উত্তর : কোন পুরুষ শিক্ষকের জন্য কোন তরুণী, জৈবিক চাহিদা সম্পর্কে অবহিত সাবালিকা বেগানা মেয়েকে মুখোমুখি প্রাইভেট পড়ানো হারাম, বিশাল বড় ফিতনা। যে পড়ায় আর যারা পড়ে উভয়ের জন্যই নিষিদ্ধ। শুধু প্রাইভেট পড়ানো নয় বরং স্কুল, মাদরাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার ইত্যাদিতে পুরুষ শিক্ষক দ্বারা মেয়েদেরকে এবং মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা ছেলেদেরকে পড়ানো মারাত্মক ফিতনার কারণ। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামের দৃষ্টিতে এভাবে পড়ানো জায়েয নয়। বরং তা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫০৩৯৮)। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন,
أَلَا لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلَّا كَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ
‘সাবধান! কোন পুরুষ কোনও মহিলার সাথে একান্ত নির্জনে মিলিত হলেই সেখানে অবশ্যই তৃতীয়জন হিসাবে শয়তান অবস্থান করে (এবং পাপাচারে প্ররোচনা দেয়)’ (তিরমিযী, হা/২১৬৫; মিশকাত, হা/৩১১৮; সনদ ছহীহ)। তিনি আরো বলেন,
مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلَا يَخْلُوَنَّ بِامْرَأَةٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَحْرَمٌ
‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন কোন পরনারীর সাথে নির্জনে একত্রিত না হয় যখন তার মাঝে এবং সে নারীর মাঝে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকে। (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১১৪৬২; সনদ ছহীহ ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭২, ১৯০৯)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন,
لا يجوز للرجل تدريس البنات مباشرة؛ لما في ذلك من الخطر العظيم والعواقب الوخيمة
‘কোন পুরুষের জন্য মেয়েদেরকে সরাসরি (মুখোমুখি) পাঠদান করা বৈধ নয়। কারণ এতে রয়েছে মারাত্মক বিপদ ও ধ্বংসাত্মক পরিণতি’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১২/১৪৯ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আখতারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা।