উত্তর : বর্ণনাটি মাকহূলের মন্তব্য। অংশটুকু ছহীহ নয় (যঈফ আত-তিরমিযী, হা/৩৬০১; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১০৫, ১৫২৮; যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯৬৯)। তবে এ মর্মে ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিমে আবু হুরায়রা কর্তৃক যে অংশটুকু বর্ণিত হয়েছে, সেটি ছহীহ। যেমন আবূ মূসা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘...কিছুক্ষণ পর তিনি আমার কাছে এলেন, তখন আমি মনে মনে পড়ছিলাম, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। তখন তিনি বললেন, হে ‘আব্দুল্লাহ ইবনু কায়স! তুমি বল ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। কারণ এ দু‘আ হল জান্নাতের রত্ন ভাণ্ডারগুলোর মধ্যে একটি। অথবা তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি কথার সন্ধান দেব না যে কথাটি জান্নাতের রত্ন ভাণ্ডার? তাত্থেকে একটি রত্ন ভাণ্ডার হল ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪২০৫, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৬৬১০, ৭৩৮৬; ছহীহ মুসলিম হা/২৭০৪)। তিরমিযীতে উক্ত হাদীছের শেষে মাকহূলের কথা বর্ণিত হয়েছে, যা আমলযোগ্য নয়। ইমাম তিরমিযী নিজেই তার কথার সমালোচনা করেছেন (তিরমিযী হা/৩৬০১)।
প্রশ্নকারী : গোলাম রাব্বী, বরিশাল।