সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন
উত্তর : যদি মানবীয় আকার-আকৃতি গঠিত হওয়ার পর, অর্থাৎ হাত, মাথা, পা বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হওয়ার পর ভ্রুণ বা বাচ্চা বিনষ্ট হয়, তবে এটি নিফাস (প্রসবোত্তর স্রাব) বলেই বিবেচিত হবে। এ অবস্থায় পবিত্র হওয়ার পূর্বে অথবা চল্লিশ দিন পরিপূর্ণ হওয়ার পূর্বে সহবাস, ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। অতঃপর যখন ৪০ দিন পূর্ণ হবে কিংবা যদি চল্লিশ দিন পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই পবিত্র হয়ে যায়, তৎক্ষণাৎ ফরয গোসল করে ছালাত আদায় ও ছিয়াম পালন করা তার জন্য অপরিহার্য এবং স্বামীর সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে। আর যদি মানবীয় আকার-আকৃতি গঠিত হওয়ার পূর্বেই রক্তপিণ্ড অথবা মাংসপিণ্ড অবস্থায় বিনষ্ট হয়! তখন সেটি মুস্তাহাযা (হায়েয ও নিফাস ব্যতীত অতিরিক্ত রজঃস্রাবকে ইসতিহাযা এবং সে মহিলাকে মুস্তাহাযা বলা হয়) বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে তাকে ছালাত আদায়, ছিয়াম পালন সহ সব কিছুই করতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ বলেন, মাতৃগর্ভে ভ্রুণের বয়স ৮১ (একাশি) দিন অতিবাহিত হলে মানুষের আকার-আকৃতি ধারণ করে। যদি নিশ্চিত হয় যে, তিন মাস বয়সের ভ্রুণ পতিত হয়েছে, তবে নির্গত স্রাব নিফাসের স্রাব বলেই গণ্য হবে। কিন্তু যদি এই গর্ভপাত ৮০ (আশি) দিনের কমে হয়, তবে ক্ষরিত পদার্থ নষ্ট রক্তস্রাব বলে গণ্য হবে। তাই এই অবস্থায় সে ছালাত, ছিয়াম, সহবাস প্রভৃতি পরিত্যাগ করবে না। অতএব নারীর উপর আবশ্যক হচ্ছে, দিনগুলোকে স্মরণে রাখা এবং ৮০ দিনের পূর্বে গর্ভপাত হচ্ছে, না-কি অতিবাহিত হওয়ার পর, সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৪২২-৪২৩; ইবনু বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪৩; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন নং-১৮২ ‘ত্বাহারাত’ অধ্যায়)।

সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলে প্রাকৃতিক নিয়মের তুলনায় রক্তপাত কম হয়। অতএব যখন রক্তপাত বন্ধ হবে, অথবা পবিত্রতার দু’টি লক্ষণের মধ্যে কোন একটি পরিলক্ষিত হবে। (১) লজ্জাস্থান শুষ্ক হয়ে যাওয়া, (২) সাদা স্রাব; তাহলে সে প্রসবোত্তর রক্তপাত থেকে পবিত্র হিসাবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায় তার জন্য গোসল করা, ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা এবং সহবাস করা অপরিহার্য। তবে আলেমগণ চল্লিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সহবাস করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সিজার করার পর যদি লজ্জাস্থান থেকে কোন প্রকার রক্ত নির্গত না হয়, সেক্ষেত্রে নিফাসের কোন বিধান তার উপর কার্যকর হবে ন। উক্ত অবস্থায় ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা, সহবাস করা, ইত্যাদি অবিরত থাকবে। তবে সহবাসের ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতার প্রতি সজাগ থাকা অতীব যরূরী। সিজার করা অবস্থায় পেট থেকে যে রক্ত নির্গত হয় তা নিফাসের রক্ত নয়’ (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-১৪২০১, ৫৮৩১৫, ৮১০৮৫, ৮২৯৩; ফিক্বহ বিশ্বকোষ, ৪১তম খণ্ড, পৃ. ১৬; আল-ফিক্বহুল ইসলামী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৩৩; শারহুল বিক্বায়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ১১৪)।


প্রশ্নকারী : আবূ সালেহ, দিনাজপুর।





প্রশ্ন (১৫) : ছিয়াম পালনকারী নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ দিলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : সফরে দুই ওয়াক্তের ছালাত একত্রে দুই-দুই রাক‘আত করে জমা ও ক্বছর করতে হয়। কেউ যদি আশঙ্কা করে যে সে সময় মত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে না, তাহলে মাগরিব ছালাত জামা‘আতে আদায়ের পর এশার দুই রাক‘আত পড়ে জমা করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : আউয়াল ওয়াক্তে ফরয ছালাত আদায় করে বিলম্বিত ওয়াক্তে মসজিদে ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে মুছল্লী কি নফল ছালাতের নিয়ত করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি আছে, যারা ছালাত আদায় করে না, শুধু ঈদের ছালাত আদায় করে। কিছু ব্যক্তি আছে, তারা শুধু জুমু‘আর ছালাত আদায় করে। আবার কিছু ব্যক্তি আছে, যারা দৈনিক ২, ৩, ৪ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে। এই তিন ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীছ ও সালাফে ছালেহীন কী ফৎওয়া দিয়েছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : ইন্টারনেটের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিভিন্ন সংবাদ যেমন বৃষ্টি, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদি অনেক আগেই অবগত হওয়া যায়।  প্রশ্ন হল, এগুলো বিশ্বাস করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কটুক্তি করার প্রতিবাদে যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তারা কি শহীদ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : ইসলামী শরী‘আতে শাফা‘আত কত প্রকার ও কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : তাবলীগ জামায়াতের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ বইয়ের ৯২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২,৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২,৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০)। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : হাদীছে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কুরআনে নিজের মত পেশ করবে সে জাহান্নামে যাবে। যুগ যুগ ধরে মুফাসসিরগণ কুরআনের তাফসীর করতে কুরআন, হাদীছ, ছাহাবী, তাবেঈদের উক্তির পাশাপাশি নিজ চিন্তা, গবেষণা ও মত প্রকাশ করেন। তাহলে হাদীছে নিজ মত প্রকাশ করা বলতে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি ছালাত না পড়ে ইচ্ছা করে ঘুমিয়ে থাকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত তারা মাথায় ফেরেশতা পাথর মারতে থাকবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পর ইফতার করল, অতঃপর বিমান উড্ডয়নের পর সূর্য দেখতে পেল। তার জন্য করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ