উত্তর : বৈধ নয়, বরং হারাম। এগুলো দাবা বা পাশা জাতীয় খেলা, যাকে ইসলামে হারাম করা হয়েছে। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيْرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِيْ لَحْمِ خِنْزِيْرٍ وَدَمِهِ ‘যে ব্যক্তি পাশা খেলল, সে যেন তার হাত শূকরের গোশতে ও রক্তে রঙিন করে তুলল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬০; আবূ দাঊদ, হা/৪৯৩৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৬৩)। এমনকি যে ব্যক্তি পাশা খেলে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাফরমানী করে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৯৩৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৬২; মিশকাত, হা/৪৫০৫, সনদ হাসান)।
উপমহাদেশে প্রচলিত দাবা, লুডু ও ক্যারাম খেলা তিনটি পাশারই সমগোত্রীয় খেলা। তাই ইসলামে এ জাতীয় খেলা সম্পূর্ণরূপে হারাম- চাই জুয়া থাকুক বা না থাকুক। কেননা পাশা বা দাবার ন্যায় এমন প্রত্যেক খেলা যা গুটি দিয়ে খেলা হয় তা হারাম’ (আল-মুগনী, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ১৫৪-১৫৫; আল-ইনছাফ, ১২তম খণ্ড, পৃ. ৫২-৫৩)। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইমাম আবূ হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দাবা বা পাশা খেলোয়ারকে সালাম দিবে না। কেননা সে প্রকাশ্যে জঘন্য পাপে লিপ্ত’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৩২ তম খণ্ড, পৃ. ২৪৫)। উল্লেখ্য, নিম্নোক্ত কারণ থাকলে যেকোন খেলা হারাম। (১) যে খেলা মানুষের মধ্যে ছালাত, আল্লাহর যিকির ও দ্বীন সম্পর্কে উদাসীনতা তৈরি করে (সূরা আন-নূর : ৩৭; আবূ দাঊদ, হা/৫৫০; ইবনু মাজাহ, হা/৭৭৭, সনদ ছহীহ)। (২) এমন খেলা, যাতে শারীরিক কোন উপকার নেই, শুধু সময়ের অপচয় হয় (তিরমিযী, হা/২৪১৬-৭, সনদ ছহীহ) ইত্যাদি।
প্রশ্নকারী : আসিফ রেযা, উত্তরা, ঢাকা।