উত্তর :এ ব্যাপারে স্পষ্ট কথা হল এই যে, মুমিনদের সন্তানগণ জান্নাতী হবে। কিন্তু কাফির, মুশরিকদের সন্তানদের ব্যাপারে আলিমগণ বিভিন্ন হাদীছের কারণে সর্বমোট চারটি মতে বিভক্ত হয়েছেন। যথা : ১- তারা জান্নাতে যাবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪০৪৭; মুসনাদে আহমাদ, ৫/৫৮ পৃ.)। ২- তাদের সম্পর্কে কোন কিছু বলা যাবে না (ছহীহ বুখারী, হা/৩৮৩১, ৪৮৩১)। ৩- তারা তাদের পিতাদের অনুগমন করবে (মুসনাদে আহমাদ, ৬/৪৮)। ৪- তাদেরকে হাশরের মাঠে পরীক্ষা করা হবে। সে পরীক্ষায় যারা পাশ করবে তারা হবে জান্নাতী। আর পাশ না করলে হবে জাহান্নামী। আর এ মতটিই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত (মুসনাদে আহমাদ, ৪/২৪)। সত্যাম্বেষী আলিমগণ এ মতটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন (তাফসীরে ইবনু কাছীর, সূরা বাণী ইসরাঈলের ১৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্র.)। শেষ বিচারের দিনে কাফির ও মুশরিকরা যেন অজুহাত উত্থাপন করতে না পারে যে, হে আল্লাহ! কোন্ কাজে আপনি সন্তুষ্ট আর কোন্ কাজে আপনি অসন্তুষ্ট হন, তা আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি। জানতে পারলে অবশ্যই আমরা আপনার সন্তুষ্টির পথ অবলম্বন করতাম। পথভ্রষ্ট লোকেরা যাতে এহেন অজুহাত পেশ করতে বা বাহানার আশ্রয় নিতে না পারে, তজ্জন্য আল্লাহ তা‘আলা স্পষ্ট নিদর্শনসহ নবীগণকে প্রেরণ করেছেন এবং তারা সর্বস্ব উৎসর্গ করে সত্য পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং কাল ক্বিয়ামতের মাঠে কেউ আল্লাহর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে উঠতে পারবে না যে, আল্লাহ তাদেরকে কোন সুযোগ দেননি, কিংবা তাদের কাছে কোন নবী প্রেরণ করেননি (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ২/১৪৫-১৪৬ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ মুছ‘আব, সিলেট।