উত্তর : ধর্ষণের সন্তান ও ব্যভিচারের সন্তানের বিধান একই। আর সেটা হল- ঐ সন্তান তার মায়ের বংশের দিকে সম্বন্ধিত হবে (ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-৭৫০১, ২৮৯২৭৬)। ধর্ষণের সন্তান বলেই যে, ইসলাম বিদ্বেষী হবে এমন দাবী সঠিক নয়। কেননা শতশত বৈধ পিতা-মাতার এমন সন্তানও আল্লাহদ্রোহী ও ইসলাম বিদ্বেষী হয়। মূলত এজন্য অভিভাবকগণ দায়ী। তারা যদি সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে সন্তানদেরকে লালন-পালন করত, তাহলে হয়তো তারা ভালো হতে পারত। কেননা প্রতিটি নবজাতকই ফিতরাত (তাওহীদের) উপর জন্মলাভ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতার কারণে সে ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান বা অগ্নিপূজারী হয় (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৮৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৫৮)।
উল্লেখ্য, শক্তি প্রয়োগ করে, জোরপূর্বকভাবে কোন মহিলার মান-সম্ভ্রম, ইজ্জত-আব্রু ছিনিয়ে নেয়াকে ধর্ষণ বলে। শরী‘আতের দৃষ্টিতে সামগ্রিকভাবে ধর্ষণ একটি মহাপাপ ও গর্হিত অপরাধ। এর শাস্তি সরাসরি মৃত্যুদ-। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি (সূরা আল-মায়িদাহ : ৩৩; বিস্তারিত দ্র. : ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-৭২৩৩৮)। উল্লেখ্য যে, ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ধর্ষিতাকে মোহরে মিসল দিতে হবে (আল-মুয়াত্ত্বা, ২য় খণ্ড, পৃ. ৭৩৪)। তবে এক্ষেত্রে ধর্ষক এককভাবে শাস্তি ভোগ করবে, ধর্ষিতার কোন শাস্তি হবে না’ (সূরা আন-নূর : ৩৩; ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৪৯)।
প্রশ্নকারী : মাহমুদুল হাসান, সঊদী আবর।