রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ইক্বামতের শব্দগুলো বেজোড় বা একবার করেই বলতে হবে। যদিও শব্দগুলো জোড়া জোড়া বলা জায়েয। তবে একবার করে বলাই সুন্নাহসম্মত এবং হাদীছগুলো ক্বাওলী বা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নির্দেশনার পর্যায়ের। তিনি তাঁর নিযুক্ত মুয়াযিযন বেলাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে একবার করে ইক্বামত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬০৩; নাসাঈ, হা/৬২৭; মিশকাত, হা/৬৪১ ছহীহ)। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে আযান ছিল দুইবার দুইবার করে আর ইক্বামত ছিল একবার একবার করে। তবে ক্বদক্ব-মাতিছ ছালাহ দু’বার বলা হত (আবূ দাঊদ, হা/৫১০, সনদ হাসান)।

আর মুয়াযযিন ‘হাইয়া ‘আলাছ ছালাহ’ বললে ছালাতের জন্য দাঁড়াতে হবে এই দাবী সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِذَا أُقِيْمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَقُوْمُوْا حَتَّى تَرَوْنِىْ ‘ছালাতের ইক্বামত হলেও আমাকে না দেখা পর্যন্ত তোমরা দাঁড়াবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৬০৪; মিশকাত, হা/৬৮৫)। তাই ইক্বামত দেয়া শুরু করলে মুছল্লীগণ ছালাতে দাঁড়িয়ে যাবে। শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, হাদীছে দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন সময় বেঁধে দেয়া নেই, ইক্বামত শুরু হলে মুছল্লীরা যেকোন সময় দাঁড়াতে পারবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৩ তম খণ্ড, পৃ. ৮)।  তাই নির্দিষ্ট কোন শব্দের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।


প্রশ্নকারী : রিযওয়ান, কুমিল্লা।





প্রশ্ন (৩৯) : জনৈক বক্তা বলেন, যে বান্দা রামাযানের ছিয়াম পালন করে তার সাথে প্রত্যেক দিন তাঁবুতে সুরক্ষিত হুরদের মধ্য হতে একজনকে বিবাহ দিয়ে দেন। প্রত্যেক স্ত্রীর সাথে ৭০টি দামী কাপড় থাকবে। প্রত্যেকটির রং হবে পৃথক পৃথক। তাকে ৭০ প্রকারের সুগন্ধিযুক্ত রং দেয়া হবে। এক রঙের সাথে অন্য রঙ মিলবে না। প্রত্যেকেই বসে থাকবে হীরার খাটে, যাতে মুক্তা দ্বারা বিন্যস্ত করা থাকবে ৭০টি বিছানা, যার আস্তর থাকবে রেশমের। ৭০টি বিছানার উপর থাকবে ৭০টি পালঙ্ক। প্রত্যের স্ত্রীর জন্য থাকবে ৭০ জন্য সেবিকা, যারা তার সেবা করবে। আর ৭০ জন সেবিকা থাকবে তার সাথে মুলাক্বাতের জন্য। আর প্রত্যেক সহচরের সাথে থাকবে অনেক সম্ভ্রান্ত সাথী। জান্নাতে স্বর্ণের পাত্র থাকবে তাতে বিভিন্ন রঙের খাবার থাকবে। প্রথম যে স্বাদ পাওয়া যাবে শেষেও সে স্বাদ পাওয়া যাবে। আর তার স্বামীকেও অনুরূপ লাল হীরার খাট দেয়া হবে, যার উপর দু’টি স্বর্ণের বালা থাকবে, যা বিন্যস্ত থাকবে লাল হীরা দ্বারা। এটা রামাযানের প্রত্যেক দিন ছিয়াম পালনকারীর জন্য, অন্য নেক আমলের জন্য নয় (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর হা/৯৬৭)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : ওষুধ কোম্পানিগুলো ডাক্তারদের খুশি করার জন্য গিফট ও টাকা দিয়ে থাকে। যাতে করে ঐ ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করার সময় তাদের কোম্পানির ওষুধ লেখে। যদিও কোম্পানির ওষুধের মান ভালও হয়। উক্ত কোম্পানিতে চাকরি করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : বিয়ের পর মেয়েরা তার বাবার বাড়ীতে কি তিনদিনের বেশি থাকতে পারবে? আর স্বামী কি তিনদিনের বেশি শ্বশুর বাড়ীতে থাকতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : প্রত্যেক রোগের ঔষধ আছে। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : নাফসের শিরক বলতে কী বুঝায়? নাফসের আনুগত্য বলতে কী বুঝায়? যেমন, সিনেমা দেখা, নন-মাহরামের মন রক্ষার্থে কথা বলা অথবা ইচ্ছা করেই জোহরের সুন্নাত ছালাত ছেড়ে দেয়া প্রভৃতি কাজ কি নাফসের আনুগত্যের মাঝে পড়ে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসাবে মানা বলতে কী বুঝায়? মক্কার কাফেররা কি আল্লাহ তা‘আলাকে রব্ব হিসাবে মেনে নিয়েছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : গান শুনা ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : হজ্জের সময় নারীরা ঋতুবতী হয়ে পড়লে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : জায়নামাজে বিভিন্ন ছবি থাকে যেমন কা‘বা ঘর, চাঁদ, তারা, গাছের ছবি ইত্যাদি। উক্ত জায়নামাজে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : জনৈক আলেম বলেন, জোড় রাতেও ক্বদর হতে পারে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : নবী-রাসূল, ছাহাবায়ে কেরামের বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্র দেখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : আল্লাহর প্রতি এবং নবী (ﷺ)-এর প্রতি কিরূপ ভালোবাসা স্থাপন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ