উত্তর : শারঈ কারণ ব্যতীত ক্ববর খনন করে লাশ উঠানো বা গোরস্থান স্থানান্তর করা জায়েয নয়। তাতে লাশের অসম্মান করা হয়। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘লাশের অস্থি ভাঙ্গা জীবিতের অস্থি ভাঙ্গার সমান’ (আবূ দাঊদ, হা/৩২০৭; মিশকাত, হা/১৭১৪, সনদ ছহীহ)। তবে মসজিদে মুছল্লীদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে তা সম্প্রসারণ করার জন্য কবর স্থানান্তর করা যাবে। সেখানে হাড়গোড় পাওয়া গেলে তা সম্মানের সাথে অন্যত্র দাফন করতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৫১, ১৩৫৩)। অতঃপর উক্ত স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মাটি সমান করে সেখানে মসজিদ সম্প্রসারণ করা বৈধ হবে (ছহীহ বুখারী, হা/৪২৮, ১৮৬৮, ৩৯৩২; ছহীহ মুসলিম, হা/৫২৪)।
মৃত ব্যক্তির ক্ববর মূলত তার জন্যই ওয়াক্বফকৃত স্থান। সুতরাং তাতে কারো হস্তক্ষেপ করা বৈধ নয়। কিন্তু একান্ত যরূরী প্রয়োজন হলে এবং বিকল্প কোন উপায় না থাকলে ক্ববর খনন করে তার লাশ বা অবশিষ্ট হাড়গোড় অন্য কোথাও ক্ববর খনন করে সেখানে স্থানান্তরিত করার পর তদস্থলে মসজিদ নির্মাণ বা মসজিদ সম্প্রসারণ অথবা বসত বাড়ি নির্মাণ বা অন্যান্য কাজে লাগানো জায়েয। কিন্তু লাশ বা লাশের অবশিষ্টাংশ অন্যত্র স্থানান্তরিত না করে সে অবস্থায় শুধু ক্ববরের মাটি সমান করে তার উপর মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয নয়। বরং এমনটি করা হলে উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা বৈধ নয়, বরং তা ভেঙ্গে ফেলা আবশ্যক’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ৩১/২১৬-২১৭, ২১৪; ফাৎহুল বারী, ৩/২১৫; আল-মাজমূঊ, ৫/৩০৩; আল-মুগনী, ২/১৯৪, ৪১৩; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১/৪১৮-৪১৯; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ১২/৩৭৩; আহকামুল জানায়িয, পৃ. ৬৯ ও ৯১; মাউসূ‘আতুল আক্বীদাহ লিল আলবানী, ২/২৭৬ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মুছল্লীবৃন্দ, মধ্য ভুগরোইল আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, পবা, রাজশাহী।