শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
উত্তর : শারঈ কারণ ব্যতীত ক্ববর খনন করে লাশ উঠানো বা গোরস্থান স্থানান্তর করা জায়েয নয়। তাতে লাশের অসম্মান করা হয়। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘লাশের অস্থি ভাঙ্গা জীবিতের অস্থি ভাঙ্গার সমান’ (আবূ দাঊদ, হা/৩২০৭; মিশকাত, হা/১৭১৪, সনদ ছহীহ)। তবে মসজিদে মুছল্লীদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে তা সম্প্রসারণ করার জন্য কবর স্থানান্তর করা যাবে। সেখানে হাড়গোড় পাওয়া গেলে তা সম্মানের সাথে অন্যত্র দাফন করতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৫১, ১৩৫৩)। অতঃপর উক্ত স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মাটি সমান করে সেখানে মসজিদ সম্প্রসারণ করা বৈধ হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪২৮, ১৮৬৮, ৩৯৩২; ছহীহ মুসলিম, হা/৫২৪)‌।

মৃত ব্যক্তির ক্ববর মূলত তার জন্যই ওয়াক্বফকৃত স্থান। সুতরাং তাতে কারো হস্তক্ষেপ করা বৈধ নয়। কিন্তু একান্ত যরূরী প্রয়োজন হলে এবং বিকল্প কোন উপায় না থাকলে ক্ববর খনন করে তার লাশ বা অবশিষ্ট হাড়গোড় অন্য কোথাও ক্ববর খনন করে সেখানে স্থানান্তরিত করার পর তদস্থলে মসজিদ নির্মাণ বা মসজিদ সম্প্রসারণ অথবা বসত বাড়ি নির্মাণ বা অন্যান্য কাজে লাগানো জায়েয। কিন্তু লাশ বা লাশের অবশিষ্টাংশ অন্যত্র স্থানান্তরিত না করে সে অবস্থায় শুধু ক্ববরের মাটি সমান করে তার উপর মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয নয়। বরং এমনটি করা হলে উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা বৈধ নয়, বরং তা ভেঙ্গে ফেলা আবশ্যক’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ৩১/২১৬-২১৭, ২১৪; ফাৎহুল বারী, ৩/২১৫; আল-মাজমূঊ, ৫/৩০৩; আল-মুগনী, ২/১৯৪, ৪১৩; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১/৪১৮-৪১৯; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ১২/৩৭৩; আহকামুল জানায়িয, পৃ. ৬৯ ও ৯১; মাউসূ‘আতুল আক্বীদাহ লিল আলবানী, ২/২৭৬ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : মুছল্লীবৃন্দ, মধ্য ভুগরোইল আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, পবা, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৪৭) : জুমু‘আর দিন কবর যিয়ারত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : মৃত্যুর কারণে কান্নাকাটি করার শারঈ বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) প্রবাসী ছেলে দেশে তার একাউন্টে টাকা জমা করে। যেখান থেকে বাবা টাকা খরচ করেন। কিন্তু ছেলে উক্ত টাকার যাকাত দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে বাবাকে সেই টাকার যাকাত আদায় করতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : বর্তমানে ওয়াকালতি বা আইন পেশায় কাজ করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ছালাত কি ব্যক্তিগত ইবাদত? কারণ অনেককে ছালাতের জন্য ডাকলে তারা বলে, নামাজ পড়া না পড়া আমার ব্যাপার। এ ধরনের কথা বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ‘যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে সে যেন একশ’টি হজ্জ আদায় করল বা একশ’টি উট আল্লাহর ওয়াস্তে দান করল। যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০ টি গাযওয়া বা অভিযানে শরীক হলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলো, সে যেন ইসমাঈল বংশের একশ’ ব্যক্তিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ঐ দিনে তার চেয়ে বেশি আমল আর কেউ করতে পারবে না। তবে যদি কেউ তার সমান এই যিকরগুলো পাঠ করে বা তার চেয়ে বেশি পাঠ করে তাহলে ভিন্ন কথা। (তাহলে সেই শুধু তার উপরে উঠতে পারবে।) ইমাম নাসাঈর বর্ণনায় ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-র পরিবর্তে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কাদীর’ ১০০ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে (তিরমিযী, ৫/৫১৩, নং ৩৪৭১; নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা, ৬/২০৫)। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি আমলযোগ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : রেকর্ডকৃত সালামের জবাব দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কুরআন হাতে নিয়ে কোন কিছুর প্রতিজ্ঞা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : কোন মুসাফির ব্যক্তির এমন হতে পারে যে, তার ছিয়াম পালন অবস্থায় বিমান উড্ডয়নের পূর্বে সূর্য অস্ত গেল। ফলে সে ইফতার করল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের পরে সে সূর্য দেখতে পেল। এমতাবস্থায় তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যে ইমাম তাবীযের ব্যবসা করে তার পিছনে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : কুরবানীর গোশত কয় ভাগ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : হিন্দু বিয়েতে গিফট দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ