উত্তর : রাসূল (ﷺ) ঈদুল আযহার দিন ও তার পরে আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন (জিলহজ্ব মাসের ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ- মোট চার দিন) সব ধরনে ছিয়াম রাখা নিষেধ করেছেন। তবে তিন শ্রেণীর মানুষ এই তিন দিন ছিয়াম রাখতে পারবে। এগুলো হজ্জের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন- (ক) তামাত্তু অথবা কিরান হজ্জকারী ব্যক্তি যদি কুরবানী দিতে না পারেন, তাহলে তিনি দশটি রাখবেন। মক্কায় থাকা অবস্থায় আইয়ামে তাশরীকের তিন দিনে তিনটি রাখবেন এবং বাড়ীতে ফেরার পর সাতটি রাখবেন (সূরা বাকারা: ১৯৬)। ইচ্ছা করবেল ১০ তারিখের পূর্বের তিনদিনও রাখতে পারবে।
(খ) কেউ যদি ইহরাম বাঁধার পর নিষিদ্ধ কাজগুলোর মধ্যে কোন একটি করে ফেলেন, তাহলে তাকে ফিদিয়া দিতে হবে। আর ফিদিয়া হল, একটি দম তথা একটি ছাগল/দুম্বা জবাই করে হারামের সীমানার মধ্যে দরিদ্র লোকদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে। সেখান থেকে নিজে কিছুই খেতে পারবে না। কিন্তু কেউ যদি দম দিতে না পারে তাহলে তাকে আইয়ামে তাশরীকের তিনদিন তিনটি ছিয়াম রাখতে হবে। অথবা ছয়জন গরীব-অসহায় মানুষকে খাদ্য দান করবে। প্রত্যেককে দেড় কেজি পরিমান খাদ্য প্রদান করবে (সূরা বাকারাহ ১৯৬; বুখারী হা/১৮১৪)।
(গ) কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের কোন ওয়াজিব পরিত্যাগ করে, তাহলে তাকে একটি দম দিতে হবে। তবে দম দিতে না পারলে দশটি ছিয়াম রাখবে। তিনটি মক্কায় আইয়ামে তাশরীকের তিনদিন ছিয়াম রাখবে আর সাতটি বাড়ি ফিরে আসার পর রাখবে (বুখারী হা/১৬৯১)।
প্রশ্নকারী : রহমাতুল্লাহ, সিলেট।