উত্তর : খাঁটি লাল ব্যতীত সমস্ত রঙের কাপড় পরিধান করা জায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাঁটি লাল পরতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু সাদা রঙ অন্যান্য রঙ অপেক্ষা উত্তম। তবে সাদা রঙের পরিবর্তে অন্যান্য রঙিন কাপড় পরিধান করা দোষণীয় নয় (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ১১তম খণ্ড, পৃ. ১০৭)। পোশাকের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল রাখা যরূরী। ১. সাদা পোশাক : এ পোশাক পরিধান করা সর্বাধিক উত্তম (তিরমিযী, হা/৯৯৪, ২৮১০; আবূ দাঊদ, হা/৩৮৭৮, ৪০৬১; সনদ ছহীহ)। ২. সবুজ পোশাক (সূরা আদ-দাহর : ২১; তিরমিযী, হা/২৮১২; সনদ ছহীহ)। ৩. মিশ্রিত রঙের পোশাক (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮১২-৫৮১৩)। ৪. পাঞ্জাবী-পায়জামা ও লুঙ্গি-জামা : উম্মু সালামাহ (রাযিয়াল্লাহ আনহা) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় পোশাক ছিল জামা’ (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৫-৪০২৬, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে লোকের লুঙ্গি নেই, সে যেন পায়জামা পরে; আর যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে’ (ছহীহ বুখারী হা/৫৮০৪)। ৫. লম্বা ও ঢিলেঢালা জামা পরিধান করা (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৮, সনদ ছহীহ)।
আর পোশাক পরিধানের সময় নিম্নোক্ত জিনিসগুলো থেকে বেঁচে থাকা যরূরী। যেমন, ১. শরী‘আত যা হারাম করেছে তা পরিধান করা যাবে না। যেমন পুরুষের জন্য রেশম, জীব-জন্তুর ছবিযুক্ত পোশাক ইত্যাদি (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮২৮-৫৮৩৫)। ২. দেহের অবয়ব গোচরীভূত হয়, এমন ফিনফিনে ও আটোসাঁটো পোশাক পরিধান না করা (ছহীহ মুসলিম, হা/২১২৮)। ৩. নারী পুরুষের ও পুরুষ নারীর সাদৃশ্যে পোশাক পরিধান না করা (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫)। ৪. বিজাতীয় পোশাক পরিধান না করা (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৫৬)। ৫. খ্যাতিসম্পন্ন ও আভিজাত্যের পোশাক থেকে বেঁচে থাকা (আবূ দাঊদ, হা/৪০২৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৬০৭, সনদ ছহীহ)। ৬. টাখনুর নিচে পরিধান করা থেকে কঠোরভাবে বেঁচে থাকা (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৮৪-৫৭৯১; আবূ দাঊদ, হা/৪০৮৪)। ৭. গেরুয়া রঙের পোশাক পরিধান না করা (নাসাঈ, হা/৫৩১৬-৫৩১৭; আবূ দাঊদ, হা/৪০৬৬)।
প্রশ্নকারী : আহমাদুল্লাহ, নওগাঁ।