আল-কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত
- আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম*
(১০ম কিস্তি)
সূরা ‘আল-ফালাক্ব এবং আন-নাস’ তেলাওয়াত করার ফযীলত
‘মুওয়াব্বাযাতাইন’ তথা সূরা আল-ফালাক্ব এবং সূরা আন-নাস মর্যাদাসম্পন্ন সূরা।[১] এ সূরা দু’টি আশ্রয় প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ ও উত্তম মাধ্যম[২] এবং যে কোন বিপদাপদের মোকাবিলায় যথেষ্ট।[৩] এ সূরাদ্বয়ের কল্যাণ ও উপকারিতা অপরিসীম। মানুষের জন্য এ দু’টি সূরার প্রয়োজন অত্যধিক। বদনযর এবং সমস্ত দৈহিক ও আত্মিক অনিষ্ট দূর করায় এ সূরাদ্বয়ের কার্যকারিতা অনেক। সূরা আল-ফালাক্ব-এ দুনিয়াবী বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। পক্ষান্তরে সূরা আন-নাসে আখেরাতের বিপদ-আপদ ও মুছীবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনার জোর দেয়া হয়েছে। যাবতীয় বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ছাহাবীগণ এ সূরাদ্বয়ের উপর আমল করতেন। এ দু’টি সূরার অনেক ফযীলত ও বরকত বর্ণিত হয়েছে।
১. রাতে ঘুমানোর পূর্বে তেলাওয়াত করার ফযীলত
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যেক রাতে যখন শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন এ সূরাদ্বয় (সাথে সূরা আল-ইখলাছও) পড়তেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا " قُلۡ ہُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ " وَ " قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ " وَ " قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ " ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) যখন প্রত্যেক রাতে শয্যা গ্রহণ করতেন, তখন দুই হাতের তালু একত্রিত করতেন। অতঃপর তাতে সূরা আল-ইখলাছ, সূরা আল-ফালাক্ব এবং সূরা আন-নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর দু’হাত দ্বারা স্বীয় শরীরের যতটুকু সম্ভব হাত মুছে ফেলতেন। আরম্ভ করতেন মাথা দ্বারা এবং তা ও চেহারা এবং শরীরের সম্মুখভাগ হতে। এরূপ তিনি তিনবার করতেন।[৪]
২. অতুলনীয় দু’টি সূরা
এ সূরাদ্বয় অতুলনীয়; যার মত অন্য কোন আয়াত নেই। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَلَمْ تَرَ آيَاتٍ أُنْزِلَتِ اللَّيْلَةَ لَمْ يُرَ مِثْلُهُنَّ قَطُّ " قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ " وَ " قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ
ওক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আশ্চর্য! আজ রাতে এমন কতক আয়াত নাযিল হয়েছে, যার পূর্বে তার অনুরূপ কোন আয়াত দেখা যায়নি সূরা আল-ফালাক্ব এবং সূরা আন-নাস।[৫] অন্য বর্ণনায় আছে,
ওক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آيَاتٌ لَمْ يُرَ مِثْلُهُنَّ قَطُّ الْمُعَوِّذَتَيْنِ ‘আমার প্রতি এমন কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ করা হয়েছে যার অনুরূপ আর কখনো দেখা যায়নি। আর সেগুলো হল ‘মুওয়াব্বাযাতাইন’ তথা সূরা আল-ফালাক্ব ও সূরা আন-নাস-এর আয়াতসমূহ’।[৬]
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ لِي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اقْرَأْ يَا جَابِرُ قُلْتُ وَمَاذَا أَقْرَأُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ؟ قَالَ اقْرَأْ قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ وَ قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ فَقَرَأْتُهُمَا فَقَالَ اقْرَأْ بِهِمَا وَلَنْ تَقْرَأَ بِمِثْلِهِمَا
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেন, হে জাবির! পড়। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান হোক, আমি কি পড়ব? তিনি বললেন, তুমি পড়, সূরা আল-ফালাক্ব সূরা আন-নাস। তখন আমি উভয় সূরা তেলাওয়াত করলাম। তিনি বললেন, এ সূরাদ্বয় পাঠ কর। এর মত আর কোন সূরা তেলাওয়াত করবে না।[৭]
৩. বিপদাপদ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম
এ সূরাদ্বয় যেকোন বিপদাপদ থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَا أَنَا أَسِيْرُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ بَيْنَ الْجُحْفَةِ وَالْأَبْوَاءِ إِذْ غَشِيَتْنَا رِيْحٌ وَظُلْمَةٌ شَدِيْدَةٌ فَجَعَلَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يُعَوِّذُ بِ" اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ ". وَ " اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ " وَيَقُوْلُ يَا عُقْبَةُ تَعَوَّذْ بِهِمَا فَمَا تَعَوَّذَ مُتَعَوِّذٌ بِمِثْلِهِمَا
ওক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে জুহ্ফা ও আবওয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় চলছিলাম। এমন সময় আমাদেরকে প্রবল ঝড় ও ঘোর অন্ধকার ঢেকে ফেলল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূরা আল-ফালাক্ব ও সূরা আন-নাস দ্বারা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে লাগলেন এবং বললেন, হে ওক্ববা! এই দু’ সূরা দ্বারা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কেননা তাদের ন্যায় কোন সূরা দিয়ে কোন প্রার্থনাকারীই আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারেনি।[৮]
৪. সকল বিপদাপদের জন্য যথেষ্ট
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ خَبِيْبٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجْنَا فِيْ لَيْلَةِ مَطَرٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيْدَةٍ نَطْلُبُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَأَدْرَكْنَاهُ فَقَالَ قُلْ قُلْتُ مَا أَقُوْلُ؟ قَالَ " قُلۡ ہُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ " وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِيْنَ تُصْبِحُ وَحِيْنَ تُمْسِيْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْئٍ
আব্দুল্লাহ ইবনু খাবীব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা ঝড়-বৃষ্টি ও ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে খোঁজার উদ্দেশ্যে বের হলাম এবং তাঁকে পেলাম। তখন তিনি বললেন, পড়। আমি বললাম, কী পড়ব? তিনি বললেন, যখন তুমি সকাল করবে তিনবার করে সূরা আল-ইখলাছ, সূরা আল-ফালাক্ব ও সূরা আন-নাস পড়বে এবং যখন সন্ধ্যা করবে তখন তিনবার করে এই সূরাগুলো পড়বে। এই সূরাগুলো যে কোন বিপদাপদের মোকাবিলায় তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।[৯]
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَقْرَأُ سُوْرَةَ هُوْدٍ أَوْ سُوْرَةَ يُوْسُفَ؟ قَالَ لَنْ تَقْرَأَ شَيْئًا أَبْلَغَ عِنْدَ اللهِ مِنْ " قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ
ওক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! বিপদ হতে রক্ষার ব্যাপারে আমি কি সূরা হূদ পড়ব, না-কি সূরা ইউসুফ? তিনি বললেন, এ ব্যাপারে সূরা আল-ফালাক্ব অপেক্ষা আল্লাহর নিকট উত্তম কোন সূরা তুমি কখনও পড়তে পারবে না।[১০]
৫. উত্তম দু’টি সূরা
এ সূরাদ্বয় উত্তম। যা দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সফরে থাকাকালীন ফজরের ছালাত আদায় করেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ أَقُوْدُ لِرَسُوْلِ اللهِ ﷺ نَاقَتَهُ فِى السَّفَرِ فَقَالَ لِيْ يَا عُقْبَةُ أَلَا أُعَلِّمُكَ خَيْرَ سُوْرَتَيْنِ قُرِئَتَا؟ فَعَلَّمَنِيْ (قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ) وَ (قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ) قَالَ فَلَمْ يَرَنِيْ سَرَرْتُ بِهِمَا جَدًّا فَلَمَّا نَزَلَ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ صَلَّى بِهِمَا صَلَاةَ الصُّبْحِ لِلنَّاسِ فَلَمَّا فَرَغَ الْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ يَا عُقْبَةُ كَيْفَ رَأَيْتَ؟
ওক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উটের নাকাশী ধরে সম্মুখে চলতাম, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে ওক্ববা! আমি কি তোমাকে উত্তম দু’টি সূরা শিক্ষা দিব না, যা পড়া হয়? অতঃপর তিনি আমাকে সূরা আল-ফালাক্ব এবং সূরা আন-নাস শিখালেন। কিন্তু এটাতে আমি তেমন খুশী হয়েছি বলে তিনি মনে করলেন না। অতঃপর যখন তিনি ফজরের ছালাতের জন্য অবতরণ করলেন, এই দু’টি সূরা দ্বারাই ছালাত আদায় করালেন। যখন তিনি ছালাত হতে অবসর গ্রহণ করলেন, তখন আমার প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, কেমন দেখলে হে ওক্ববা?[১১]
৬. ছালাতের পর পঠিতব্য সর্বোত্তম যিকির
এ সূরাদ্বয় সর্বোত্তম যিকির। যা ছালাতের পর পাঠ করতে হয়। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ أَمَرَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ أَقْرَأَ بِالْمُعَوِّذَاتِ فِىْ دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ
ওক্ববা ইবনু আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে প্রত্যেক ছালাতের পর ‘মু‘আব্বিযাত’ (সূরা আল-ফালাক্ব ও সূরা আন-নাস) পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন।[১২]
৭. আরোগ্য লাভের মাধ্যম
এ সূরাদ্বয় তেলাওয়াতের অন্যতম ফযীলত হল এ দু’টি আরোগ্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِىُّ ﷺ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِيْ تُوُفِّيَ فِيْهِ كُنْتُ أَنْفِثُ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِيْ كَانَ يَنْفِثُ وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِيِّ ﷺ
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন অসুস্থ হতেন, তখন ‘মু‘আববিযাত’ দ্বারা নিজের শরীরের উপর ফুঁ দিতেন এবং নিজের হাত দ্বারা শরীরে মুছে ফেলতেন। যখন তিনি সে রোগে আক্রান্ত হলেন, যে রোগে তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন, আমি তখন ঐ ‘মু‘আববিযাত’ পড়ে তাঁর শরীরে ফুঁ দিতাম, যে ‘মু‘আবিবযাত’ পড়ে তিনি নিজে ফুঁ দিতেন, তবে নবী করীম (ﷺ)-এর পবিত্র হাত দ্বারাই তাঁর শরীর মুছে দিতাম।[১৩] অপর বর্ণনায় রয়েছে, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন, كَانَ إِذَا مَرِضَ أَحَدٌ مِّنْ أَهْلِ بَيْتِهِ نَفَثَ عَلَيْهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ ‘যখন তাঁর পরিবারের কেউ রোগে আক্রান্ত হত, তখন তিনি ‘মু‘আবিবযাত’ পড়ে তার উপর ফুঁ দিতেন’।[১৪]
আল-কুরআনের বিভিন্ন সূরার ফযীলত
উপরে ‘আল-কুরআনের বিশেষ বিশেষ সূরা তেলাওয়াতের ফযীলত’ আলোচনা করা হয়েছে। এখানে উপরিউক্ত সূরা সমূহ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ কিছু সূরার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ছাহাবীগণ বিশেষ মুহূর্ত, বিশেষ ছালাত বা বিভিন্ন ছালাতে ঐ সূরাগুলো তেলাওয়াত করতেন। যা সূরাগুলোর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে তা তেলাওয়াত করা সুন্নাহও বটে। যেমন-
সূরা ‘ইউসুফ ও সূরা আল-হাজ্জ’-এর ফযীলত
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيْعَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّيْنَا وَرَاءَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ الصُّبْحَ فَقَرَأَ فِيْهِمَا بِسُوْرَةِ يُوسُفَ وَسُوْرَةِ الْحَجِّ قِرَاءَةً بَطِيْئَةً قِيْلَ لَهُ إِذًا لَقَدْ كَانَ يَقُوْمُ حِيْنَ يَطْلُعُ الْفَجْرَ قَالَ أَجَلْ
আমের ইবনু রবী‘আ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা আমরা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর পিছনে ফজরের ছালাত আদায় করলাম। তিনি দু’রাক‘আতে ধীরস্থিরভাবে সূরা ইউসুফ ও সূরা হজ্জ পাঠ করলেন। তখন রাবীকে বলা হল যে, তাহলে তিনি ফজরের ওয়াক্ত আরম্ভ হতেই ছালাত শুরু করেছিলেন। আমের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, হ্যাঁ।[১৫]
عَنِ الْفَرَافِصَةِ بْنِ عُمَيْرِ الْحَنَفِىِّ قَالَ مَا أَخَذْتُ سُوْرَةَ يُوْسُفَ إِلَّا مِنْ قِرَاءَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ إِيَّاهَا فِى الصُّبْحِ وَمنْ كَثْرَةِ مَا كَانَ يُرَدِّدُهَا
ফারাফেছা ইবনু ওমায়ের হানাফী (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ‘সূরা ইউসুফ’ ওছমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কর্তৃক ফজরের ছালাতে পড়া হতে মুখস্থ করেছি। কেননা তিনি ফজরের ছালাতে এই সূরাটি বেশি বেশি তেলাওয়াত করতেন।[১৬]
সূরা ‘আল-মুমিনূন’-এর ফযীলত
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ السَّائِبِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى لَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اَلصُّبْحَ بِمَكَّةَ فَاسْتَفْتَحَ سُوْرَةَ (الْمُؤْمِنِيْنَ) حَتَّى جَاءَ ذِكْرُ مُوْسَى وَهَارُوْنَ أَوْ ذِكْرُ عِيْسَى أَخَذَتِ النَّبِيَّ ﷺ سَعْلَةٌ فَرَكَعَ
আব্দুল্লাহ ইবনু সায়েব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, মক্কায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের ছালাতে আমাদের ইমামতি করেন এবং সূরা ‘মুমিনূন’ তেলাওয়াত দিয়ে ছালাত শুরু করেন। যখন তিনি মূসা ও হারূনের অথবা ঈসার বর্ণনা পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন তাঁর কাশি এসে গেল। অতঃপর তিনি রুকূ‘ করেন।[১৭]
সূরা ‘আল-ফাতহ’-এর ফযীলত
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يَسِيْرُ فِىْ بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ يَسِيْرُ مَعَهُ لَيْلًا فَسَأَلَهُ عُمَرُ عَنْ شَىْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ نَزَرْتَ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلَّ ذَلِكَ لَا يُجِيْبُكَ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيْرِى حَتَّى كُنْتُ أَمَامَ النَّاسِ وَخَشِيْتُ أَنْ يَنْزِلَ فِىَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ قَالَ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيْتُ أَنْ يَكُوْنَ نَزَلَ فِىَّ قُرْآنٌ قَالَ فَجِئْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ اللَّيْلَةَ سُوْرَةٌ لَهِىَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ. ثُمَّ قَرَأَ (اِنَّا فَتَحۡنَا لَکَ فَتۡحًا مُّبِیۡنًا)
আসলাম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক সফরে রাত্রিকালে চলছিলেন এবং ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর সাথে ছিলেন। তখন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর কাছে কিছু জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কোন উত্তর দিলেন না। তারপর আবার জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এবারও তিনি কোন উত্তর দিলেন না। এমন সময় ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) নিজেকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে তিনবার প্রশ্ন করে কোন উত্তর পাওনি। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, এরপর আমি আমার উটকে দ্রুত হাঁকিয়ে লোকদের অগ্রভাগে চলে গেলাম এবং আমি শঙ্কিত হলাম, না জানি আমার সম্পর্কে কুরআন অবতীর্ণ হয় নাকি। কিছুক্ষণ পর কেউ আমাকে ডাকছে, এ রকম আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি মনে আশংঙ্খা করলাম যে, হয়তো আমার ব্যাপারে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তখন আমি নবী (ﷺ)-এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি (ﷺ) বললেন, আজ রাতে আমার উপর এমন একটি সূরা নাযিল হয়েছে, যা আমার কাছে সূর্যালোকিত সকল স্থান হতে উত্তম। এরপর তিনি পাঠ করলেন, اِنَّا فَتَحۡنَا لَکَ فَتۡحًا مُّبِیۡنًا ‘নিশ্চয় আমরা আপনাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি’ (সূরা আল-ফাতহ, আয়াত : ১)।[১৮]
সূরা ‘আল-ওয়াক্বিয়াহ’-এর ফযীলত
ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার তো চুল পেকে গেল! তিনি বললেন,
شَيَّبَتْنِيْ هُوْدٌ وَالْوَاقِعَةُ وَالْمُرْسَلَاتُ وَعَمَّ يَتَسَاءَلُوْنَ وَإِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
‘সূরা হূদ, আল-ওয়াক্বিয়াহ, আল-মুরসালাত, আম্মা ইয়াতা-আলূন, ওয়া ইযাশ শামসু কুব্বিরাত আমার চুল পাকিয়ে ফেলেছে’।[১৯]
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يُصَلِّى الصَّلَوَاتِ كَنَحْوٍ مِنْ صَلَاتِكُمُ الَّتِى تُصَلُّوْنَ الْيَوْمَ وَلَكِنَّهُ كَانَ يُخَفِّفُ كَانَتْ صَلَاتُهُ أَخَفَّ مِنْ صَلَاتِكُمْ وَكَانَ يَقْرَأُ فِى الْفَجْرِ الْوَاقِعَةَ ونَحْوَهَا مِنَ السُّوَرِ
জাবির ইবনু সামূরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ‘তোমরা যেভাবে ছালাত আদায় কর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ও তেমনি ছালাত আদায় করতেন; তবে তিনি অনেকটা হাল্কা করতনে। তাঁর ছালাত তোমাদের ছালাতের চেয়ে অধিক হাল্কা ছিল। অবশ্য তিনি ফজরের ছালাতে সূরা আল-ওয়াক্বিয়াহ এবং এ জাতীয় সূরা পড়তেন।[২০]
সূরা ‘ক্বাফ’-এর ফযীলত
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ ﷺ يَقْرَأُ فِى الْفَجْرِ بِ (قٓ ۟ۚ وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ) وَنَحْوِهَا وَكَانَتْ صَلَاتُهُ بَعْدُ تَخْفِىْفًا
জাবের ইবনু সামুরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) ফজরের ছালাতে সূরা ক্বাফ (قٓ ۟ۚ وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ) এবং অনুরূপ সূরাসমূহ পাঠ করতেন। তাঁর অন্যান্য ছালাত এটা অপেক্ষা সংক্ষেপ হত।[২১]
عَنْ أُمِّ هِشَامٍ بِنْتِ حَارِثَةَ بْنِ النُّعْمَانِ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ مَا أَخَذْتُ (قٓ ۟ۚ وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ) إِلَّا عَنْ لِسَانِ رَسُوْلِ اللهِ ৎ يَقْرَؤُهَا كُلَّ جُمُعَةٍ عَلَى الْمِنْبَرِ إِذَا خَطَبَ النَّاسَ
উম্মে হিশাম বিনতে হারেছা ইবনু নু‘মান (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কুরআনের সূরা ক্বাফ (قٓ ۟ۚ وَالۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ) কেবল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছ থেকেই (শুনে) মুখস্থ করেছি। তিনি তা প্রত্যেক জুম‘আয় মিম্বারে দাঁড়িয়ে পাঠ করতেন, যখন লোকদের জন্য খুত্ববা দান করতেন।[২২]
عَنْ عُبَيْدِ اللهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فِى الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ؟ فَقَالَ كَانَ يَقْرَأُ فِيْهِمَا (بِ قٓ ۟ۚ وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ) و (اِقۡتَرَبَتِ السَّاعَۃُ )
ওবায়দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাহিমাহুল্লাহ) আবূ ওয়াক্বিদ লাইছী (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরে কোন্ সূরা পাঠ করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় ঈদে সূরা ক্বাফ (قٓ ۟ۚ وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ) এবং সূরা আল-ক্বামার (اِقۡتَرَبَتِ السَّاعَۃُ) পাঠ করতেন।[২৩]
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
*পি-এইচ. ডি গবেষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮১৪; মিশকাত, হা/২১৩১।
[২]. আবূ দাঊদ, হা/১৪৬৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৯১; নাসাঈ, হা/৯৫৩, ৫৪৩৯; মিশকাত, হা/২১৬২, ২১৬৪ সনদ ছহীহ।
[৩]. আবূ দাঊদ, হা/৫০৮২; তিরমিযী, হা/৩৫৭৫, সনদ হাসান ছহীহ।
[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০১৭; মিশকাত, হা/২১৩২।
[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮১৪ ‘কুরআনের ফযীলত ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়’ অধ্যায়, সূরা আল-ফালাক্ব ও আন-নাস পাঠের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ; মিশকাত, হা/২১৩১।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮১৪ ‘কুরআনের ফযীলত ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়’ অধ্যায়, সূরা আল-ফালাক্ব ও আন-নাস পাঠের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ।
[৭]. নাসাঈ, হা/৫৪৪১; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৭৯৬, সনদ হাসান ছহীহ।
[৮]. আবূ দাঊদ, হা/১৪৬৩; মিশকাত, হা/২১৬২; সনদ ছহীহ।
[৯]. আবূ দাঊদ, হা/৫০৮২; তিরমিযী, হা/৩৫৭৫; সনদ হাসান ছহীহ ।
[১০]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৯১; নাসাঈ, হা/৯৫৩, ৫৪৩৯; মিশকাত, হা/২১৬৪; সনদ ছহীহ।
[১১]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫০, ১৫৩; আবূ দাঊদ, হা/১৪৬২; নাসাঈ, হা/৪৫৩৬; মিশকাত, হা/৮৪৮, সনদ ছহীহ।
[১২]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৫৩; আবূ দাঊদ, হা/১৫২৩; নাসাঈ, হা/১৩৩৬; মিশকাত, হা/৯৬৯, সনদ ছহীহ।
[১৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৩৯, ‘মাগাযী’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯২, ‘সালাম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২০; মিশকাত, হা/১৫৩২।
[১৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯২, ‘সালাম’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২০; মিশকাত, হা/১৫৩২।
[১৫]. মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৩৪; মিশকাত, হা/৮৬৫, সনদ ছহীহ।
[১৬]. মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/২৭২; মিশকাত, হা/৮৬৪, সনদ ছহীহ।
[১৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৫৫; মিশকাত, হা/৮৩৭।
[১৮]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০১২, ‘ফাযায়েলে কুরআন’ অধ্যায়, ‘সূরা আল-ফাত্হের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ।
[১৯]. তিরমিযী, হা/৩২৯৭, সনদ ছহীহ; আশ-শামাইল, পৃ. ৫৭, হা/৪১; দালাইলুন নবুওত, পৃ. ১৩৮; ছহীহুল জামে‘, হা/৩৭২৩।
[২০]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০৩৩, সনদ হাসান।
[২১]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৫৮; মিশকাত, হা/৮৩৫।
[২২]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৭৩ ‘জুমু‘আহ’ অধ্যায়, ‘অনুচ্ছেদ-১৩; মিশকাত, হা/১৪০৯।
[২৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯১ ‘দুই ঈদের ছালাত’ অধ্যায়, ‘অনুচ্ছেদ-৩; মিশকাত, হা/৮৪১।