বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহর দু’হাত রয়েছে এবং ডান ও বাম হাতও রয়েছে। রাসূল (ﷺ) বলেন,

يَطْوِى اللهُ عَزَّ وَجَلَّ السَّمَوَاتِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثُمَّ يَأْخُذُهُنَّ بِيَدِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ يَقُوْلُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُوْنَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُوْنَ ثُمَّ يَطْوِى الأَرَضِيْنَ بِشِمَالِهِ ثُمَّ يَقُوْلُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ الْجَبَّارُوْنَ أَيْنَ الْمُتَكَبِّرُوْنَ

‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা আকাশমণ্ডলী পেঁচিয়ে নিবেন। তারপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে ডান হাতে ধরে বলবেন, আমিই বাদশাহ। কোথায় শক্তিশালী লোকেরা! কোথায় অহংকারীরা? এরপর তিনি বাম হাতে গোটা পৃথিবী গুটিয়ে নিবেন এবং বলবেন, আমিই বাদশাহ। কোথায় অত্যাচারী লোকেরা, কোথায় বড়ত্ব প্রদর্শনকারীরা?’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৮৮; মিশকাত, হা/৫৫২৩)। অত্র হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর ডান ও বাম হাত রয়েছে। তবে তা সৃষ্টজীবের মত নয়। অর্থাৎ তাঁর সৃষ্টজীব বাম হাত দ্বারা সাধারণত দুর্বল বা অপরিষ্কার কাজগুলো করে থাকে। সে অর্থে আল্লাহর দু’হাতই ডান হাত। যেমন রাসূল (ﷺ) বলেন,

إِنَّ الْمُقْسِطِيْنَ عِنْدَ اللهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُوْرٍ عَنْ يَمِيْنِ الرَّحْمَنِ عَزَّ وَجَلَّ وَكِلْتَا يَدَيْهِ يَمِيْنٌ الَّذِيْنَ يَعْدِلُوْنَ فِىْ حُكْمِهِمْ وَأَهْلِيْهِمْ وَمَا وَلُوْا

‘ন্যায়বিচারকগণ (ক্বিয়ামতের দিন) আল্লাহর নিকটে নূরের মিম্বর সমূহে মহিমান্বিত দয়ালু (আল্লাহ)-এর ডানপার্শ্বে উপবিষ্ট থাকবেন। আর তার উভয় হাতই ডান হাত (অর্থাৎ সমান মহিমান্বিত)। (সেই ন্যায়পরায়ণ হচ্ছে) ঐসব লোক, যারা তাদের শাসনকার্যে, তাদের পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে এবং তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্ব সমূহের ব্যাপারে সুবিচার করে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৮২৭; মিশকাত, হা/৩৬৯০)। অর্থাৎ সম্মান-মর্যাদা, ক্ষমতা ও দোষ-ত্রুটির ক্ষেত্রে সৃষ্টজীবের বাম হাতের সাথে তাঁর হাত তুলনীয় নয় (শায়খ ইবনু বায, মাজমূঊ ফাতাওয়া, ২৫/১২৬ পৃ.; উছায়মীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১/১৬৫ পৃ.)। অতএব উক্ত হাদীছদ্বয়ের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।

প্রশ্নকারী : হেদায়াতুল্লাহ, পাবনা।





প্রশ্ন(২৮) : ‘রামাযানের প্রথম দশক রহমত, মধ্য দশক মাগফিরাত এবং শেষ দশক নাজাত’ মর্মে আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ‘ওশর’ শব্দের অর্থ কী? কৃষিপণ্যের যাকাতের নিছাব ও পরিমাণ কত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯): জনৈক ব্যক্তি পূর্বে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করতেন। পরবর্তীতে সালাফী মানহাজের আলোকে চলার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন হল, সালাফী মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য কিভাবে অনুসরণ করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : নবী করীম (ﷺ) বলেন, ‘জ্বরকে মন্দ বল না। কারণ জ্বর গুনাহসমূহকে অনুরূপ দূর করে, যেভাবে হাপর লোহার মরিচা দূর করে’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : রজব মাসে ওমরাহ পালন করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : তাজা মাছ কাটার সময় কি যব্হ করার দু‘আ বলতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ‘আল্লাহর ইচ্ছায় গাছের পাতা পড়ে না বা কোন কাজ সংঘটিত হয় না’, না-কি ‘আল্লাহর হুকুমে গাছের পাতা ঝরে পড়ে না বা কোন কাজ হয় না’। কোন্ কথাটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : গোসলের ফরয কয়টি ও কী কী? অনেকে মনে করেন কুলি ও নাকে পানি না দিলে গোসল হবে না। এই বক্তব্য কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : জনৈক মুরীদের দাবী হল, পীর সবকিছু করে দিবে। মুরীদ না হলে মৃত্যুর সময় শয়তান এসে ঈমান লুটে নিবে। তার উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মাওলানা আবু তাহের বর্ধমানী রচিত ‘কাট হুজ্জতির জওবাব’ বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আহলেহাদীছগণ আমলনামাসহ উপস্থিত হবেন। তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা আহলেহাদীছ বেহেশতে প্রবেশ কর’ (ত্বাবারাণী, আল-ক্বাওলুল বাদী, পৃ. ১৮৯)। উক্ত হাদীছটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : গালি নির্দেশ করে এমন কথাকে রসিকতা করে বলা; সিরিয়াসলি নয়। এ ব্যক্তিও কি কুফুরী করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : সুস্থ সক্ষম পিতা-মাতার জন্য বদলি ওমরাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ