উত্তর : হিজড়া ব্যক্তির দান গ্রহণ করা যাবে। তারা তো মানুষ। সমাজের কুদৃষ্টির কারণে এ ধরনের প্রশ্ন আসে। এগুলো জঘন্য ধারণা। আল্লাহ তা'আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমরা যা যমীন থেকে তোমাদের জন্য উৎপাদন করি তা থেকে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর; এবং নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প করো না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৬২)। অন্যত্র তিনি বলেন,
لَنۡ تَنَالُوا الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیۡمٌ
‘তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস হতে আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত’ (সূরা আলে ইমরান: ৯২)। উক্ত আয়াতদ্বয় থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দান-ছাদাকাহ ক্ববুলের জন্য শুধু নারী পুরুষ উদ্দেশ্য নয় বরং হিজড়া সহ সকলেই এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্নকারী : এসকে রাহুল, মুর্শিদাবাদ, ভারত।