রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
উত্তর : এটি কোন মুমিনের অভ্যাস হতে পারে না। মুমিনের আদর্শ হল, তাঁরা মহান আল্লাহর আনুগত্য ও হুকুম পালনের ক্ষেত্রে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় ও পরোয়া করবে না। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ। সমাজে যখন কোন পাপের প্রচলন ব্যাপক হয়ে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে এই গুণ ছাড়া নেকীর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা সম্ভব নয়। সমাজে কত শত এমন মানুষ আছে যাঁরা পাপাচরণ, আল্লাহদ্রোহিতা এবং সামাজিক অশ্লীলতা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে, কিন্তু এই নিন্দুকের নিন্দা ও তিরস্কারের মোকাবেলা করার মত ক্ষমতা নেই বলে তারাও ঐ পাপের মধ্যে লিপ্ত হয়ে যায়। পাপের ঐ দলবল হতে বের হতে পারে না। ফলস্বরূপ হক্ব ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করার মত তাওফীক্বও লাভ হয় না।

পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন, ‘যারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না’ (সূরা আত-তাওবাহ : ১৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَةَ لَآئِمٍ ‘তাঁরা কোন নিন্দুকের নিন্দার বা তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় করবে না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫৪)। ছাহাবীগণ রাসূল (ﷺ)-এর হাতে বাই‘আত হওয়ার সময় বলেছিলেন, আমরা যেখানেই থাকব হক্ব কথা বলব। আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভৎর্সনাকারীর ভৎর্সনাকে ভয় করব না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭০৯)। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর ভাষণে বললেন, ‘সাবধান! মানুষের ভয় যেন কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে সত্য কথা বলতে বিরত না রাখে। রাবী বলেন, (এ হাদীছ বর্ণনাকালে) আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কেঁদে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বহু কিছু লক্ষ্য করেছি কিন্তু বলতে ভয় পেয়েছি। (ইবনু মাজাহ, হা/৪০০৭; আহমাদ, হা/১০৬৩৪, ১০৮৬২, সনদ ছহীহ)।

দ্বিতীয়তঃ কোন ব্যক্তির জন্য জায়েয নয় নিজের জন্য কোন হালাল জিনিসকে হারাম করে নেয়া অথবা হারাম জিনিসকে হালাল করে নেয়া। কোন মানুষকে এই অধিকার দেয়া হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং রাসূল (ﷺ)-এর কাছে কৈফিয়ত তলব করে বলেন, ‘হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা অবৈধ করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাচ্ছেন? আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আত-তাহরীম : ১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব উৎকৃষ্ট বস্তু হালাল করেছেন সেগুলোকে তোমরা হারাম করো না এবং সীমালংঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারীকে পসন্দ করেন না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৮৭)।


প্রশ্নকারী : জহিরুল ইসলাম, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।প্রশ্নকারী : জহিরুল ইসলাম, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।





প্রশ্ন (২৭) : জামা‘আতের ছালাতে ইমাম সাহেব জোরে তাকবীর বলা এবং মুক্তাদির নিঃশব্দে তাকবীর বলার দলীল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কোন শ্রেণীর ভিক্ষুক স্বাদাক্বাহ পাওয়ার অধিক উপযুক্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : পাইলস, অর্শ, ভগন্দর রোগের কারণে তেল বা মলম ব্যবহার করলে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রামাযান মাসে তারাবীহর ছালাত সর্বনিম্ন দুই রাক‘আত পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মানুষ রাতে ঘুমালে শয়তান তার গ্রীবাদেশে তিনটি গিরা দেয়। শয়তানের এই তিনটি গিরা খোলার উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জনৈক মাযহাবী ভাই বলেছে যে, দুই রাক‘আত ছালাত মাযহাবের অনুসরণ ব্যতীত আদায় করা সম্ভব নয়। যেমন, ‘রুকূতে যাওয়ার সময় ইমামের জোরে তাকবীর আর মুছল্লীর আস্তে তাকবীর দেয়া’ মাসয়ালটি মাযহাবের সাহায্য ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়। কেননা উক্ত মাসয়ালা কুরআন ও হাদীছে কোথায় নেই। প্রশ্ন হল- তার উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : আল্লাহর তা‘আলার গুণবাচক নাম কতটি এবং সেগুলো মুখস্থের ফযীলত কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : গরীব-মিসকীন ছাড়া কুরআনে উল্লেখিত আট শ্রেণীর অন্যদের মাঝে কি ফিতরা বণ্টন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করেছেন কি-না? দলীলসহ জানতে চাই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : তৃতীয় সিজারের সময় ডাক্তাররা মহিলার নাড়ি উল্টিয়ে দেয়। কারণ ৪র্থ সন্তান আসলে মহিলার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এটা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : আমি নিয়মিত কবর খনন করি। আমি জানতে চাচ্ছি যে, কবর খনন করলে কী নেকী হয়? প্রচলিত আছে, যে ১০০টি কবর খনন করবে সে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। এর প্রমাণে কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ‘স্ত্রীকে খুশি করার জন্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব প্রকাশের জন্য দাড়িতে কলপ ব্যবহার করা যায়’ মর্মে বর্ণিত বর্ণনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ