উত্তর : চুলের ক্ষেত্রে নবী (ﷺ)-এর আদর্শ হল- সবগুলো চুল রেখে দেয়া কিংবা সবগুলো চুল ফেলে দেয়া। এমন ছিল না যে, তিনি কিছু অংশের চুল কেটে ফেলতেন, আর কিছু অংশের চুল রেখে দিতেন। যদি কেউ মাথার কিছু অংশের চুল কেটে ফেলে, কিছু অংশ রেখে দেয় তাহলে সেটাই ‘কুযা’-এর অন্তর্ভুক্ত, যা করতে নবী (ﷺ) নিষেধ করেছেন। এই ‘কুযা’ কয়েক প্রকার হতে পারে। যথা :
(১) মাথার কিছু কিছু জায়গার চুল কাটা অপর কিছু কিছু জায়গা রেখে দেয়া।
(২) মাথার সাইডের চুলগুলো কেটে ফেলে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেয়া।
(৩) মাথার মাঝখানের চুলগুলো কেটে সাইডের চুলগুলো রেখে দেয়া।
(৪) মাথার সামনের চুলগুলো কেটে পিছনের চুলগুলো রেখে দেয়া।
(৫) মাথার পিছনের চুলগুলো কেটে সামনের চুলগুলো রেখে দেয়া।
(৬) মাথার এক পার্শ্বের কিছু চুল কামাই করে বাকীগুলো রেখে দেয়া।
এ ধরনের স্টাইল হারাম (ছহীহ বুখারী, হা/৫৯২১)।
ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) আরও বর্ণিত আছে যে, ‘একবার নবী (ﷺ) দেখলেন যে, এক শিশুর মাথার কিছু চুল কেটে ফেলা হয়েছে, আর কিছু চুল রেখে দেয়া হয়েছে; তখন তিনি তাদেরকে এরূপ করতে বারণ করেন (আবূ দাঊদ, হা/৪১৯৫)। মারওয়াযী বলেন, আমি আবূ আব্দুল্লাহ তথা আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)-কে মাথার পিছনের চুল কেটে ফেলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটি অগ্নিপুজারীদের কাজ। যে ব্যক্তি যাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই দলভুক্ত’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৫১৬)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান, নওদাপাড়া।