মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ন
উত্তর : এটি কোন মুমিনের অভ্যাস হতে পারে না। মুমিনের আদর্শ হল, তাঁরা মহান আল্লাহর আনুগত্য ও হুকুম পালনের ক্ষেত্রে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় ও পরোয়া করবে না। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ। সমাজে যখন কোন পাপের প্রচলন ব্যাপক হয়ে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে এই গুণ ছাড়া নেকীর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা সম্ভব নয়। সমাজে কত শত এমন মানুষ আছে যাঁরা পাপাচরণ, আল্লাহদ্রোহিতা এবং সামাজিক অশ্লীলতা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে, কিন্তু এই নিন্দুকের নিন্দা ও তিরস্কারের মোকাবেলা করার মত ক্ষমতা নেই বলে তারাও ঐ পাপের মধ্যে লিপ্ত হয়ে যায়। পাপের ঐ দলবল হতে বের হতে পারে না। ফলস্বরূপ হক্ব ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করার মত তাওফীক্বও লাভ হয় না।

পক্ষান্তরে আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন, ‘যারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না’ (সূরা আত-তাওবাহ : ১৮)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَةَ لَآئِمٍ ‘তাঁরা কোন নিন্দুকের নিন্দার বা তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় করবে না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫৪)। ছাহাবীগণ রাসূল (ﷺ)-এর হাতে বাই‘আত হওয়ার সময় বলেছিলেন, আমরা যেখানেই থাকব হক্ব কথা বলব। আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভৎর্সনাকারীর ভৎর্সনাকে ভয় করব না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭০৯)। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং তাঁর ভাষণে বললেন, ‘সাবধান! মানুষের ভয় যেন কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে সত্য কথা বলতে বিরত না রাখে। রাবী বলেন, (এ হাদীছ বর্ণনাকালে) আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কেঁদে দিলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বহু কিছু লক্ষ্য করেছি কিন্তু বলতে ভয় পেয়েছি। (ইবনু মাজাহ, হা/৪০০৭; আহমাদ, হা/১০৬৩৪, ১০৮৬২, সনদ ছহীহ)।

দ্বিতীয়তঃ কোন ব্যক্তির জন্য জায়েয নয় নিজের জন্য কোন হালাল জিনিসকে হারাম করে নেয়া অথবা হারাম জিনিসকে হালাল করে নেয়া। কোন মানুষকে এই অধিকার দেয়া হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং রাসূল (ﷺ)-এর কাছে কৈফিয়ত তলব করে বলেন, ‘হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা অবৈধ করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাচ্ছেন? আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সূরা আত-তাহরীম : ১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব উৎকৃষ্ট বস্তু হালাল করেছেন সেগুলোকে তোমরা হারাম করো না এবং সীমালংঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারীকে পসন্দ করেন না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৮৭)।


প্রশ্নকারী : জহিরুল ইসলাম, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।প্রশ্নকারী : জহিরুল ইসলাম, চাষাড়া, নারায়ণগঞ্জ।





প্রশ্ন (১৯) : এশার ছালাতের পর দু’রাক‘আত নফল ছালাত দু’শ রাক‘আত ছালাতের ছওয়াবের সমান। কথাটির সত্যতা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ঔষধের মাধ্যমে কোন মহিলা তার ঋতুস্রাব  বন্ধ করে ছিয়াম পালন করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ফের্কাবন্দী অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ‘ষাট বছরের জীবনে কেউ এক ওয়াক্ত ছালাত ছেড়ে দিলেও সে কাফের’। সালাফদের থেকে এরকম কোন বক্তব্য পাওয়া যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : অনেক আগের কবরস্থানের উপর দিয়ে কি চলাচল করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : এশার ছালাতের সঠিক সময় কখন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : আশূরার দিন সংঘটিত হওয়া কোন্ কোন্ ঘটনা ছহীহ ও প্রমাণিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : জনৈক ব্যক্তি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে প্রবাসে থাকে। প্রতি সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা কাজের অনুমতি থাকলেও রাত জেগে সে ২টা কাজ করে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠায়। প্রশ্ন হল- এইভাবে কাজ করা বা টাকা পাঠানো কি হারাম হচ্ছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কোন ব্যক্তি এক ছেলেসহ তার স্ত্রীকে ত্বালাক্ব দেয়। পরে সেই ব্যক্তি এমন এক মহিলাকে বিয়ে করে যে মহিলার আগের পক্ষের এক মেয়ে আছে। প্রশ্ন হল- এই ব্যক্তির পূর্বের স্ত্রীর ছেলের সাথে নতুন বিবাহিত স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়ের সাথে বিবাহ বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ইমাম নাভীর নিচে বা নাভী বরাবর হাত বাঁধে, সিজদায় দুই হাত কুকুরের মত বিছিয়ে রাখে, সশব্দে আমীন বলে না, রফঊল ইয়াদায়েন করে না, সম্মিলিত মুনাজাত করে ইত্যাদি। এমন ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : সুস্থ সক্ষম পিতা-মাতার জন্য বদলি ওমরাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মুনাজাতের পর মুখে হাত মাসাহ করা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ