উত্তর : এটি আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ নিদর্শন। যেমন মরার পর মানুষের বৈশিষ্ট্য হল- পচে-গলে মাটির সাথে মিশে যাওয়া। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা ফিরাউনকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় রাখবেন। এতে ফিরাউনের কোন কৃতিত্ব আছে কি? বরং সবটাই আল্লাহর ক্ষমতা। অনুরূপভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে সাজদাহ করা হারাম। অথচ আল্লাহর আদেশেই ফেরেশতারা আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সাজদাহ করেছিলেন। আল্লাহর আদেশে ঘটনাটি ঘটার ফলে এটি শিরক নয়। ঠিক তেমনি আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কেউ-ই স্বেচ্ছায় জান্নাত বা জাহান্নামে চিরস্থায়ী হতে পারবে না। আর তাদেরকে তো একটা জীবন শেষ করার পর পরবর্তী জীবনে চিরস্থায়ী করা হবে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা প্রথম লগ্ন থেকেই চিরস্থায়ী। আর তাঁর চিরস্থায়ী হওয়ার ব্যাপারে কারোর অনুমতির প্রয়োজন নেই। তিনি নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারা কী করে তাঁর সমতুল্য হতে পারে যাদেরকে তিনি নিজে চিরস্থায়ী করেছেন? (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-২২৯২৩৪৫)।
তাই কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ থেকে স্পষ্ট দলীল পাওয়ার পর কোন যুক্তি পেশ করা উচিত নয়। ধারণার বশবর্তী হয়ে কোন কথা বলা জায়েয নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
وَ لَا تَقۡفُ مَا لَیۡسَ لَکَ بِہٖ عِلۡمٌ ؕ اِنَّ السَّمۡعَ وَ الۡبَصَرَ وَ الۡفُؤَادَ کُلُّ اُولٰٓئِکَ کَانَ عَنۡہُ مَسۡـُٔوۡلًا
‘যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে’ (সূরা বানী ইসরাঈল : ৩৬)। কেননা উছূলে ফিক্বহ বা ইসলামী শরী‘আতের স্থিরীকৃত নীতিমালা সমূহের মধ্যে রয়েছে যে, لا اجتهاد مع النص ‘স্পষ্ট দলীল থাকতে ইজতিহাদ বা ক্বিয়াস চলবে না’। তাই এই প্রকারের ক্বিয়াসকে আলেমগণ ভ্রান্ত, অকেজো ও বিকৃত ক্বিয়াস হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩২৭৮৭ কুয়েতী ফিক্বাহ বিশ্বকোষ, ৪১/২৪৮; আরশীফ মুলতাক্বা আহলিল হাদীছ, ১১২/৪৯৮ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : কালিমুল্লাহ, গুরুদাসপুর, নাটোর।