সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
আল-কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত
- আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম*

(৮ম কিস্তি) 

সূরা ‘হূদ’ তেলাওয়াত করার ফযীলত 

সূরা হূদ ও তার অনুরূপ সূরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চুল পাকিয়ে দিয়েছিল। কারণ এগুলো সূরা নিয়ে তিনি গভীর অনুধাবন করতেন। সূরা হূদ এবং তার বোনসমূহ ঐসব সূরার অন্যতম, যাতে পূর্ববর্তী জাতিসমূহের উপর আপতিত আল্লাহর শাস্তি, বিভিন্ন কঠিন আযাব, ক্বিয়ামতের ভয়াবহ ঘটনাবলী, পুরস্কার এবং শাস্তির বিষয়গুলো বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত সূরাগুলোর বিষয়বস্তু অত্যন্ত ভয়াবহ ও ভীতিপ্রদ হওয়ার কারণে এসব সূরা অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র চেহারায় বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দেয়।

ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার তো চুল পেকে গেল! তিনি বললেন,

شَيَّبَتْنِيْ هُوْدٌ وَالْوَاقِعَةُ وَالْمُرْسَلَاتُ وَعَمَّ يَتَسَاءَلُوْنَ وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ

‘সূরা হূদ, আল-ওয়াক্বিয়াহ, আল-মুরসালাত, আম্মা ইয়াতা-আলূন, ওয়া ইযাশ শামসু কুব্বিরাত আমার চুল পাকিয়ে ফেলেছে’।[১] তিনি আরো বলেন,شَيَّبَتْنِيْ هُوْدٌ وَأَخْوَاتُهَا قَبْلَ الْمَشِيْبِ ‘সূরা হূদ এবং তার বোনসমূহ বার্ধক্যের পূর্বেই আমার চুল পাকিয়ে ফেলেছে’।[২] তিনি আরো বলেন,شَيَّبَتْنِيْ هُوْدٌ وَأَخْوَاتُهَا مِنَ الْمُفَصَّلُ ‘সূরা হূদ এবং তার মুফাছছাল বোনসমূহ আমার চুল পাকিয়ে ফেলেছে’।[৩] তিনি আরো বলেন,شَيَّبَتْنِيْ هُوْدٌ وَأَخْوَاتُهَا  ‘সূরা হূদ এবং তার বোনসমূহ আমার চুল পাকিয়ে ফেলেছে’।[৪]

জ্ঞাতব্য : এখানে হূদের বোনসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হল- ‘সূরা আল-ওয়াক্বিয়াহ, আল-মুরসালাত, আম্মা ইয়াতা-আলূন, ওয়া ইযাশ শামসু কুব্বিরাত। যা ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।[৫] তবে ইমাম হাকিম (রাহিমাহুল্লাহ) এবং ত্বাবারাণী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সাথে সূরা ‘আল-হাক্বক্বাহ’ বৃদ্ধি করেছেন। ইবনু মারদুবিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) সূরা ‘হাল আতাকা’ বৃদ্ধি করেছেন। ইবনু সা‘দ (রাহিমাহুল্লাহ) সূরা ‘আল-ক্বারি‘আহ’, ‘সা’আলা সা’ইলুন’ এবং ‘ইক্বতারাবাতিস সা‘আহ’ বৃদ্ধি করেছেন।[৬]

সূরা বানী ইসরাঈল, আল-কাহফ, মারইয়াম এবং আয-যুমার তেলাওয়াত করার ফযীলত

عَنْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ فِىْ بَنِىْ إِسْرَائِيْلَ وَالْكَهْفِ وَمَرْيَمَ إِنَّهُنَّ مِنَ الْعِتَاقِ الأُوَلِ وَهُنَّ مِنْ تِلَادِىْ.

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘সূরা বানী ইসরাঈল, আল-কাহফ এবং মারইয়াম এগুলো আমার প্রাচীন সম্পদ বা সর্বপ্রথম পুঁজি’।[৭] অর্থাৎ প্রাচীন সূরাসমূহের মধ্যে এগুলো অন্যতম।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَانَ النَّبِىُّ ﷺ لَا يَنَامُ عَلَى فِرَاشِهِ حَتَّى يَقْرَأَ بَنِىْ إِسْرَائِيْلَ وَالزُّمَرَ.

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) প্রতিরাতে সূরা বানী ইসরাইল ও আয-যুমার না পড়া পর্যন্ত ঘুমাতেন না।[৮]

সূরা ‘আল-কাহ্ফ’ তেলাওয়াত করার ফযীলত

সূরা আল-কাহ্ফ গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। এ সূরার মধ্যে কাহাফ বা গুহাবাসীদের আলোচনা স্থান পেয়েছে। এ সূরা তেলাওয়াতের অত্যধিক ফযীলত রয়েছে। যেমন-

১. প্রশান্তি লাভের মাধ্যম

এ সূরা তেলাওয়াত প্রশান্তি লাভের মাধ্যম। হাদীছে এসেছে,

عَنِ الْبَرَاءِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَجُلٌ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْكَهْفِ وَإِلَى جَانِبِهِ حِصَانٌ مَرْبُوْطٌ بِشَطَنَيْنِ فَتَغَشَّتْهُ سَحَابَةٌ فَجَعَلَتْ تَدْنُوْ وَتَدْنُوْ وَجَعَلَ فَرَسُهُ يَنْفِرُ فَلَمَّا أَصْبَحَ أَتَى النَّبِىَّ ﷺ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ تِلْكَ السَّكِيْنَةُ تَنَزَّلَتْ بِالْقُرْآنِ.

বারা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি সূরা আল-কাহ্ফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার ঘোড়াটি দু’টি রশি দিয়ে তার পাশে বাঁধা ছিল। তখন এক টুকরো মেঘ এসে তার উপর ছায়া দান করল। মেঘখণ্ড ক্রমেই নিচের দিকে নেমে আসতে লাগল। আর তার ঘোড়াটি ভয়ে লাফালাফি শুরু করে দিল। সকাল বেলা যখন নবী (ﷺ)-এর নিকট উক্ত ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন, তখন তিনি (ﷺ) বললেন, এ ছিল আস-সাকীনা তথা প্রশান্তি, যা কুরআন তেলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল।[৯]

২. দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা

ক্বিয়ামতের পূর্বে দাজ্জালের ফিতনা সবচেয়ে ভয়াবহ ফিতনা। এ কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছালাতের মধ্যে দাজ্জালের ফিতনা থেকে পরিত্রাণ চাইতে বলেছেন। সূরা আল-কাহ্ফ দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপত্তা লাভের অন্যতম মাধ্যম। হাদীছে এসেছে,    

عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ حَفِظَ عَشَرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُوْرَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ.

আবুদ্দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জাল হতে নিরাপদে রাখা হবে’।[১০]

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِهَا ثُمَّ خَرَجَ الدَّجَّالُ لَمْ يُسَلَّطْ عَلَيْهِ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘(যেভাবে সূরা আল-কাহ্ফ অবতীর্ণ হয়েছে সেভাবে) যে শেষ দশ আয়াত পড়বে, অতঃপর দাজ্জালের আগমণ হবে। কিন্তু দাজ্জাল তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না’।[১১]

عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ ذَكَرَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ الدَّجَّالَ ذَاتَ غَدَاةٍ فَخَفَّضَ فِيْهِ وَرَفَّعَ حَتَّى ظَنَنَّاهُ فِيْ طَائِفَةِ النَّخْلِ فَلَمَّا رُحْنَا إِلَيْهِ عَرَفَ ذَلِكَ فِيْنَا فَقَالَ مَا شَأْنُكُمْ؟ قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ غَدَاةً فَخَفَّضْتَ فِيْهِ وَرَفَّعْتَ حَتَّى ظَنَنَّاهُ فِيْ طَائِفَةِ النَّخْلِ فَقَالَ غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِيْ عَلَيْكُمْ إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيْكُمْ فَأَنَا حَجِيْجُهُ دُوْنَكُمْ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيْكُمْ فَامْرُؤٌ حَجِيْجُ نَفْسِهِ وَاللهُ خَلِيْفَتِيْ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ طَافِئَةٌ كَأَنِّيْ أُشَبِّهُهُ بِعَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَطَنٍ فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُوْرَةِ الْكَهْفِ.

নাওওয়াস ইবনে সাম‘আন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা সকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। আলোচনার সময় তিনি তার ব্যক্তিত্বকে তুচ্ছ করে তুলে ধরেন। পরে অনেক গুরুত্ব সহকারে উপস্থিত করেন, যাতে তাকে আমরা ঐ বৃক্ষরাজির নির্দিষ্ট এলাকায় (আবাসস্থল সম্পর্কে) ধারণা করতে লাগলাম। এরপর আমরা সন্ধ্যায় আবার তার কাছে গেলাম। তিনি আমাদের মধ্যে এর প্রভাব দেখতে পেয়ে বললেন, তোমাদের ব্যাপার কী? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং এতে আপনি কখনো তার ব্যক্তিত্বকে তুচ্ছ করে তুলে ধরেছেন, আবার কখনো তার ব্যক্তিত্বকে বড় করে তুলে ধরেছেন। ফলে আমরা মনে করেছি, দাজ্জাল বুঝি এই খেজুরের বাগানের মধ্যেই বিদ্যমান। এ কথা শুনে তিনি বললেন, দাজ্জাল নয়, বরং আমি তোমাদের ব্যাপারে অন্য কিছুর অধিক ভয় করছি। তবে শোন, আমি তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকা অবস্থায় যদি দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হয়, তবে আমি নিজেই তাকে প্রতিহত করব। তোমাদের প্রয়োজন হবে না। আর যদি আমি তোমাদের মাঝে না থাকাবস্থায় দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হয়, তবে প্রত্যেক মুমিন লোক নিজের পক্ষ হতে তাকে প্রতিহত করবে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আল্লাহ তা‘আলাই হলেন আমার পক্ষ হতে তত্ত্বাবধানকারী। দাজ্জাল যুবক এবং ঘন চুল বিশিষ্ট হবে, চোখ আঙ্গুরের ন্যায় হবে। আমি তাকে কাফির আব্দুল উয্যা ইবনু কাতান এর মতো মনে করছি। তোমাদের যে কেউ দাজ্জালের সময়কাল পাবে সে যেন সূরা আল-কাহফ-এর প্রথমোক্ত আয়াতসমূহ পাঠ করে।[১২]

এ হাদীছ থেকে বুঝা যায়, দিন ও রাতের ওযিফায় সূরা আল-কাহাফের এই দশটি আয়াত পাঠ করা  ফিতনা থেকে মুক্তি লাভের কারণ হবে। এ কারণে ছাহাবীগণ প্রত্যেক দিন সূরা আল-কাহফ তেলাওয়াত করতেন। হাদীছে এসেছে,

عَنْ أُمِّ مُوْسَى رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَتْ كَانَ الْحَسَنُ أَوِ الْحُسَيْنِ بْنُ عَلِيٍّ ল يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْكَهْفِ كُلَّ لَيْلَةٍ وَكَانَتْ مَكْتُوْبَةً لَهُ فِيْ لَوْحٍ يُدَارُ بِلَوْحِهِ عَلَى حَيْثُمَا دَارَ مِنْ نِسَائِهِ فِيْ كُلِّ لَيْلَةٍ.

উম্মে মূসা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাসান অথবা হুসাইন ইবনু আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রতি রাতেই সূরা আল-কাহাফ তেলাওয়াত করতেন। আর সূরা কাহাফ তার কাছে থাকা একটি ফলকে লিপিবদ্ধ ছিল। প্রত্যেক রাতে তিনি তার যে স্ত্রীর কাছেই গমন করতেন ফলকটি সাথে রাখতেন।[১৩]

৩. জুমু‘আর দিন সূরা আল-কাহ্ফ তেলাওয়াত করার ফযীলত

যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন সূরা আল-কাহ্ফ তেলাওয়াত করবে, সে পরবর্তী জুমু‘আহ পর্যন্ত নূর দ্বারা আলোকিত থাকবে। হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ إِنَّ مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ الْكَهْفِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّوْرِ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘নিশ্চয় যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা আল-কাহ্ফ পড়বে পরবর্তী জুম‘আহ পর্যন্ত সে নূর দ্বারা আলোকিত থাকবে।[১৪] অন্য বর্ণনায় আছে,مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ الْكَهْفِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّوْرِ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ الْعَتِيْقِ ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সূরা আল-কাহ্ফ পড়বে তার অবস্থান স্থল এবং বায়তুল ‘আতীক্বের মধ্যবর্তী  পর্যন্ত সে নূর দ্বারা আলোকিত থাকবে’।[১৫]

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ لَهُ نُوْرًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ مَقَامِهِ إِلَى مَكَّةَ وَمَنْ قَرَأَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِهَا ثُمَّ خَرَجَ الدَّجَّالُ لَمْ يُسَلَّطْ عَلَيْهِ.

আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যেভাবে সূরা আল-কাহ্ফ অবতীর্ণ হয়েছে সেভাবে কেউ তা পড়লে সেটা তার জন্য তার অবস্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত ক্বিয়ামতের দিন নূর হবে’।[১৬]

সূরা ‘আস-সাজদাহ’ তেলাওয়াত করার ফযীলত

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ ﷺ يَقْرَأُ فِى الْجُمُعَةِ فِى صَلَاةِ الْفَجْرِ (الٓـمّٓ - تَنۡزِیۡلُ) السَّجْدَةَ وَ (ہَلۡ  اَتٰی عَلَی الۡاِنۡسَانِ).

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নবী করীম (ﷺ) জুমু‘আর দিন ফযরের ছালাতে সূরা আস-সাজদাহ ও সূরা আদ-দাহার পাঠ করতেন’।[১৭]

عَنْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ لَا يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ "آلم تَنْزِيْلُ" وَ " تَبٰرَکَ الَّذِیۡ  بِیَدِہِ  الۡمُلۡکُ.

জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, ‘নবী করীম (ﷺ) সূরা  আস-সাজদাহ এবং সূরা আল-মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না’।[১৮]

সূরা ‘আল-মুল্ক’ তেলাওয়াত করার ফযীলত

সূরা মুল্ক আল-কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ সূরা নিয়মিত তেলাওয়াত করতেন। কারণ এ সূরা তেলাওয়াতের অত্যধিক ফযীলত রয়েছে। যেমন

১. আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা লাভ

এ সূরা তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করা হবে। যারা নিয়মিত এ সূরা তেলাওয়াত করবে, এ সূরা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার সুপারিশ করবে এবং তার সুপারিশ কবুল করা হবে। হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ سُوْرَةً فِي الْقُرْآنِ ثَلَاثُوْنَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ تَبٰرَکَ الَّذِیۡ  بِیَدِہِ  الۡمُلۡکُ.

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে, যা এক ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করেছিল ফলে তাকে মাফ করা হয়েছে। সেটি (تَبٰرَکَ الَّذِیۡ  بِیَدِہِ  الۡمُلۡکُ) সূরা আল-মূলক’।[১৯]

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ سُوْرَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ ثَلَاثُوْنَ آيَةً تَشْفَعُ لِصَاحِبِهَا حَتَّى يُغْفَرَ لَهُ (تَبٰرَکَ الَّذِیۡ  بِیَدِہِ  الۡمُلۡکُ).

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘কুরআনে ত্রিশ আয়াতের একটি সূরা আছে, যা পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করতে থাকবে। অবশেষে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। সেটি (تَبٰرَکَ الَّذِیۡ  بِیَدِہِ  الۡمُلۡکُ) সূরা আল-মূলক’।[২০]

২. কবরের শাস্তি থেকে বাধাদানকারী

এ সূরাকে বলা হয় ‘আল-মানে‘আহ’ তথা বাধাদানকারী। যে ব্যক্তি এ সূরা প্রত্যেক রাতে তেলাওয়াত করবে, তাকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করা হবে। হাদীছে এসেছে,  

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ مَنْ قَرَأَ تَبٰرَکَ الَّذِیۡ  بِیَدِہِ  الۡمُلۡکُ كُلَّ لَيْلَةٍ مَنَعَهُ اللهُ بِهَا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَكُنَّا فِىْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ  نُسَمِّيْهَا الْمَانِعَةَ..

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে ‘তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে এর দ্বারা কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। আর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যুগে এর নাম বলতাম ‘আল-মানে‘আহ’ বা বাধাদানকারী..।[২১] অন্য বর্ণনায় আছে, سُوْرَةُ تَبَارَكَ هِيَ المَانِعَةُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ ‘সূরা মুলক কবরের আযাব বাধাদানকারী’।[২২] নবী করীম (ﷺ) এ সূরা না পড়ে ঘুমাতেন না’।[২৩]

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ يُؤْتَى الرَّجُلُ فِيْ قَبْرِهِ فَتُؤْتَى رِجْلَاهُ فَتَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ سُوْرَةَ الْمُلْكِ ثُمَّ يُؤْتَى مِنْ قِبَلِ صَدْرِهِ أَوْ قَالَ بَطْنِهِ فَيَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ فِيَّ سُوْرَةَ الْمُلْكِ ثُمَّ يُؤْتَى مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ فَيَقُوْلُ لَيْسَ لَكُمْ عَلَى مَا قِبَلِيْ سَبِيْلٌ كَانَ يَقْرَأُ فِيَّ سُوْرَةَ الْمُلْكِ قَالَ فَهِيَ الْمَانِعَةُ تَمْنَعُ عَذَابَ الْقَبْرِ وَهِيَ فِيْ التَّوْرَاةِ سُوْرَةُ الْمُلْكِ مَنْ قَرَأَهَا فِيْ لَيْلَةٍ فَقَدْ أَكْثَرَ وَأَطْيَبَ.

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন ব্যক্তিকে কবরে শায়িত করার পর, তার পায়ের নিকট দিয়ে শাস্তি প্রবেশ করতে চাইলে পা বলবে, আমার এখান দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, কেননা সে আমার সাহায্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। অতঃপর শাস্তি তার বক্ষদেশ কিংবা পেটের দিক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে, বক্ষ বা পেট বলবে, আমার এদিক দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, সে আমাকে সাথে নিয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। এরপর শাস্তি ঐ ব্যক্তির মাথার দিক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে মাথা বলবে, আমার এদিক দিয়ে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই, সে আমাকে সাথে নিয়ে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করত। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, এই সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করা ব্যক্তির জন্য কবরের আযাব থেকে অন্তরায় হবে। তাওরাতের মধ্যেও সূরা আল-মূলক বিদ্যমান ছিল। যে ব্যক্তি রাত্রিতে সূরা আল-মূলক তেলাওয়াত করল, সে সমৃদ্ধি লাভ ও অধিক উত্তম কাজ করল। [২৪]

৩. আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাত লাভ

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سُوْرَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هِيَ إِلَّا ثَلَاثُوْنَ آيَةً خَاصَمَتْ عَنْ صَاحِبِهَا حَتَّى أَدْخَلَتْهُ الْجَنَّةَ وَهِيَ تَبٰرَکَ.

আনাস ইবনে মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল-কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে যা ক্বিয়ামতের দিনে তার পাঠকের জন্য আল্লাহর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হবে, এমনকি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। আর তা হল (تَبٰرَکَ) সূরা আল-মুলক।[২৫]

(ইনশাআল্লাহ চলবে)



* পি-এইচ. ডি গবেষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

[১]. তিরমিযী, হা/৩২৯৭, সনদ ছহীহ; ইমাম তিরমিযী, আশ-শামাইল (বৈরূত : মুওয়াসসাসাতুল কিতাব, ১৪১২ হি.), পৃ. ৫৭, হা/৪১; ইসমাঈল ইবনু মুহাম্মাদ আল-আছবাহানী, দালাইলুন নবুওত (রিয়াদ : দারুত তায়্যিবাহ, ১৪০৯ হি.), পৃ. ১৩৮; ছহীহুল জামে‘, হা/৩৭২৩।

[২]. আলাউদ্দীন আলী ইবনু হিসাম, কানযুল ঊম্মাল ফী সুনানিল আক্বওয়াল ওয়াল আফ‘আল, হা/২৫৮৯ ; ছহীহুল জামে‘, হা/৩৭২১; ফাযাইলু সুওয়ারিল কুরআনিল কারীম কামা হাক্কাক্বাহাল আল্লামা আলবানী, পৃ. ৫। হাদীছটি ইবনু মারদারাইহি (রাহিমাহুল্লাহ) আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে উপরিউক্ত শব্দে বর্ণনা করেন।

[৩]. সাঈদ ইবনু মানছূর, সুনান সাঈদ ইবনু মানছূর, হা/১১০৯, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩৭০; ছহীহুল জামে‘, হা/৩৭২২; ফাযাইলু সুওয়ারিল কুরআনিল কারীম কামা হাক্কাক্বাহাল আল্লামা আলবানী, পৃ. ৫। হাদীছটি আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত।

[৪]. ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/১৭৭৭৪; আবূ বকর আহমাদ আল-বাযযার, মুসনাদুল বায্যার, হা/৯২; ছহীহুল জামে‘, হা/৩৭২২; ফাযাইলু সুওয়ারিল কুরআনিল কারীম কামা হাক্কাক্বাহাল আল্লামা আলবানী, পৃ. ৫। হাদীছটি জুহাইফাতা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত।

[৫]. তিরমিযী, হা/৩২৯৭, সনদ ছহীহ; ইমাম তিরমিযী, আশ-শামাইল (বৈরূত : মুওয়াসসাসাতুল কিতাব, ১৪১২ হি.), পৃ. ৫৭, হা/৪১; ইসমাঈল ইবনু মুহাম্মাদ আল-আছবাহানী, দালাইলুন নবুওত (রিয়াদ : দারুত তায়্যিবাহ, ১৪০৯ হি.), পৃ. ১৩৮; ছহীহুল জামে‘, হা/৩৭২৩।

[৬]. আব্দুর রহমান ইবনু হাসান মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ, আল-ঈমানু ওয়ার রাদ্দু ‘আলা আহলিল বিদ‘ই, পৃ. ৮৭।

[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৭৩৯, ‘তাফসীর’ অধ্যায়, ‘সূরা বানী ইসরাঈল’ অনুচ্ছেদ।

[৮]. তিরমিযী, হা/২৯২০; সনদ ছহীহ।

[৯]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০১১, ৩৬১৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯৫; মিশকাত, হা/২১১৭।

[১০]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৯; আবূ দাঊদ, হা/৪৩২৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৭৬০; মুসতাদরাক হাকিম, হা/১৯১৯; মিশকাত, হা/২১২৬।

[১১]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/২০৭২; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৬৫১; সনদ ছহীহ।

[১২]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৩৭।

[১৩]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/২২২২; ফাযায়িলুল কুরআন লিল কাসেম ইবনে সালাম, হা/৩৮১; তারিখে দিমাশক, ১৩তম খণ্ড, পৃ. ২৪৪; সনদ জাইয়্যিদ।

[১৪]. বায়হাক্বী, দা‘ওয়াতুল কাবীর, হা/৫৭৯২; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/২২২০; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৩৩৯২; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭৩৬; সনদ ছহীহ।

[১৫]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/৫৭৯২; সুনানুছ ছুগরা, হা/৭৫২; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/২২২০; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭৩৬; সনদ ছহীহ।

[১৬]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/২০৭২; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/২৬৫১; সনদ ছহীহ।

[১৭]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৮০।

[১৮]. আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭০০; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৩৫৪৫; তিরমিযী, হা/২৮৯২।

[১৯]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৯৬২; তিরমিযী, হা/২৮৯১; আবূ দাঊদ, হা/১৪০০; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৮৬; মিশকাত, হা/২১৫৩, সনদ হাসান।

[২০]. আবূ দাঊদ, হা/১৪০০, সনদ হাসান।

[২১]. নাসাঈ, সুনানুল কুবরা হা/১০৫৪৭; সনদ হাসান, ছহীহ তারগীব, হা/১৪৭৫।           

[২২]. বায়হাক্বী, আস-সুনানুছ ছুগরা, হা/১০১১; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১১৪০।

[২৩]. আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭০০; মুসতাদরাক হাকিম, হা/৩৫৪৫; তিরমিযী, হা/২৮৯২।

[২৪]. মুসতাদরাক হাকেম, হা/৩৮৩৯; নাসাঈ, সুনানে কুবরা, হা/১০৪৭৯; সনদ হাসান, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৭৫।

[২৫]. আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/৩৬৫৪, আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে হাসান বলেছেন, ছহীহুল জামি‘, হা/৩৬৪৪।




প্রসঙ্গসমূহ »: কুরআনুল কারীম
ছালাতের সঠিক সময় ও বিভ্রান্তি নিরসন (শেষ কিস্তি) - মাইনুল ইসলাম মঈন
ছালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩টি উপায় (শেষ কিস্তি) - আব্দুল হাকীম বিন আব্দুল হাফীজ
কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
হজ্জ মুসলিম উম্মাহর বিশ্ব সম্মেলন - প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম
ইসলামী জামা‘আতের মূল স্তম্ভ (৭ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ মুছলেহুদ্দীন
কুরবানীর মাসায়েল - ইবাদুল্লাহ বিন আব্বাস
ইসলামী উত্তরাধিকার আইন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ ধারা - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা (৫ম কিস্তি) - মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান
ক্যারিয়ার : শিক্ষক নিবন্ধনের প্রস্তুতির ধরন ও বিষয়াবলী - ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
শারঈ মানদন্ডে শবেবরাত - আল-ইখলাছ ডেস্ক
কুরআন মাজীদের উপর বিদ‘আতের আবরণ - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের আলোকে ছিয়াম সাধনা - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর

ফেসবুক পেজ