উত্তর : যদি মিথ্যা, প্রতারণা ও ঘুষমুক্ত হয় তবে জায়েয। কিন্তু বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ভিসা প্রসেসিং করা হয়, তা শারঈ দৃষ্টি হারাম। কারণ এতে প্রতারণা, ঘুষ ও মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়। ভিসা করতে যে টাকা খরচ হয়, অধিকাংশ ব্যক্তি তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে তা বিক্রি করে। এখানে পুরো লেনদেন হয় হারাম চুক্তির উপর। এ বিষয়ে শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.) বলেন, এই ভিসা ব্যবসা জায়েয নয়। বরং এটি ধোঁকাবাজি, প্রতারণা এবং মিথ্যাচারের নামান্তর। বিল্ডিং নির্মাণ, ক্ষেত-খামার বা অন্য কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে আসা যাবে। কিন্তু মিথ্যা বলে ভিসা উঠিয়ে সেগুলো বিক্রয় করবে-এটা জায়েয হবে না। এটা রাষ্ট্রের সাথে মিথ্যাচার। শায়খ উছায়মীন (রহ.) বলেন, ভিসা হল একটি পারমিট। কোন ব্যক্তি মন্ত্রণালয় থেকে একজন শ্রমিক আনার পারমিট উঠালো। তারপর অন্যের নিকট তা বিক্রয় করে দিল। এটা হারাম-নাজায়েজ। ...এখানে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে (লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৫/১৭০ পৃ.)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া বোর্ড বলেছে, এই উপার্জন হারাম। এখানে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে- যেহেতু এটি জনস্বার্থে প্রণীত সরকারী আইনের লঙ্ঘন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৪/১৮৯)।
প্রশ্নকারী : রেযাউল্লাহ, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া।