উত্তর : হায়িয অথবা নিফাসের কারণে মহিলাদের ছিয়াম ক্বাযা হয়ে হয়। তাই ছয়দিন কিংবা সাতদিন এমন সন্দেহ হলে তার উপর কেবল ছয়দিনের ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করাই আবশ্যক। কারণ মূলবিধান হচ্ছে والأصل براءة الذمة ‘দায়িত্বমুক্ত থাকা’। তবে কেউ যদি সতর্কতামূলক সাতদিন ছিয়াম রাখেন তাহলে নিশ্চিতভাবে তার দায়িত্বমুক্ত হওয়ার জন্য সেটাই ভাল। আর যদি তিনি কোন সংখ্যাই মনে করতে না পারেন তাহলে যতদিন ছিয়াম রাখলে তার দায়িত্বমুক্ত হয় বলে তিনি প্রবল ধারণা করেন ততদিন ছিয়াম রাখবেন।
মোদ্দাকথা, ‘যদি কোন মানুষ সন্দেহে পড়ে যান যে, তার উপর কয়দিনের ছিয়াম ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব, সেক্ষেত্রে তিনি কম সংখ্যাটাই ধরবেন। যদি কোন নারী বা পুরুষ সন্দেহ করেন যে, তার উপর কি তিনদিনের ছিয়াম ক্বাযা আছে, না-কি চারদিনের? সেক্ষেত্রে তিনি কম সংখ্যাটাই ধরবেন। কেননা কম সংখ্যাটাই নিশ্চিত, বেশি সংখ্যাটা সন্দেহপূর্ণ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সতর্কতা হল, সন্দেহের দিনগুলোরও ক্বাযা পালন করা। কেননা যদি সে দিনটির ছিয়াম তার ওপর ওয়াজিব থাকে তাহলে তো তার দায়িত্ব অবমুক্ত হল। আর যদি ওয়াজিব না হয়ে থাকে তাহলে সেটা নফল ছিয়াম হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা কোন নেক আমলের প্রতিদান নষ্ট করেন না (মাজমুঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৬/২৩ ও ১৫/৩৪১ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ও ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১৮২৮১)।
প্রশ্নকারী : উম্মে মাহবূবাহ, রাজশাহী।