উত্তর : মুসলিম হওয়ার জন্য তাকে এই মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করতে হবে যে, أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৬৪; আবূ দাঊদ, হা/২৬৭৯; মিশকাত, হা/৩৯৬৪)। এই কালেমা যেমন মুখে স্বীকৃতি দিতে হবে, অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে অনুরূপভাবে যথাযথভাবে কাজে বাস্তবায়নও করতে হবে। তবে এই ঈমান পুণ্য দ্বারা বৃদ্ধি পায় এবং পাপ দ্বারা হ্রাস পায় (ইবনু তাইমিয়াহ, আল-আক্বীদাতুল ওয়াসেত্বিইয়াহ, পৃ. ১১৩; আল-আছারী, আল-ওয়াজীয ফী আক্বীদাতিস সালাফিছ ছালেহ, পৃ. ১০৩)। মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই খাঁটি মুসলিম হওয়া যায় না। এজন্য প্রয়োজন ইসলামের প্রতি একনিষ্ঠতা ও নিঃশর্ত আনুগত্য। প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তি যদি মনেপ্রাণে কালেমা পাঠ না করে থাকেন, তাহলে তিনি মুসলিম নন। আর যদি পাঠ করে থাকেন, তাহলে মুসলিম। তবে ইসলামের সকল বিধান পরিপূর্ণরূপে আমল না করার কারণে তিনি ফাসিক মুমিন হিসাবে গণ্য হবেন (আক্বীদাতুস সালাফ, পৃ. ৭১ ও ৮২-৮৩; মাজমূ‘ঊল ফাতাওয়া, ১ম খণ্ড, পৃ. ১০৮ ও ৭ম খ-, পৃ. ৬৭৩; আল-ফিছাল, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৫২)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, নরসিংদী।