উত্তর : কয়েকটি স্থানে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাত তুলে সম্মিলিত দু‘আ করেছেন, যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন, পানি চাওয়ার জন্য (ছহীহ বুখারী, হা/১০২৯, ১/১৪০ পৃ.; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯৬, ১/২৯৩ পৃ.; মিশকাত, হা/১৪৯৮ ‘ইস্তিস্কা’ অনুচ্ছেদ), বৃষ্টি বন্ধের জন্য (ছহীহ বুখারী হা/১০১৩, ১/১৩৭ পৃ.), চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময় (ছহীহ মুসলিম হা/৯১৩, ১/২৯৯ পৃ.; ছহীহ বুখারী হা/১০৪০ ও ১০৪৩), কুনূতে নাযেলা (মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৪২৫; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুছ ছগীর, হা/৫৩৬, সনদ ছহীহ; আবু দাঊদ, হা/১৪৪৩, সনদ হাসান; মিশকাত, হা/১২৯০), কুনূতে বিতর (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ, হা/১০৯৭; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃ. ১৮০; ফাতাওয়া আরক্বানিল ইসলাম, পৃ. ৩৫০-৩৫১, ফৎওয়া নং-২৭৭)। উক্ত হাদীছগুলো থেকে বুঝা যায় যে, বিশ্বব্যাপী এবং জাতীয় কোন সংকটে পতিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবাইকে নিয়ে জামা‘আতবদ্ধভাবে হাত তুলে দু‘আ করেছেন। উল্লেখ্য যে, ফরয ছালাতের পর, মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর, বিবাহের পর, সমাবেশের পর, দুই ঈদের ছালাতের পর এবং টঙ্গীর মাঠে আখেরী মুনাজাতের যে প্রথা চালু আছে, তা নিকৃষ্ট বিদ‘আত। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নকারী : রাহাত, মিরপুর ১০, ঢাকা।