উত্তর: তার হজ্জ বিশুদ্ধ হয়েছে তথা ফরয আদায় হয়ে গেছে। কিন্তু সে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-এর অবাধ্য হওয়ার কারণে গুনাগার হবে (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জওয়াব, ফৎওয়া নং-৬০৫৭)। আবূ সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
لَا يَحِلُّ لِاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا يَكُوْنُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلَّا وَمَعَهَا أَبُوْهَا أَوْ أَخُوْهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُوْ مَحْرَمٍ مِنْهَا
‘আল্লাহ ও আখিরাতের উপর যে সকল মহিলা ঈমান রাখে, তার সাথে তার পিতা অথবা তার ভাই অথবা তার স্বামী অথবা তার ছেলে অথবা তার কোন মাহরাম আত্মীয় না থাকলে সে সকল মহিলার জন্য তিন দিন বা তার বেশি সময় (একাকী) সফর করা বৈধ নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৪০)। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মুদ্দাকথা, যার নাম সফর তার থেকে নারীকে বারণ করা হবে স্বামী অথবা মাহরাম ব্যতীত, হোক সেটা তিন দিন অথবা দু’দিন অথবা এক দিন এক রাত অথবা এক সকাল অথবা অন্য কিছু। কারণ, ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞার হাদীছটি ব্যাপক, তাতে নির্দিষ্ট কোন সময়ের উল্লেখ নেই, যা মুসলিমের অত্র অধ্যায়ের সর্বশেষ হাদীছ হল- ‘মাহরাম ব্যতীত নারী সফর করবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৬৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৮২৭; মুসনাদে আহমদ, ৩/৭১; ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) শারহু ছহীহ মুসলিম, ৯/১০৩ পৃ.)।
এখন তার করণীয় হলো আল্লাহর নিকট তাওবা এবং ইস্তেগফার করা।
প্রশ্নকারী : রেজা, সিরাজগঞ্জ।