উত্তর : মহিলাদের জন্য দ্বীনের দিক দিয়ে সর্বাধিক উপযুক্ত ও নিরাপদ স্থান হল বাড়ি। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না। আর তোমরা ছালাত ক্বায়িম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত থাক (সূরা আল-আহযাব : ৩৩)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তোমরা তার পতœীদের নিকট হতে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল হতে চাও। এ বিধান তোমাদের এবং তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র’ (সূরা আল-আহযাব : ৫৩)। তিনি আরো বলেন, ‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আল-আহযাব : ৫৯)। এতদসত্ত্বেও যদি তার কাজ করার প্রয়োজন হয় অথবা সমাজ তার প্রয়োজন অনুভব করে, তাহলে সে এমন কাজ করতে পারে যা তার স্বভাব-প্রকৃতি ও নারীত্বের জন্য উপযোগী। যেমন মহিলাদের ডাক্তার, মহিলাদের নার্স, গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা ইত্যাদি। কিন্তু যেখানে নারী-পুরুষের সংমিশ্রণ ঘটে সেখানে চাকরী করা যাবে না। পুরুষদের ডাক্তার হওয়া যাবে না, পুরুষদের নার্স হওয়া যাবে না। কারণ এর ফলে ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি হবে, অথচ নবী (ﷺ) এই ফিতনার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠিন ভাবে সতর্ক করে বলেন, ‘পুরুষের জন্য স্ত্রীজাতি অপেক্ষা অধিকতর ক্ষতিকারক কোন ফিতনা আমি রেখে গেলাম না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯৬)। অন্যত্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমরা দুনিয়া ও নারী জাতি থেকে সতর্ক থেকো। কেননা বানী ইসরাঈলদের মাঝে প্রথম ফিতনা নারীকেন্দ্রিক ছিল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৪২)। মোটকথা পর্দার বিধান উপেক্ষা না করে অন্তরালে থেকে, ফিতনা-ফাসাদ থেকে নিরাপদে থেকে এবং পরপুরুষের সহাবস্থান থেকে বেঁচে নারীদের জন্য এমন প্রত্যেক কাজ করা বৈধ যা সত্তাগতভাবে হালাল (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ২৮/১০৩ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মাহমূদা আখতার তামান্না, মাদারীপুর।