উত্তর : কোন কারণ ছাড়াই পিতা-মাতা যদি সন্তানের উপর রাগান্বিত হয়, সেক্ষেত্রে সন্তানের কোন গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে রাজি করার চেষ্টা করতে হবে এবং আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতা নিতে হবে। কোন কারণে ভুল হয়ে গেলে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে এবং সৎ ও কল্যাণের দু‘আর আবেদন করতে হবে। তাছাড়া পিতা-মাতার অকারণে সন্তানের উপর বদ-দু‘আ করা জায়েয নয়। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
لَا تَدْعُوْا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلَا تَدْعُوْا عَلَى أَوْلَادِكُمْ وَلَا تَدْعُوْا عَلَى أَمْوَالِكُمْ لَا تُوَافِقُوْا مِنَ اللهِ سَاعَةً يُسْأَلُ فِيْهَا عَطَاءٌ فَيَسْتَجِيْبُ لَكُمْ.
‘তোমরা তোমাদের উপর এবং তোমাদের সন্তানদের উপর এবং নিজের ধন-সম্পদের উপরও বদ দু‘আ করো না। এমন যেন না হয় যে, তোমরা এমন মুহূর্তে বদ দু‘আ করবে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া হয়, আর তা কবুল হয়ে যায়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩০০৯; ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং -২৯৬০৫৩)।
উল্লেখ্য, বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবক ও পাত্র-পাত্রী উভয়েরই সম্মতি অপরিহার্য। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ ‘অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে না’ (আবূ দাঊদ, হা/২০৮৫; তিরমিযী, হা/১১০১; ইবনু মাজাহ, হা/১৮৮১)। অর্থাৎ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ হলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে কুমারী মেয়েদের নীরবতাই তার অনুমতি (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৪৬, ৫১৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪২০)।
প্রশ্নকারী : লাইছা আফরিন লিসা, মতিহার, রাজশাহী।