উত্তর : সূদি ব্যাংকে কাজ করা নিষিদ্ধ। যদিও তা সরাসরি সূদ-ভিত্তিক লেনদেনের সাথে জড়িত নাও হয়। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রহরী বা চালক হিসাবেও কাজ করা জায়েয নয়। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘চালক বা প্রহরী হয়েও সূদ ভিত্তিক সংস্থার পক্ষে কাজ করা বৈধ নয়। কারণ সূদ ভিত্তিক সংস্থার সাথে চাকুরি গ্রহণের অর্থ এই যে, আপনি তাদের অনুমোদন করেছেন। কেননা যে ব্যক্তি কোন কিছুকে নিন্দা করে, সে তার স্বার্থে কাজ করতে পারে না। যদি সে তা করে তবে তাতে তার অনুমোদন রয়েছে বলেই ধরা হবে। অতএব যে ব্যক্তি হারামের কোন কাজ অনুমোদন করে, সে তার গুনাহের অংশীদার হয়। আর যারা সরাসরি লেনদেন লিখা-লিখি, অর্থ হস্তান্তর, অর্থ জমা করা ইত্যাদির সাথে জড়িত, তারা নিঃসন্দেহে হারামের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীছ থেকে প্রমাণিত যে, لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ ‘সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের লেখক এবং সাক্ষীদ্বয়কে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তারা সকলেই সমান (গুনাহগার)’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮; মিশকাত, হা/২৮০৭; ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০১)।
ব্যাংকের নাইট গার্ড হিসাবে কাজ করা যাবে কিনা মর্মে ‘সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি’র কাছে জিজ্ঞেস করা হলে, তারা জবাবে বলেন, ‘সূদি ব্যাংকে নাইট গার্ড বা প্রহরী হিসাবে কোন মুসলিমের কাজ করা বৈধ নয়। কারণ এটি পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতার শামিল। আর আল্লাহ বলেন, وَ لَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ ‘তোমরা পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সাহায্য করবে না’ (সূরা আল মায়েদাহ : ২)।
বেশিরভাগ ব্যাংক সূদ নিয়ে কাজ করে। সুতরাং আপনাকে এ পথ ত্যাগ করে জীবিকা উপার্জনের হালাল উপায় অনুসন্ধান করতে হবে’ (ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪০১-৪০২)। ইলেক্ট্রনিক্স সংস্থার রক্ষণাবেক্ষণ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করা যাবে কিনা মর্মে ‘ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আল-দায়েমাহ’-কে জিজ্ঞেস করা হলে, তারা জবাবে বলেন, ‘আপনার বর্ণিত সংস্থাগুলোর পক্ষে কাজ করা আপনার পক্ষে অনুমোদিত নয়, কারণ এতে পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করা হয়’ (ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আল-দায়েমাহ, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ১৮)।
প্রশ্নকারী : সাজিদ আলম, সাতক্ষীরা।