উত্তর : নিঃসন্দেহে এটা এক প্রকার প্রতারণা। চাকরী, পরীক্ষা, স্কলারশিপ, ক্রয়-বিক্রয় বা অন্য যে কোন বিষয়ে ধোঁকা দেয়া হারাম। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي ‘যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১-১০২)। ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেন যে, كَرِهُوا الْغِشَّ وَقَالُوا الْغِشُّ حَرَامٌ" ‘আলেমদের মতানুযায়ী প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি খুবই জঘন্য অপরাধ এবং তাঁরা বলেছেন, প্রতারণা করা হারাম’ (তিরমিযী, হা/১৩১৫)। শায়খ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে ও অন্যান্য সব ক্ষেত্রেই প্রতারণা করা হারাম’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৬/৩৯৭ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-র্দাব, ২/২৪ পৃ.)। সুতরাং স্কুলে ফর্ম ফিল-আপ করার জন্য, চাকুরীর সময়সীমা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যে জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট তৈরির সময় প্রকৃত জন্ম তারিখের পরিবর্তে অন্য তারিখ ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে মিথ্যা ও প্রতারণার শামিল। ইসলামের দৃষ্টিতে তা কাবীরা গুনাহ এবং দেশের প্রচলিত আইনেও অপরাধ। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘... তোমরা মিথ্যাচার বর্জন কর। কেননা মিথ্যা পাপাচারের দিকে ধাবিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামে নিয়ে যায়। কোন ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বলতে থাকলে এবং মিথ্যাচারকে স্বভাবে পরিণত করলে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তার নাম মিথ্যুক হিসাবেই লেখা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬০৯৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬০৭)।
প্রশ্নকারী : আফীফ, নওগাঁ।