উত্তর : সূদ দেয়া এবং নেয়া উভয়ই কাবীরা গুনাহ। সূদী ঋণ নিয়ে যে ব্যবসা হয়েছে সেটিও গর্হিত অন্যায়। তবে তওবার নিয়তে উক্ত এনজিও সংস্থার টাকা পরিশোধ করে ফেললে সেই ব্যবসাতে কোন সমস্যা নেই। এটা ঘটেছে একান্তই না জানার কারণে। আর এ অবস্থায় ফিরে আসলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল (ﷺ) বলেন, إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِى الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوْا عَلَيْهِ ‘আল্লাহ্ আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে করতে বাধ্য হয়েছে’ (ইবনু মাজাহ, হা/২০৪৫, সনদ হাসান)। সূদের এই পাপ থেকে সবারই বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, الرِّبَا سَبْعُوْنَ حُوبًا، أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ ‘সূদের গুনাহর সত্তরটি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা’ (ইবনু মাজাহ, হা/২২৭৪; বায়হাক্বী, হা/৫১৩১; মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন, হা/২২৫৯)। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكِلَ الرِّبَا وَمُوْكِلَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَكَاتِبَهُ ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূদখোর, সূদদাতা সূদের সাক্ষীদ্বয় ও সূদের (চুক্তি বা হিসাব) লেখককে অভিসম্পাত করেছেন’ (তিরমিযী, হা/১২০৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮)।
প্রশ্নকারী : শিমুল, জয়পুরহাট।