল্লাহি, ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাউলা ওলা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ পড়তে বলেন (আবূ দাঊদ, হা/৮৩২, সনদ হাসান)। এখানে সূরা ফাতিহা পড়তে না বলার কারণ হল তার অক্ষমতা। এই অক্ষমতার কারণে উক্ত ব্যক্তি সূরাহ আল-ফাতিহা না পড়লেও তার ছালাত হবে বলে সাব্যস্ত হয়। আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।


প্রশ্নকারী : যিয়াউর রহমান, টাঙ্গাইল।




প্রশ্ন (১৭) : মক্কায় একদিনের ছিয়াম বাইরের এক লক্ষ ছিয়ামের সমতুল্য। সেখানে এক দেরহাম খরচ করলে এক লক্ষ দেরহামের সমান এবং একটি নেকী করলে এক লক্ষ নেকীর সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। বিভিন্ন হাদীছে মসজিদে নববীর ছওয়াব সমজিদে আক্বছার চেয়ে অধিক এসেছে। অথচ এখানে উভয় মসজিদের ছওয়াব পঞ্চাশ হাজার বলা হয়েছে। এর অর্থ করা হয়েছে, প্রত্যেক মসজিদের ছওয়াব পূর্ববর্তী মসজিদ হিসাবে বলা হইয়াছে অর্থাৎ জামে মসজিদের ছওয়াব পাঁচশ’ ছালাত নয়, বরং মহল্লার মসজিদ হতে পাঁচশ’ গুণ বেশী। এই হিসাব মতে জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০) (ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ. ৯২)। তাবলীগী নিসাবের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ কিতাবে বর্ণিত উক্ত ফযীলত কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : খানা খাওয়ার পর প্লেটে হাত ধোয়া কি নিষেধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৭) : ফরয কিংবা নফল ছালাতে যে সমস্ত জায়গায় দু‘আ করা হয়, সে সব জায়গায় কুরআনের দু‘আমূলক আয়াত পরা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : কেউ যদি অনলাইনে ফটোগ্রাফি (প্রাণহীন জিনিসের) সেল বিজনেস করে তা কি হারাম হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রাত জাগার কারণে ফজরের ছালাত প্রায়ই ক্বাযা হয়ে যায়। স্কুলে গিয়েও সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় যোহরের ছালাত ক্বাযা হয়। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : পিতা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি একটি কালিমাও পারেন না। প্রশ্ন হল-তিনি কি মুসলিম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ছালাত শুরুর প্রথম তাকবীর ‘আল্লাহু আকবার’ ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে কি উচ্চৈঃস্বরে বলতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : ছালাতে সিজদায় বাংলাতে দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : রাসূল (ﷺ) ও দুই ছাহাবীর কবর যিয়ারতের সময় কি পৃথক দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : ইসলামে মধ্যমপন্থা অবলম্বন বলতে কী বুঝায়? অনেক প্র্যাক্টিসিং মুসলিম মনে করেন মধ্যমপন্থা মানে যে সমাজ যে রকম, সেখানে সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নেয়া। যেমন- প্রয়োজন অনুযায়ী পারিবারিক সমাবেশে গায়রে মাহরাম কাজিনদের সাথে খোশগল্প করা, মসজিদে গেলে পাঞ্জাবি-পায়জামা (ছেলেদের ক্ষেত্রে) অথবা খিমার, নিকাব (মেয়েদের ক্ষেত্রে) অন্যদিকে অনুষ্ঠানে গেলে যথাক্রমে গেঞ্জি-টাইট প্যান্ট (ছেলে) অথবা শুধু হিজাব (মেয়ে) পরা, ইত্যাদি। অন্যদিকে যারা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী সঠিকভাবে চোখের হেফাযত করে, ফেৎনা থেকে বাঁচার জন্য পর্দার বিধান মেনে চলে তাদেরকে অনেকে অসামাজিক, বিভ্রান্ত, কট্টরপন্থী ইত্যাদি টাইটেলে আখ্যা দিয়ে থাকে। তাদের উক্ত  দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ইসলামে মানুষের মুখের উপর তার প্রশংসা করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মাহফিলে প্রধান বক্তা বা অতিথির আগমনে তার সম্মানার্থে উচ্চ প্রশংসা করা হয় বা শ্লোগান দেয়া হয়। এগুলো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : শাওয়াল মাসে বিয়ে করা কি সুন্নত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ