উত্তর : ফিতরা ঈদের ছালাতের পূর্বেই ফকীর-মিসকীনদের মাঝে বণ্টন করে দিতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৫০৩)। যদি কোন ফক্বীর-মিসকীন অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অন্য কেউ সেই মাল নিজের যিম্মায় নিয়ে নিবে এবং বণ্টন করে দিবে (ছহীহ বুখারী, হা/২৩১১; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৮/৩১৮ পৃ.)। ছালাতের মত যাকাতুল ফিতর আদায় করারও একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, আর তা হল- ঈদের ছালাতের পূর্বেই। সুতরাং ইচ্ছাকৃতভাবে সময় অতিবাহিত করলে অবশ্যই গুনাহগার হবে। অতএব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবিদারদের নিকট অধিকার পৌঁছানো অপরিহার্য (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৯/৩৭০-৩৭৩, ৮/২৫৮-২৬০ ও ৮/২৭১-২৭২ পৃ.)। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ঈদের ছালাতের পর পর্যন্ত যাকাতুল ফিতর বণ্টন করতে বিলম্ব করলে তার ফিতরা ক্ববুল হবে না। কেননা এটি এমন একটি ইবাদত যা নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সুতরাং কোন শারঈ অজুহাত ব্যতীত বিলম্ব করলে তার ফিতরা ক্ববুল হবে না। পক্ষান্তরে যদি কেউ ভুলে যায় কিংবা ঈদের রাত্রীতে ফক্বীর-মিসকীন না পায় সেটা ভিন্ন কথা’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল লিইবনে উছাইমীন, ১৮/২৭০-২৭৩ ও ১৮/২৬৫-২৬৮ পৃ.; লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, লিক্বা নং-১২৮)।
প্রশ্নকারী : সেলিম, মাদারীপুর।