উত্তর : উক্ত ধারণা সঠিক নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তিনি তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জন্য জ্ঞান দান করেছেন, যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয় এবং নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ হয়’ (সূরা আশ-শামস্ : ৮-১০)। পূর্ব যুগের নবীদের থেকে শুরু করে আজকের পর্যন্ত যুগে যুগে প্রকৃত ধর্মকে কলুষিত করা এবং ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইসলামের শত্রুরা বিভিন্ন চক্রান্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যার ভবিষ্যদ্বাণী নিজেই করে গেছেন। তিনি বলেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাচারী দাজ্জালের আবির্ভাব না হবে। এরা সবাই নিজেকে আল্লাহর নবী বলে দাবী করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬০৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭)। মিথ্যা নবী আসবে বলে আমি কি হাদীছ পড়া ছেড়ে দেব? না-কি ছহীহ হাদীছ কোন্গুলো তা যাচাই করার যে জ্ঞান আল্লাহ দিয়েছেন তা কাজে লাগাব? মিথ্যা নবী, রাফেযী, শী‘আ, মু‘তাযিলা, ব্রেলভী, দেওবন্দী, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশাবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া ইত্যাদি ফের্কা মুসলিম বলে পরিচিত হলেও তাদের মাঝে প্রকৃত ইসলাম নেই। তাহলে কিভাবে আমরা সঠিকটা গ্রহণ করব? সুতরাং অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে এবং সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, সিলেট।