সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
উত্তর : হায়িয অথবা নিফাসের কারণে মহিলাদের ছিয়াম ক্বাযা হয়ে হয়। তাই ছয়দিন কিংবা সাতদিন এমন সন্দেহ হলে তার উপর কেবল ছয়দিনের ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করাই আবশ্যক। কারণ মূলবিধান হচ্ছে والأصل براءة الذمة ‘দায়িত্বমুক্ত থাকা’। তবে কেউ যদি সতর্কতামূলক সাতদিন ছিয়াম রাখেন তাহলে নিশ্চিতভাবে তার দায়িত্বমুক্ত হওয়ার জন্য সেটাই ভাল। আর যদি তিনি কোন সংখ্যাই মনে করতে না পারেন তাহলে যতদিন ছিয়াম রাখলে তার দায়িত্বমুক্ত হয় বলে তিনি প্রবল ধারণা করেন ততদিন ছিয়াম রাখবেন।

মোদ্দাকথা, ‘যদি কোন মানুষ সন্দেহে পড়ে যান যে, তার উপর কয়দিনের ছিয়াম ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব, সেক্ষেত্রে তিনি কম সংখ্যাটাই ধরবেন। যদি কোন নারী বা পুরুষ সন্দেহ করেন যে, তার উপর কি তিনদিনের ছিয়াম ক্বাযা আছে, না-কি চারদিনের? সেক্ষেত্রে তিনি কম সংখ্যাটাই ধরবেন। কেননা কম সংখ্যাটাই নিশ্চিত, বেশি সংখ্যাটা সন্দেহপূর্ণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সতর্কতা হল, সন্দেহের দিনগুলোরও ক্বাযা পালন করা। কেননা যদি সে দিনটির ছিয়াম তার ওপর ওয়াজিব থাকে তাহলে তো তার দায়িত্ব অবমুক্ত হল। আর যদি ওয়াজিব না হয়ে থাকে তাহলে সেটা নফল ছিয়াম হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা কোন নেক আমলের প্রতিদান নষ্ট করেন না (মাজমুঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৬/২৩ ও ১৫/৩৪১ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ও ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১৮২৮১)।

প্রশ্নকারী : উম্মে মাহবূবাহ, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৩১) : জামা‘আতের ছালাতে ইমাম সাহেব জোরে তাকবীর বলা এবং মুক্তাদির নিঃশব্দে তাকবীর বলার দলীল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ছিয়াম রাখতে অক্ষম ব্যক্তি কি একজন মিসকীনকে ত্রিশদিন খাওয়াবেন, না-কি ত্রিশজন মিসকীনকে একদিন খাওয়াবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫): রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ওযূ করার সময় মুখে ও নাকে পানি দেয়ার সঠিক পদ্ধতি কোনটি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : নারীদের জন্য ইসলাম অনুমোদিত পেশা কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) :  যেখানে পানির ব্যবস্থা নেই, সেখানে পেশাব করার পর শুধু ঢিল বা টিস্যু নিয়ে পবিত্রতা হাছিল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮): সালাম ফিরানোর পর যে যিকির করা হয়, তাকে যিকির বলা হয়, না-কি দু‘আ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেছেন এবং প্রত্যেক বছরই কুরবানী করেছেন। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম বৈঠকে দরূদ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’-এটি কি ছহীহ হাদীছ? দলীল জানালে উপকৃত হব। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯): ‘আহাদ’ কি আল্লাহর নাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : মহিলারা দেবর ও ভাশুরের সামনে বেপর্দায় যেতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ