উত্তর : রাসূল (ﷺ) হাদীছে কুদসীতে বলেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি ক্বিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরোধী থাকব। তাদের এক ব্যক্তি হল, যে কোন লোককে শ্রমিক নিয়োগ করল এবং তার থেকে কাজ পুরোপুরি আদায় করল, অথচ তার পারিশ্রমিক দিল না’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২৭০)। আদম (আলাইহিস সালাম) থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব নবী-রাসূলই কোন না কোন পরিশ্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘পৃথিবীর সব নবী-রাসূলই ছাগল চরিয়েছেন। ছাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর নবী! আপনি? রাসূল (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ আমিও কয়েক মুদ্রার বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরাতাম। রাসূল (ﷺ) বলেন, সর্বোত্তম রিযিক হচ্ছে যা নিজ হাতে কামাই করে খাওয়া হয়। আল্লাহর নবী দাউদ (আলাইহিস সালাম) নিজ হাতে কাজ করে খেতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৭২)। কৃষি কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কাঠ কাটা এবং কাঠের ফার্নিচার, গরু পালন, তাঁতের কাপড় তৈরি, লোহা দ্বারা যন্ত্রপাতি তৈরি ইত্যাদি সব কাজই বিভিন্ন নবী-রাসূল করেছেন। যারা শ্রমিক তাদের অতিরিক্ত হুকুম বা নির্যাতন কোনটাই করা যায় না। রাসূল (ﷺ) দেখলেন মাসউদ আল-আনছারী তার গোলামকে প্রহার করছেন। আবূ মাসঊদ আওয়াজ শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখলেন রাসূল (ﷺ) কথা বলছেন, ‘তুমি তোমার দাসের যতটুকু ক্ষমতা রাখ, আল্লাহ তদপেক্ষা তোমার ওপর অধিক ক্ষমতার অধিকারী’। আবূ মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম। রাসূল (ﷺ) বললেন, তুমি যদি এটা না করতে তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে ঝলসিয়ে দিত (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৫৯)।
প্রশ্নকারী : ছিয়াম আহমাদ, কুমিল্লা।