উত্তর : উক্ত দাবী ভিত্তিহীন। সেই সাথে উক্ত হাদীছ পেশ করে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর। সালাফী বিদ্বানগণ কেউ এ ধরনের ব্যাখ্যা করেননি। মূলত উক্ত হাদীছের অর্থ হল, মুসলিম খলীফার কাছে বায়‘আত না করা এবং জামা‘আত থেকে বেরিয়ে যাওয়া। যেমন ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ হিঃ) বলেন,
فَقَدْ ذَكَرَ ﷺ الْبُغَاةَ الْخَارِجِينَ عَنْ طَاعَةِ السُّلْطَانِ وَعَنْ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ
‘রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উক্ত হাদীছে ঐ সমস্ত বিদ্রোহীদের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, যারা (মুসলিম) শাসকের আনুগত্য ও মুসলিম জামা‘আত থেকে বেরিয়ে গেছে’ (ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ২৮/৪৮৭ ও ৩৫/১৩ পৃঃ)। ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে বলেন,
واعلم أن الوعيد المذكور إنما هو لمن لم يبايع خليفة المسلمين وخرج عنهم وليس كما يتوهم البعض أن يبايع كل شعب أو حزب رئيسه بل هذا هو التفرق المنهي عنه في القرآن الكريم
‘জেনে নিন যে, উক্ত শাস্তি কেবল তার জন্য, যে ব্যক্তি মুসলিমদের খলীফার কাছে বায়‘আত করেনি এবং তাদের থেকে বের হয়ে গেছে। আর এর অর্থ সেটা নয়, যা কিছু লোক ধারণা করেছে যে, প্রত্যেক গোত্রের লোক বা দলের অনুসারীরা তার নেতার কাছে বায়‘আত করবে; বরং এটা ফের্কাবাজি, যা কুরআনুল কারীমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে’ (সিলসিলা ছহীহাহ (সংক্ষিপ্ত) হা/৯৮৪-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। এ বিষয়ে শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
هذه البيعة باطلة ولا يجوز فعلها لأنها تفضي إلى شق العصا ووجود الفتن الكثيرة
‘এই বায়‘আত বাতিল। এটা করা জায়েয নয়। কারণ এটা ঐক্য বিনষ্ট করার পথ প্রশস্ত করবে এবং অধিক ফেৎনা সৃষ্টি করবে’ (শায়খ বিন বায, মাজমূউ ফাতাওয়া ২৮/২৫১ পৃঃ)।
প্রশ্নকারী : আতীকুর রহমান, খুলনা।