সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
উত্তর : খাঁটি লাল ব্যতীত সমস্ত রঙের কাপড় পরিধান করা জায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাঁটি লাল পরতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু সাদা রঙ অন্যান্য রঙ অপেক্ষা উত্তম। তবে সাদা রঙের পরিবর্তে অন্যান্য রঙিন কাপড় পরিধান করা দোষণীয় নয় (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ১১তম খণ্ড, পৃ. ১০৭)।  পোশাকের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল রাখা যরূরী। ১. সাদা পোশাক : এ পোশাক পরিধান করা সর্বাধিক উত্তম (তিরমিযী, হা/৯৯৪, ২৮১০; আবূ দাঊদ, হা/৩৮৭৮, ৪০৬১; সনদ ছহীহ)। ২. সবুজ পোশাক (সূরা আদ-দাহর : ২১; তিরমিযী, হা/২৮১২; সনদ ছহীহ)। ৩. মিশ্রিত রঙের পোশাক (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮১২-৫৮১৩)। ৪. পাঞ্জাবী-পায়জামা ও লুঙ্গি-জামা : উম্মু সালামাহ (রাযিয়াল্লাহ আনহা) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় পোশাক ছিল জামা’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৫-৪০২৬, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে লোকের লুঙ্গি নেই, সে যেন পায়জামা পরে; আর যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে’ (ছহীহ বুখারী হা/৫৮০৪)। ৫. লম্বা ও ঢিলেঢালা জামা পরিধান করা (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৮, সনদ ছহীহ)।

আর পোশাক পরিধানের সময় নিম্নোক্ত জিনিসগুলো থেকে বেঁচে থাকা যরূরী। যেমন, ১. শরী‘আত যা হারাম করেছে তা পরিধান করা যাবে না। যেমন পুরুষের জন্য রেশম, জীব-জন্তুর ছবিযুক্ত পোশাক ইত্যাদি (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮২৮-৫৮৩৫)। ২. দেহের অবয়ব গোচরীভূত হয়, এমন ফিনফিনে ও আটোসাঁটো পোশাক পরিধান না করা (ছহীহ মুসলিম, হা/২১২৮)। ৩. নারী পুরুষের ও পুরুষ নারীর সাদৃশ্যে পোশাক পরিধান না করা (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫)। ৪. বিজাতীয় পোশাক পরিধান না করা (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৫৬)। ৫. খ্যাতিসম্পন্ন ও আভিজাত্যের পোশাক থেকে বেঁচে থাকা (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৬০৭, সনদ ছহীহ)। ৬. টাখনুর নিচে পরিধান করা থেকে কঠোরভাবে বেঁচে থাকা (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৮৪-৫৭৯১; আবূ দাঊদ, হা/৪০৮৪)। ৭. গেরুয়া রঙের পোশাক পরিধান না করা (নাসাঈ, হা/৫৩১৬-৫৩১৭; আবূ দাঊদ, হা/৪০৬৬)।


প্রশ্নকারী : আহমাদুল্লাহ, নওগাঁ।





শ্ন (১২) : ‘যখন বান্দার গুনাহ অধিক হয়ে যায় এবং সেগুলোর কাফ্ফারার জন্য তার কোন নেক আমল থাকে না, আল্লাহ তা‘আলা তখন তাকে চিন্তায় ফেলে পরীক্ষা করেন, যাতে তা তার সকল গুনাহর কাফফারা হতে পারে’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৭৫) মর্মে হাদীছটি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : অন্যান্য ধর্মের পূজা, মন্দির বা গির্জা দেখার জন্য যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মৃত ব্যক্তির জন্য জামাই, ছেলের বউ বা অন্য যে কেউ যদি দান করেন, তবে সেই ব্যক্তির কোন উপকার হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ঈদের ছালাত শেষে পরস্পরে কোলাকুলি করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক ইমাম তাবীযের ব্যবসা করে, জর্দা খায়, মিথ্যা কথা বলে এবং কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ঈমান ও আমলকে ফিতনা মনে করে বিরোধিতা করে। উক্ত ইমাম দ্বিতীয় বিবাহের পর তন্ত্রমন্ত্র করে প্রথম স্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য হিন্দু গণকের কাছেও গিয়েছিল। এমন ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা কিংবা তার ইমামতির বৈধতা আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যুলহিজ্জার চাঁদ উঠলে নখ, চুল কাটা যায় না- এ হুকুম সবার জন্য, না-কি যারা কুরবানী করবে তাদের জন্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : একটি হাদীছে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নবীদের মাঝে কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব দিও না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯১৬; আবূ দাঊদ, হা/৪৬৬৮)। প্রশ্ন হল- যদি তাই হল, তাহলে কি আমরা বলতে পারব না যে, আমাদের নবী (ﷺ) অন্য সব নবীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : হজ্জের সময় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে হয় কী কারণে? সেখানে কি শয়তানকে বেঁধে রাখা হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কখন ফজর ছালাত আদায় করতে হবে এবং এর সঠিক সময় কোন্টি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : দরিদ্র মুহাজিরগণ পাঁচশ’ বছর আগে জান্নাতে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : কুরআনুল কারীমের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠাগুলোতে নারীদের কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত করা হয়। উক্ত নারীকণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত শুনা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : প্রতিবেশীরা বিভিন্ন হারাম কাজের সঙ্গে জড়িত। তাদের কিছু হালাল উপার্জন থাকলেও তা হারাম মিশ্রিত। তারা অনেক সময় খাবার হাদিয়া পাঠায়। কিন্তু সেটা হালাল না হারাম থেকে দিয়েছে তা বুঝা যায় না। তাদের দেয়া উক্ত খাবার খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ