উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (মুসনাদে আবী ইয়ালাহ, ১২তম খণ্ড, পৃ. ১৫২)। এর সনদে ইয়াহইয়া ইবনু আলা আর-রাযী এবং মারওয়ান ইবনু সালেম নামে দুইজন মিথ্যুক রাবী আছে, যারা হাদীছ জাল করত (সিলসিলাহ যঈফাহ হা/২৯৩২)।
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জলে ও স্থলে উভয় স্থানে নিম্নের দু‘আ পড়তেন (ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/২৬৯৭, সনদ হাসান; ফাতাওয়া শায়খ বিন বায ২৬/১৯৮ পৃঃ)।
سُبۡحٰنَ الَّذِیۡ سَخَّرَ لَنَا ہٰذَا وَ مَا کُنَّا لَہٗ مُقۡرِنِیۡنَ . وَ اِنَّاۤ اِلٰی رَبِّنَا لَمُنۡقَلِبُوۡنَ
‘পবিত্র-মহান সেই সত্তা যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না। আর নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী’ (সূরা যুখরুফ : ১২-১৪)। এরপর হাদীছে বর্ণিত দু‘আ পড়তেন (মুসলিম হা/১৩৪২)। অতএব বাস, ট্রাক, ট্রেন, বিমান, নৌকা, লঞ্চ, পানি জাহাজসহ যেকোন বাহনে ভ্রমণের সময় ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দু‘আ পাঠ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : মাহীদ, চট্রগ্রাম।