শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : বৈধ নয়, বরং হারাম। এগুলো দাবা বা পাশা জাতীয় খেলা, যাকে ইসলামে হারাম করা হয়েছে। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيْرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِيْ لَحْمِ خِنْزِيْرٍ وَدَمِهِ ‘যে ব্যক্তি পাশা খেলল, সে যেন তার হাত শূকরের গোশতে ও রক্তে রঙিন করে তুলল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬০; আবূ দাঊদ, হা/৪৯৩৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৬৩)। এমনকি যে ব্যক্তি পাশা খেলে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নাফরমানী করে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৯৩৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৬২; মিশকাত, হা/৪৫০৫, সনদ হাসান)।

উপমহাদেশে প্রচলিত দাবা, লুডু ও ক্যারাম খেলা তিনটি পাশারই সমগোত্রীয় খেলা। তাই ইসলামে এ জাতীয় খেলা সম্পূর্ণরূপে হারাম- চাই জুয়া থাকুক বা না থাকুক। কেননা পাশা বা দাবার ন্যায় এমন প্রত্যেক খেলা যা গুটি দিয়ে খেলা হয় তা হারাম’ (আল-মুগনী, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ১৫৪-১৫৫; আল-ইনছাফ, ১২তম খণ্ড, পৃ. ৫২-৫৩)। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইমাম আবূ হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দাবা বা পাশা খেলোয়ারকে সালাম দিবে না। কেননা সে প্রকাশ্যে জঘন্য পাপে লিপ্ত’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৩২ তম খণ্ড, পৃ. ২৪৫)। উল্লেখ্য, নিম্নোক্ত কারণ থাকলে যেকোন খেলা হারাম। (১) যে খেলা মানুষের মধ্যে ছালাত, আল্লাহর যিকির ও দ্বীন সম্পর্কে উদাসীনতা তৈরি করে (সূরা আন-নূর : ৩৭; আবূ দাঊদ, হা/৫৫০; ইবনু মাজাহ, হা/৭৭৭, সনদ ছহীহ)। (২) এমন খেলা, যাতে শারীরিক কোন উপকার নেই, শুধু সময়ের অপচয় হয় (তিরমিযী, হা/২৪১৬-৭, সনদ ছহীহ) ইত্যাদি।


প্রশ্নকারী : আসিফ রেযা, উত্তরা, ঢাকা।





প্রশ্ন (১০) : যারা সমকামিতার সাথে জড়িত তাদের শারঈ হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : পিতা ছেলে সন্তানের জন্য কতদিন পর্যন্ত ভরণপোষণ বা খরচ বহন করতে বাধ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : আছর কিংবা ফজর ছালাতের পর মসজিদে প্রবেশ করলে তাহিইয়াতুল মাসজিদ দুই রাক‘আত ছালাত পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : অনেক দ্বীনি ভাই টাখনুর নিচের অতিরিক্ত অংশটা গুটিয়ে রাখে। তাদেরকে কেটে ফেলার কথা বললে, তারা বিভিন্ন শায়েখের বক্তব্য শুনায় এবং বলে পায়ের ক্ষেত্রে গুটিয়ে রাখলে সমস্যা নেই। এই দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : মানুষ মারা গেলে মাইকিং করে শোক সংবাদ প্রচার করা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০): ইসলামের পথ থেকে দূরে থাকার কারণে বিগত বছরগুলোতে আমি যাকাত আদায় করিনি। আলহামদুলিল্লাহ্, গত বছর থেকে আমি ইসলামে ফিরে এসেছি। এখন আমি তাওবাহ্ করেছি। আমার তাওবার কারণে কি আমি যাকাত আদায় করা থেকে অব্যাহতি পাবো? যদি অব্যাহতি না পায় তাহলে সমাধান কী? বিগত বছরগুলোর যাকাত আমি কিভাবে আদায় করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : গীবতকারীর আমল যার নামে গীবত করা হয়েছে তার আমলনামায় চলে যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : ‘তোমরা রাতের বেলায় রাস্তার মধ্যভাগে অবস্থান নেয়া থেকে সাবধান থাক। কেননা উহা হল, সাপ ও হিংস্র প্রাণীদের আশ্রয়স্থল’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : ‘শীতকাল মুমিনদের জন্য বসন্তকাল’ কথাটি কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : মসজিদের মধ্যে দু’স্তম্ভের মধ্যবর্তী স্থানে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ‘যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে সে যেন একশ’টি হজ্জ আদায় করল বা একশ’টি উট আল্লাহর ওয়াস্তে দান করল। যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০ টি গাযওয়া বা অভিযানে শরীক হলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলো, সে যেন ইসমাঈল বংশের একশ’ ব্যক্তিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ঐ দিনে তার চেয়ে বেশি আমল আর কেউ করতে পারবে না। তবে যদি কেউ তার সমান এই যিকরগুলো পাঠ করে বা তার চেয়ে বেশি পাঠ করে তাহলে ভিন্ন কথা। (তাহলে সেই শুধু তার উপরে উঠতে পারবে।) ইমাম নাসাঈর বর্ণনায় ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-র পরিবর্তে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কাদীর’ ১০০ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে (তিরমিযী, ৫/৫১৩, নং ৩৪৭১; নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা, ৬/২০৫)। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি আমলযোগ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : জনৈক আলেম বলেন, কেউ যদি মদীনায় মারা যায় তবে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার জন্য সুপারিশ করবেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ