উত্তর : এ ধরনের সূদী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সূদকে হারাম করেছেন (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭৫-২৭৯)। এছাড়া সূদখোরদের প্রতি আল্লাহ রাসূল (ﷺ) অভিশাপ করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৭-১৫৯৮)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘গীর্জাঘর, মদের কারখানা বা দোকান, সিনেমা হল, সূদী ব্যাংক বা এই ধরনের যেকোন অবৈধ জায়গায় চাকুরী করা নাজায়েয’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ১৪/৪৮১ পৃ.)। এটা ঐ সূদী সংস্থাকে এক প্রকারের সাহায্য করা হচ্ছে, অথচ আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং কঠোর শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভাল কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২ পৃ.; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)। যেহেতু ব্যাংকিং অথবা নেট ব্যাংকিং ব্যবস্থার সমস্ত কর্মপদ্ধতি হারাম এবং সূদের অন্তর্ভুক্ত তাই আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোনাভাবেই সহযোগিতা করা যাবে না।
প্রশ্নকারী : সাব্বির আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।