বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
উত্তর : প্রাণীর আকৃতির পুতুল খেলনা হিসাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ এগুলো মূর্তি সদৃশ। অনেকেই আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর পুতুল নিয়ে খেলা করার হাদীছটি পেশ করে বৈধ বলতে চান (ছহীহ বুখারী, হা/৬১৩০; মিশকাত, হা/৩২৪৩)। অথচ তা ঠিক নয়। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু জামীল যাইনু (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বাড়ীতে মাটি দিয়ে নিজ হাতে এই পুতুল বানিয়েছিলেন। অতএব এভাবে মাটির পুতুল বানিয়ে তাকে কাপড় পরানো ও সেবাযত্ন করার মাধ্যমে মেয়েরা ভবিষ্যতে সন্তান পালনের প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এতে দোষ নেই। কিন্তু এই অজুহাতে বাজার থেকে বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতির খেলনা পুতুল কিনে আনা জায়েয নয়। কেননা এটি একদিকে অপচয়, অন্যদিকে যদি বিদেশী কোম্পানীর খেলনা হয়, তবে তা আরো নিষিদ্ধ। কেননা এই সুযোগে মুসলিমদের পয়সা অমুসলিম দেশ সমূহে চলে যায় (তাওজীহাত ইসলামিয়্যাহ, পৃ. ১১২)। তাছাড়া বর্তমানে ছেলে মেয়ে ছোট-বড় প্রায় সবার মাঝেই মূর্তি সদৃশ এই পুতুল পূজার প্রভাব দেখা দিচ্ছে। শায়খ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘খেলনা পুতুল থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কেননা এখানে দু’টি সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, (এক) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর অনুমতি দেয়ার ঘটনাটি ছবি-মূর্তি নিষিদ্ধ হওয়ার এবং এগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার সাধারণ নির্দেশের পূর্বের ঘটনা (ফাৎহুল বারী, ১০ম খণ্ড, পৃ. ৫২৭; ইবনু বায, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২২)। (দুই) এটি নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত একটি খাছ বিষয়। কেননা পুতুল খেলা এক ধরনের হীনকর কাজ। দু’টিকেই দু’দল বিদ্বান সমর্থন করেছেন। সেকারণে সন্দেহ থেকে বাঁচার জন্য এগুলো থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ ‘তুমি সন্দেহযুক্ত বিষয় পরিত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত বিষয়ের দিকে ধাবিত হও’ (তিরমিযী, হা/২৫১৮; নাসাঈ, হা/৫৭১১; মিশকাত, হা/২৭৭৩, সনদ ছহীহ)। তিনি আরো বলেন, وَمَنْ وَقَعَ فِى الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِى الْحَرَامِ ‘যে ব্যক্তি সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হল, সে হারামে পতিত হল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৯; আবূ দাঊদ, হা/৩৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬২; ইবনু বায, মাজমূ‘ঊ ফাতাওয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২২২)।

প্রশ্নকারী : আনোয়ারুল ইসলাম, মাগুরা।




প্রশ্ন (৭): ন্যায়পরায়ণ মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি বিড়ি-সিগারেট, গুল, জর্দা পান করবে তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল হবে না। তিনি দলীল হিসাবে ইবনু মাজাহর ৩৩৭৭ নং হাদীছ পেশ করেছেন। উপরিউক্ত নেশাদার দ্রবগুলোর প্রেক্ষিতে উক্ত দলীল পেশ করা যুক্তিযুক্ত হয়েছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : জন্মদিন লিখে কেক তৈরি করা ও তা বিপণন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কেউ যদি কোন ছালাতের জামা‘আতে এক রাক‘আত পেয়ে যায়, তাহলে সে উক্ত ছালাত পেয়ে গেল; এমনকি সে পুরো ছালাতই পেয়ে গেল (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮০; ছহীহ মুসলিম, হা/৬০৭; মিশকাত, হা/১৪১২)। প্রশ্ন হল- ২, ৩ অথবা ৪ রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের বাকী রাক‘আতগুলো কি পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : এক ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগীতে খুব ভাল এবং সুন্নাত অনুসরণে অধিক আগ্রহী। কিন্তু কিছু ওযর থাকার কারণে সে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। বরং বিয়ে করলে কাবীরা গুনাহ করার সম্ভাবনা বেশি। এখন এই ভাইয়ের চেয়ে যিনি বিয়ে করেছেন তিনিই কি আল্লাহর কাছে উত্তম হবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, যে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ পাঠ করে তার জন্য সত্তর জন ফেরেশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ইসলামের দৃষ্টিতে আদর্শ পোশাকের বৈশিষ্ট্য কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : দীর্ঘ মেয়াদী ঋণী ব্যক্তি কি হজ্জ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : পিতার চার কন্যা সন্তান, কোন ছেলে নেই। সে কি তার সমস্ত সম্পত্তি চার কন্যা সন্তানের মধ্যে জীবিত থাকাকালে ভাগ করে দিতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : ফজরের আযানের পর মসজিদে গিয়ে সময় থাকলে মসজিদে প্রবেশের ২ রাক‘আত পড়া যাবে কি, না সরাসরি ২ রাক‘আত সুন্নাত পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : জনৈক ব্যক্তি বিজিবি কর্মকর্তা। ছালাত আদায়কালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চলে আসলে তিনি ছালাত বাদ দিয়ে স্যালুট জানাবেন, না-কি ছালাত শেষ করে তাকে স্যালুট জানাবেন? উল্লেখ্য যে, স্যালুট জানাতে বিলম্ব হলে চাকরীচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামে মসজিদ বা অন্য কোথাও দান-ছাদাক্বাহ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ