উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যমীনে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি সেসবের স্থায়ী অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত; সবকিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে আছে’ (সূরা হূদ : ৬)। কখনো কখনো বিশেষ কিছু অসীলায় রিযিক বৃদ্ধি পায় ও পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যে কেউ আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য (উত্তরণের) পথ করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিয্ক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না’ (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ২-৩)।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করতে, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে পাখির ন্যায় রিযিক দান করতেন। পাখি সকাল বেলায় ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাসা থেকে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় উদরপূর্তি করে ফিরে আসে’ (আহমাদ, ১/৩০; তিরমিযী, হা/২৩৪৪; ইবনু মাজাহ, হা/৪১৬৪, সনদ ছহীহ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরও বলেন, ‘আমার উম্মত থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের অন্যতম গুণ এই যে, তারা আল্লাহর ওপর ভরসা করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭০৫)। আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলেছেন, مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِيْ رِزْقِهِ أَوْ يُنْسَأَ لَهُ فِيْ أَثَرِهِ فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ ‘যে ব্যক্তি পসন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তাঁর মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০৬৭; কছহীহ মুসলিম, হা/২৫৫৭)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রব, বরিশাল।