বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
উত্তর : যদি মানবীয় আকার-আকৃতি গঠিত হওয়ার পর, অর্থাৎ হাত, মাথা, পা বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হওয়ার পর ভ্রুণ বা বাচ্চা বিনষ্ট হয়, তবে এটি নিফাস (প্রসবোত্তর স্রাব) বলেই বিবেচিত হবে। এ অবস্থায় পবিত্র হওয়ার পূর্বে অথবা চল্লিশ দিন পরিপূর্ণ হওয়ার পূর্বে সহবাস, ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। অতঃপর যখন ৪০ দিন পূর্ণ হবে কিংবা যদি চল্লিশ দিন পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই পবিত্র হয়ে যায়, তৎক্ষণাৎ ফরয গোসল করে ছালাত আদায় ও ছিয়াম পালন করা তার জন্য অপরিহার্য এবং স্বামীর সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে। আর যদি মানবীয় আকার-আকৃতি গঠিত হওয়ার পূর্বেই রক্তপিণ্ড অথবা মাংসপিণ্ড অবস্থায় বিনষ্ট হয়! তখন সেটি মুস্তাহাযা (হায়েয ও নিফাস ব্যতীত অতিরিক্ত রজঃস্রাবকে ইসতিহাযা এবং সে মহিলাকে মুস্তাহাযা বলা হয়) বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে তাকে ছালাত আদায়, ছিয়াম পালন সহ সব কিছুই করতে হবে। বিশেষজ্ঞগণ বলেন, মাতৃগর্ভে ভ্রুণের বয়স ৮১ (একাশি) দিন অতিবাহিত হলে মানুষের আকার-আকৃতি ধারণ করে। যদি নিশ্চিত হয় যে, তিন মাস বয়সের ভ্রুণ পতিত হয়েছে, তবে নির্গত স্রাব নিফাসের স্রাব বলেই গণ্য হবে। কিন্তু যদি এই গর্ভপাত ৮০ (আশি) দিনের কমে হয়, তবে ক্ষরিত পদার্থ নষ্ট রক্তস্রাব বলে গণ্য হবে। তাই এই অবস্থায় সে ছালাত, ছিয়াম, সহবাস প্রভৃতি পরিত্যাগ করবে না। অতএব নারীর উপর আবশ্যক হচ্ছে, দিনগুলোকে স্মরণে রাখা এবং ৮০ দিনের পূর্বে গর্ভপাত হচ্ছে, না-কি অতিবাহিত হওয়ার পর, সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৪২২-৪২৩; ইবনু বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৪৩; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন নং-১৮২ ‘ত্বাহারাত’ অধ্যায়)।

সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলে প্রাকৃতিক নিয়মের তুলনায় রক্তপাত কম হয়। অতএব যখন রক্তপাত বন্ধ হবে, অথবা পবিত্রতার দু’টি লক্ষণের মধ্যে কোন একটি পরিলক্ষিত হবে। (১) লজ্জাস্থান শুষ্ক হয়ে যাওয়া, (২) সাদা স্রাব; তাহলে সে প্রসবোত্তর রক্তপাত থেকে পবিত্র হিসাবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায় তার জন্য গোসল করা, ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা এবং সহবাস করা অপরিহার্য। তবে আলেমগণ চল্লিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সহবাস করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সিজার করার পর যদি লজ্জাস্থান থেকে কোন প্রকার রক্ত নির্গত না হয়, সেক্ষেত্রে নিফাসের কোন বিধান তার উপর কার্যকর হবে ন। উক্ত অবস্থায় ছালাত আদায় করা, ছিয়াম পালন করা, সহবাস করা, ইত্যাদি অবিরত থাকবে। তবে সহবাসের ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতার প্রতি সজাগ থাকা অতীব যরূরী। সিজার করা অবস্থায় পেট থেকে যে রক্ত নির্গত হয় তা নিফাসের রক্ত নয়’ (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-১৪২০১, ৫৮৩১৫, ৮১০৮৫, ৮২৯৩; ফিক্বহ বিশ্বকোষ, ৪১তম খণ্ড, পৃ. ১৬; আল-ফিক্বহুল ইসলামী, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৩৩; শারহুল বিক্বায়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ১১৪)।


প্রশ্নকারী : আবূ সালেহ, দিনাজপুর।





প্রশ্ন (১৩) : যমযমের পানি পানের সময় নিম্নের দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : সহশিক্ষা চালু আছে এমন কলেজে পড়া বা শিক্ষকতা করা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : বাড়ির চাকর থেকে কি পর্দা করতে হবে? কেউ কেউ বলে, মাথায় কাপড় থাকলে সমস্যা নেই। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : শায়খ ড. রাবী ইবনে হাদী আল মাদখালী সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি সালাফী মানহাজ থেকে বের হয়ে গেছেন এমন দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : প্রথম রাক‘আতে দ্বিতীয় সিজদার পর মাথা তোলার সময় তাকবীর দিয়ে জালসা ইস্তিরাহাতের জন্য বসতে হবে, না-কি জালসা ইস্তিরাহাতের পর তাকবীর দিয়ে দাঁড়াতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : গান-বাজনা হারাম মর্মে কোন্ কোন্ দলীল পেশ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ পোশাকের বৈশিষ্ট্য কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ছালাতের সময় নারীদের পায়ের পাতা ঢেকে রাখা ওয়াজিব কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : ব্যাংকারকে বা ব্যাংকারের মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কি? যারা ব্যাংকে চাকুরী করে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : কারো বিরুদ্ধে বদদু‘আ করা বৈধ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : একটি মসজিদে ক্বিবলার ওয়ালের সাথে একটি কবর আছে। কবরটি ইট-সিমেন্ট দিয়ে ঊঁচু করা। বিষয়টি ইমামকে জানালে বলেন, মসজিদের দেয়ালই যথেষ্ট। নতুন করে দেওয়াল দেয়া লাগবে না। উক্ত দাবী কি সঠিক? এমন মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ