বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন
উত্তর : মক্কার হারাম এলাকা সুনির্দিষ্ট। হারামের চতুর্দিকে সীমানা-পিলার বসানো আছে এবং পিলারের উপর সাধারণ মানুষের বুঝার জন্য তথ্য লেখা আছে। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মদীনার দিকে মক্কার হারাম এলাকার সীমানা হচ্ছে মক্কা থেকে ৩ মাইল দূরে ‘তানঈমে’র আগে বনী নিফার গোত্রের বাড়িঘরের কাছাকাছি। ইয়ামানের দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৭ মাইল দূরে ‘আদাত লাবানে’র প্রান্তভাগ। তায়েফের দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৭ মাইল দূরে আরাফা ময়দানের ‘নামিরা’র নীচুভূমি। ইরাকের দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৭ মাইল দূরে ‘আল-মুকাত্তা’ নামক স্থানের পাহাড়ি পথ পর্যন্ত। আল-জিয়িরানার দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৯ মাইল দূরে আব্দুল্লাহ ইবনু খালেদ বংশের গিরিপথ। জেদ্দার দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ১০ মাইল দূরে ‘মুনকাতিউল আ‘শাশ’ নামক স্থান পর্যন্ত’ (আল-মাজমূঊ, ৭/৪৬৩ পৃ.; ফিক্হ বিশ্বকোষ, ১৭/১৮৫-১৮৬ পৃ.)

হারাম এলাকার সীমানা নির্ধারণের এ মতভেদ সম্ভবত মাইলের হাত ও এর প্রকারভেদ নির্ধারণের সাথে সম্পৃক্ত। মাইল গণনা শুরু হবে হাজারে আসওয়াদ থেকে। বর্তমানে হারামের সীমানা বিভিন্ন দিক থেকে মিনারের ন্যায় সুস্পষ্ট পিলারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পিলারের গায়ে আরবী ও অনারবী ভাষায় এর পরিচয় লেখা আছে (ফিক্বহ বিশ্বকোষ, ৫/২৫৮-২৫৯ পৃ.)। সুতরাং যে জায়গাটি এ পিলারের ভেতরে পড়বে সে স্থানটি মক্কার হারাম এলাকা হিসাবে গণ্য হবে। এ জায়গার ক্ষেত্রে শরী‘আতের বিশেষ বিধানগুলো প্রজোয্য হবে; স্থানটির অফিসিয়াল নাম যেটাই হোক না কেন। আর যে স্থান এ পিলারগুলোর বাইরে পড়বে সে স্থান মক্কার হারাম এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। হারাম এলাকার কোন হুকুম সে স্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এমনকি সে জায়গাটিকে যদি লোকেরা মক্কা বলে ডাকে তবুও অথবা সময়ের ব্যবধানে মানুষ যদি সে স্থানকে মক্কার একটি এলাকা মনে করে তবুও (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৭৭১৮৯)। উল্লেখ্য, এক মাইল সমান ১৮৪৮ মিটার।


প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ নাফিস, সাতক্ষীরা।





প্রশ্ন (১৯) : কোন জঙ্গলে বা জনবসতিহীন এলাকায় উৎপন্ন ফল বা সবজি খাওয়া হালাল হবে কি? উল্লেখ্য, ফল বা সবজিগুলোর মালিক থাকলেও আসে না, যে কারণে সেগুলো পরিপক্ক হয়ে মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা অহংকারের লক্ষণ। প্রশ্ন হল- কেউ অহংকার না করে টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : উঠাবাসা করতে সমস্যা হয় কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে ও হাঁটতে কোন সমস্যা হয় না। বাজারেও হেঁটে বেড়ানো যায় কিন্তু মসজিদে ছালাতের সময় চেয়ার কিংবা টুলে বসে ছালাত আদায় করতে হয়। এ অবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : হজ্জ বা ওমরা আদায় করার জন্য কাউকে দায়িত্ব প্রদান করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : অনিয়মিত ছালাত আদায়কারীর জানাযার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ওযূতে কান মাসাহ-এর ক্ষেত্রে কানের ভিতরের অংশ বলতে কোন্ অংশকে বুঝায়? শুধু কানের ছিদ্র, না-কি ভিতরের সম্পূর্ণ অংশ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ওযূ করার সময় যদি বার বার মনে হয় যে, বায়ু নির্গত হয়েছে। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জনৈক মুরীদের দাবী হল, পীর সবকিছু করে দিবে। মুরীদ না হলে মৃত্যুর সময় শয়তান এসে ঈমান লুটে নিবে। তার উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত্য করা, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের উলিল আমরের আনুগত্য কর’ (সূরা আন-নিসা : ৫৯)। উক্ত আয়াতে وَ اُولِی الۡاَمۡرِ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ‘আল্লাহ কেবল কুরআন হেফাযতের দায়িত্ব নিয়েছেন, হাদীছের নয়’ আহলে কুরআনের উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : সাহু সিজদা দেয়ার সময় দুই সিজদার মাঝে দু‘আ পড়তে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : তিন ব্যক্তির দু‘আ কবুল হয় না; যে তার চরিত্রহীনা স্ত্রীকে ত্বালাক্ব দেয় না, যে ঋণ প্রদান করে সাক্ষী রাখে না এবং যে মূর্খ বা বুদ্ধিহীন ব্যক্তি (অপচয়কারী)-এর হাতে অর্থ প্রদান করে। উক্ত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ