শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : প্রথমতঃ নাহুবিদ বা ব্যাকরণবিদরা বলেন, الشاذُّ يُحفَظ ولا يُقاس عليه ‘অল্পসংখ্যকের উপর ভিত্তি করে কোন নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠিত হয় না’। ‘উছূলুল ফিক্বহ’-এর নীতিমালা হল- الحكم للغالب والنادر لا حكم لها ‘অধিকাংশের উপর ভিত্তি করে বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়, পক্ষান্তরে অল্পসংখ্যকের উপর ভিত্তি করে কোন বিধান প্রতিষ্ঠিত হয় না’ (উছূলুল ফিক্বহ আলা মানহাযি আহলিল হাদীছ, পৃ. ১৮৭)। যেহেতু ১% বা ২% ব্যতীত সমস্ত শী‘আই কুফরী আক্বীদার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই এ কথা বলা হয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য কখনোই এটা নয় যে, যাদের আক্বীদা ভালো তারাও কাফির। কেননা لكل قاعدة استثناء ‘প্রত্যেকটি নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমী নিয়ম থাকে’।

দ্বিতীয়তঃ আমাদের বুঝতে হবে যে, ‘শী‘আদের কাফির কেন বলা হয়’? শুধু কি এই জন্যই যে, তারা শী‘আ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত? না!। বরং শী‘আরা কাফির তাদের কুফরী আক্বীদার জন্য। আর শুধু শী‘আরাই নয়, বরং যারাই ঐ আক্বীদাই বিশ্বাসী, তারাই কাফির হিসাবে বিবেচিত। ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী যারাই কুরআনুল কারীমকে বিকৃত মনে করে বা বিকৃত করার চেষ্টা করে অথবা হাদীছকে অস্বীকার করে অথবা নবী (ﷺ)-এর শানে বেয়াদবি করে অথবা আবু বাকর ছিদ্দীক্ব, উমার ফারুক্ব, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) কিংবা অন্য কোন ছাহাবীকে গালাগালি করে অথবা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করে অথবা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারোর ইবাদত করে তারাই কাফির। যারা এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, হতে পারে তারা শী‘আ সম্প্রদায়ের কিংবা কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের কিংবা অন্য কোন সম্প্রদায়ের! সে কোন্ সম্প্রদায়ের সেটা বড় বিষয় নয়! বড় বিষয় হল- সে যে কাজগুলো করছে সেগুলো কোন্ পর্যায়ের! দুর্ভাগ্যবশত প্রায় সমস্ত শী‘আই উপরিউক্ত ঈমান বিধ্বংসী কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘শী‘আরা এক প্রকারের নয়। বরং তারা কমপক্ষে ২২টি দলে বিভক্ত। সকলেই কুফরী অথবা বিদ‘আতের সঙ্গে যুক্ত। তাদের মধ্যে যারা তুলনামূলকভাবে সবথেকে ছোট অপরাধী তারাও ‘আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে আবূ বাকর ছিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও উমার ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর উপর প্রাধান্য দেয় এবং ছাহাবীদের বিরোধিতা করে।

فالحاصل: أنهم ينظر في عقائدهم بالتفصيل، ولا يقال الشيعة كلهم كفار، لا، بل فيهم تفصيل، وهم أقسام كثيرة

‘সুতরাং মোদ্দাকথা হল- তাদের আক্বীদাহ সম্পর্কে বিশদভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। সকল শী‘আকে একবাক্যে কাফির বলা ঠিক হবে না। বরং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে এবং তাদের অনেক প্রকার আছে (https://binbaz.org.sa/fatwas/3129/%D8%A7%D8%B5%D9%86%)।


প্রশ্নকারী : সাকিব আহমাদ, শমশেরনগর, মৌলভীবাজার।





প্রশ্ন (৪) : জনৈক মহিলার সাধারণত ৭ম দিনে হায়েয শেষ হয়। কিন্তু মাঝে ১/২ দিন স্রাব সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। প্রশ্ন হল- উক্ত এক বা দুই দিন সে ছলাত/ছিয়াম পালন করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কুরআন মাজীদের পাতা ছিড়ে গেলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : রাক‘আত ছালাতের শেষ বৈঠকে বসার সময় বাম পা ডান পায়ের ভিতর দিয়ে বসতে হয়। জামা‘আতে ১ বা ২ রাক‘আত পেলে ইমামের শেষ বৈঠকের সময় কিভাবে বসতে হবে? পরে মুছল্লী তার শেষ বৈঠকে কিভাবে বসবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : ঈমানদার জিনরা কি ঈমানদার মানুষের সাথে বিবাহ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : কোন বিধবা কিংবা ডিভোর্সি মহিলা কি তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারবে? যদি বিয়ে করে ফেলে, তাহলে সে বিয়ে কি সঠিক হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ছিয়াম পালনে অক্ষম ব্যক্তিকে ফিদইয়া দিতে বলা হয়েছে। এর পরিমাণ সম্পর্কে কেউ বলছে এক ছা‘ আবার কেউ আধা ছা‘। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ‘তাক্বিয়া’ করা কোন্ ক্ষেত্রে হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মহিলাদের পেট খোলা না রেখে পেটের নাভীতে অলংকার পরা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে জয়ত্রি এবং জায়ফল দিয়ে বিভিন্ন খাবার রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। এটা খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : তিন রাক‘আত বিতর ছালাতের সঠিক নিয়ম জানতে চাই? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : জুমু‘আর ফরয ছালাতের পর বাড়িতে দুই রাক‘আত অথবা মসজিদে ৪ রাক‘আত অথবা মসজিদে দুই বা চার অথবা চার ও দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করা হয়। এটি কি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা না-কি সুন্নাতে গায়রে মুওয়াক্কাদা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : যোহরের পরের ২ রাক‘আত সুন্নাত কি ফরয ছালাতের আগে পড়ে নেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ