সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : মাদরাসায় যাকাতের অর্থ প্রদান করা বা উক্ত অর্থ দিয়ে মাদরাসার নামে জমি ক্রয় করা এবং ছাত্রদের জন্য আবাসিক বা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা যাবে। তবে শর্ত হল উক্ত মাদরাসা সম্পূর্ণ লিল্লাহ হতে হবে। অর্থাৎ সরকারী বেতন বা রাষ্ট্রীয় কোন অনুদান ছাড়াই সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক যে মাদরাসা পরিচালিত হয়; যেখানে কুরআন, হাদীছ, তাফসীর, উছূল, ফিক্বহ, ফারায়েয, বালাগাত, আবরী সাহিত্য ও ব্যাকরণসহ প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। যেগুলো কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয় এবং শিরক-বিদ‘আত চর্চার কারখানাও নয়। মূলত এ ধরনের মাদরাসাগুলোতেই প্রকৃত ইলম ও দ্বীন চর্চা হয় এবং  ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে থাকে। এ ধরনের মাদরাসাগুলোকে যাকাতের ৮টি খাতের মধ্যে ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হয় (সূরা আত-তওবাহ : ৬০)। এ ব্যাপারে একবিংশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ ফক্বীহ শায়খ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,

আমি মনে করি এ সকল শারঈ ইলম অর্জনকারী অক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা জায়েয। কারণ দ্বীন প্রতিষ্ঠা লাভ করে জ্ঞান এবং হাতিয়ারের মাধ্যমে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান’ (সূরা আত-তাহরীম : ৯)। এটা জানা বিষয় যে, মুনাফিকদের সাথে জিহাদ হচ্ছে ইলম দ্বারা; অস্ত্র দ্বারা নয়। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বই-পুস্তক ক্রয় করার জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করতে হবে। সে বইগুলো ছাত্রদের ব্যক্তি মালিকানাতেও হতে পারে, আবার আমভাবে গ্রন্থাগারের জন্যও হতে পারে- যেখান থেকে ছাত্ররা বই উঠিয়ে পড়বে আবার ফেরত দেবে। কারণ ছাত্রদের জন্য বই হল জিহাদের মাঠে মুজাহিদদের হাতিয়ারের মত।

অনুরূপভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক এবং একাডেমিক ভবন নির্মাণেও যাকাতের অর্থ ব্যয় করা জায়েয। বই ক্রয় এবং ভবন তৈরি উভয় বিষয়ের মাঝে পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, কিতাব থেকে একটু বেশি উপকৃত হয়। কিতাব ছাড়া ইলম অনেকটাই অসম্ভব, যা ভবনের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাছাড়া সেখানে যখন গরীব-ইয়াতীম ছাত্ররা থাকবে, তখন সেই গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের দারিদ্র্যতার জন্য ভবন নির্মাণে ব্যয় করা যাবে (ফকীর বা দরিদ্র ব্যক্তি ৮টি খাতের একটি)। অনুরূপ অন্যান্য মাদরাসাও নির্মাণ করা যাবে যখন মসজিদে দারস দেয়া সম্ভব হবে না। আল্লাহই সর্বাধিক অবগত (মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল, ১৮তম খণ্ড, পৃ. ২৫২-২৫৩)। তবে সরকারী বেতনভুক্ত মাদরাসায় যাকাত বা ওশরের টাকা দেয়া যাবে না (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৮/৪০২; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৪২০০৫)।

প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা।





প্রশ্ন (২৮) : কবরস্থানের গাছের ফলমূল ও পাতা খাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : সূরা আন-নূরের ২৬ নং আয়াতের আলোকে বলা হয়, ‘যে যেমন তার জীবনসঙ্গী তেমন হবে’। কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : আমার মা-বাবার সাথে আমার স্ত্রীর ঝগড়া হওয়ার কারণে কয়েক বছর আগে সে বাপের বাড়ি চলে যায়। আমি তখন বিদেশে ছিলাম। আমি বলেছিলাম, যদি আমাকে নিয়ে সুখী হতে না পার তবে অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখী হও। কিন্তু সে তা করেনি। এখন পর্যন্ত আমরা সংসার করে আসছি। আর সমস্যা হয়নি। প্রশ্ন হল, এভাবে বললে কি ত্বালাক্ব হয়ে যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কোন নাপাক কাপড়ের সাথে অন্য পাক কাপড় থাকলে কিংবা কাপড় থেকে নাপাকি শুকিয়ে গেলে ঐ কাপড় অন্যান্য পাক কাপড়ের সাথে একসাথে ধোয়া যাবে কিনা? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ছোট বাচ্চাদের চোখে কাজল (কালো কালি) দেয়া, কোমরে ডোরা (কালো সুতা) বাঁধা অথবা কপালে কালো ফোঁটা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু’ কিভাবে তাওহীদের সকল প্রকারকে অন্তর্ভুক্ত করে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জুমু‘আর খুৎবাহ বসে বসে দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ইসলামে শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : গাযওয়া হিন্দ‌‌ বা হিন্দুদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছুই শুনা যায়। এগুলো কি হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : ইসলামী সম্মেলনকে লক্ষ্য করে যাকাত ও উশরের টাকা আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : হাদীছে জুমু‘আর খুত্ববাহ সংক্ষিপ্ত ও ছালাত দীর্ঘায়িত করার কথা বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীছের ব্যাখ্যা কী? উলামায়ে কিরাম কী বলেছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : আবূ দাঊদে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ  বলেছেন, যে কুরআনকে মধুর সূরে পাঠ করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়’। উক্ত হাদীছের মূল ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ