উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫-২৭৯)। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূদখোর, সূদদাতা, তার সাক্ষীদাতা ও তার লেখককে অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তারা সবাই সমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৭-১৫৯৮)। সুতরাং যতদিন সূদের সাথে জড়িত থাকবে ততদিন পাপ হতেই থাকবে।
তাই উক্ত ব্যক্তির উচিত দ্রুত উত্তমরূপে তওবাহ করা এবং বেশি বেশি ক্ষমাপ্রার্থনা করা, আমলে ছালেহ সম্পাদন করা ও ছাদাক্বাহ করা ইত্যাদি। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তওবার মাধ্যমে বান্দার পাপ ক্ষমা করে দেন (সূরা আল-ফুরকান : ৬৮-৭০)। আর সূদী ঋণের মূলধন পরিশোধ করা তার উপর অপরিহার্য। পক্ষান্তরে হারাম সূদ পরিশোধ করা অপরিহার্য নয়। এমনকি তার কাছ থেকে সূদ গ্রহণ করা ঋণদাতার জন্য হারাম হবে। কিন্তু যদি অশান্তি, বিশৃঙ্খলা ও ক্ষতির আশঙ্কা করেন, তবে তওবাহ ও ঘৃণার সাথে সূদসহই ঋণ পরিশোধ করবেন’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৬০১৮৫)।
উল্লেখ্য, ‘ফক্বীহগণ বলেছেন, ‘হারাম পন্থায় উপার্জিত অর্থ শুধু উপার্জনকারীর জন্যই হারাম। সন্তান হিসাবে পিতা যদি তাকে উপহার স্বরূপ ঐ মাল থেকে কিছু দেয়, তবে তা গ্রহণ করা তার জন্য বৈধ হবে। আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে পিতার ঐ উপহার বর্জন করাই উত্তম হবে’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৫০১৮)।
প্রশ্নকারী : বায়জীদ, কুষ্টিয়া।