সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
উত্তর : এটি কোন মুমিনের অভ্যাস হতে পারে না। মুমিনের আদর্শ হল, তাঁরা মহান আল্লাহর আনুগত্য ও হুকুম পালনের ক্ষেত্রে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় ও পরোয়া করবে না। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ। সমাজে যখন কোন পাপের প্রচলন ব্যাপক হয়ে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে এই গুণ ছাড়া নেকীর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা সম্ভব নয়। সমাজে কত শত এমন মানুষ আছে যাঁরা পাপাচরণ, আল্লাহদ্রোহিতা এবং সামাজিক অশ্লীলতা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে, কিন্তু এই নিন্দুকের নিন্দা ও তিরস্কারের মোকাবেলা করার মত ক্ষমতা নেই বলে তারাও ঐ পাপের মধ্যে লিপ্ত হয়ে যায়। পাপের ঐ দলবল হতে বের হতে পারে না। ফলস্বরূপ হক্ব ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করার মত তাওফীক্বও লাভ হয় না।

পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন, ‘যারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না’ (সূরা আত-তাওবাহ : ১৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَةَ لَآئِمٍ ‘তাঁরা কোন নিন্দুকের নিন্দার বা তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় করবে না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫৪)। ছাহাবীগণ রাসূল (ﷺ)-এর হাতে বাই‘আত হওয়ার সময় বলেছিলেন, আমরা যেখানেই থাকব হক্ব কথা বলব। আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভৎর্সনাকারীর ভৎর্সনাকে ভয় করব না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭০৯)। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর ভাষণে বললেন, ‘সাবধান! মানুষের ভয় যেন কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে সত্য কথা বলতে বিরত না রাখে। রাবী বলেন, (এ হাদীছ বর্ণনাকালে) আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কেঁদে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বহু কিছু লক্ষ্য করেছি কিন্তু বলতে ভয় পেয়েছি। (ইবনু মাজাহ, হা/৪০০৭; আহমাদ, হা/১০৬৩৪, ১০৮৬২, সনদ ছহীহ)।

দ্বিতীয়তঃ কোন ব্যক্তির জন্য জায়েয নয় নিজের জন্য কোন হালাল জিনিসকে হারাম করে নেয়া অথবা হারাম জিনিসকে হালাল করে নেয়া। কোন মানুষকে এই অধিকার দেয়া হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং রাসূল (ﷺ)-এর কাছে কৈফিয়ত তলব করে বলেন, ‘হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা অবৈধ করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাচ্ছেন? আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আত-তাহরীম : ১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব উৎকৃষ্ট বস্তু হালাল করেছেন সেগুলোকে তোমরা হারাম করো না এবং সীমালংঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারীকে পসন্দ করেন না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৮৭)।


প্রশ্নকারী : জহিরুল ইসলাম, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।প্রশ্নকারী : জহিরুল ইসলাম, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।





প্রশ্ন (৩) : ভিসা প্রসেসিং ব্যবসা কি জায়েয? এ বিষয়ে আলেমদের বক্তব্য কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ‘আল্লাহ কেবল কুরআন হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন, হাদীছের নয়’ আহলে কুরআনের উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : মেয়েরা যে বডি লোশন বা কসমেটিকস ব্যবহার করে সেগুলোতে সুন্দর ঘ্রাণ আছে। সেগুলো কি মেয়েরা ব্যবহার করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : খাৎনা করার সময় মুখে মিষ্টি দেয়া হয়, অনুষ্ঠান করা, গানবাজনা করা এবং গোসল দেয়ার সময় বিভিন্ন নিয়ম পালন করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : অফিসের প্রধান কর্মকর্তা হিন্দু। তাকে সম্মানার্থে সালাম না দিয়ে বরং আদাব দেয়া হয়। আবার অনেকেই নমস্কারও বলে থাকে। এভাবে সম্বোধন করলে গুনাহ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : মাসবূক ব্যক্তি ইমামের সাথে একবার সাহু সিজদা করেছে। অতঃপর মাসবূকের একাকী আদায়কৃত ছালাতে ভুল হলে পুনরায় সাহু সিজদা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : দ্রুত আয়-উপার্জনের জন্য কি কোন আমল আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : খুৎবাহ শুনা কি ওয়াজিব? যদি ওয়াজিব হয়, তাহলে খুৎবাহ চলাকালীন ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : আমরা দুই ভাই এক বোন। বড় ভাই এক ছেলে সন্তান রেখে বাবার আগেই মারা গেছেন। পরে বাবাও মারা যান। বাবার মারা যাওয়ার পর বাবার অছিয়ত অনুযায়ী ভাতিজাকে বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে আমার সমপরিমাণ অংশ দিয়েছি। আমার কোন ছেলে সন্তান নেই, দুই মেয়ে। এখন আমার ভাতিজা কি আমার মৃত্যুর পর আমার সম্পদের অংশ পাবে? পেলে কত অংশ পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে ছালাত আদায়কারীকে রুকুর বিনিময়ে তার ওজন পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় ছাদাক্বাহ করার ছওয়াব দান করা হয়। এ বর্ণনাটি কি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ছিয়াম রাখতে অক্ষম ব্যক্তি কি একজন মিসকীনকে ত্রিশদিন খাওয়াবেন, না-কি ত্রিশজন মিসকীনকে একদিন খাওয়াবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : কুচা ও কাঁকড়া খাওয়ার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ