উত্তর : মক্কার হারাম এলাকা সুনির্দিষ্ট। হারামের চতুর্দিকে সীমানা-পিলার বসানো আছে এবং পিলারের উপর সাধারণ মানুষের বুঝার জন্য তথ্য লেখা আছে। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মদীনার দিকে মক্কার হারাম এলাকার সীমানা হচ্ছে মক্কা থেকে ৩ মাইল দূরে ‘তানঈমে’র আগে বনী নিফার গোত্রের বাড়িঘরের কাছাকাছি। ইয়ামানের দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৭ মাইল দূরে ‘আদাত লাবানে’র প্রান্তভাগ। তায়েফের দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৭ মাইল দূরে আরাফা ময়দানের ‘নামিরা’র নীচুভূমি। ইরাকের দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৭ মাইল দূরে ‘আল-মুকাত্তা’ নামক স্থানের পাহাড়ি পথ পর্যন্ত। আল-জিয়িরানার দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ৯ মাইল দূরে আব্দুল্লাহ ইবনু খালেদ বংশের গিরিপথ। জেদ্দার দিকের সীমানা হচ্ছে- মক্কা থেকে ১০ মাইল দূরে ‘মুনকাতিউল আ‘শাশ’ নামক স্থান পর্যন্ত’ (আল-মাজমূঊ, ৭/৪৬৩ পৃ.; ফিক্হ বিশ্বকোষ, ১৭/১৮৫-১৮৬ পৃ.)।
হারাম এলাকার সীমানা নির্ধারণের এ মতভেদ সম্ভবত মাইলের হাত ও এর প্রকারভেদ নির্ধারণের সাথে সম্পৃক্ত। মাইল গণনা শুরু হবে হাজারে আসওয়াদ থেকে। বর্তমানে হারামের সীমানা বিভিন্ন দিক থেকে মিনারের ন্যায় সুস্পষ্ট পিলারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পিলারের গায়ে আরবী ও অনারবী ভাষায় এর পরিচয় লেখা আছে (ফিক্বহ বিশ্বকোষ, ৫/২৫৮-২৫৯ পৃ.)। সুতরাং যে জায়গাটি এ পিলারের ভেতরে পড়বে সে স্থানটি মক্কার হারাম এলাকা হিসাবে গণ্য হবে। এ জায়গার ক্ষেত্রে শরী‘আতের বিশেষ বিধানগুলো প্রজোয্য হবে; স্থানটির অফিসিয়াল নাম যেটাই হোক না কেন। আর যে স্থান এ পিলারগুলোর বাইরে পড়বে সে স্থান মক্কার হারাম এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয়। হারাম এলাকার কোন হুকুম সে স্থানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এমনকি সে জায়গাটিকে যদি লোকেরা মক্কা বলে ডাকে তবুও অথবা সময়ের ব্যবধানে মানুষ যদি সে স্থানকে মক্কার একটি এলাকা মনে করে তবুও (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৭৭১৮৯)। উল্লেখ্য, এক মাইল সমান ১৮৪৮ মিটার।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ নাফিস, সাতক্ষীরা।