সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
উত্তর : একজন আদর্শ মুসলিমের উচিত ইসলামী বিচারালয়ে ওয়াকালতি ও আইনজীবীর কাজ করা, যেখানে যাবতীয় বিচার-ফয়সালা ইসলামী আইন অনুযায়ী হবে। মানবরচিত আইনের আওতায় থেকে অনৈসলামী পদ্ধতিতে বিচারব্যবস্থা পরিচালনা করা উচিত নয়। পরন্তু বিশেষ প্রয়োজনে জায়েয। যেমন যেখানে ইসলামী বা শারঈ বিচারব্যবস্থা নেই। দ্বিতীয়তঃ একজন আইনজীবী বা প্রসিকিউটর (prosecutor) হিসাবে কাজ করার ও মামলার তদন্ত করার উদ্দেশ্য যদি সত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং মিথ্যাকে প্রতিহত করা হয়, প্রকৃত মালিকের নিকট তার প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং মাযলূম ও নিপীড়িতদের সাহায্য করা হয়, তাহলে তা বৈধ। কারণ এটি সততা ও আল্লাহভীরুতায় সাহায্য করার অন্তর্ভুক্ত এবং এই কাজের জন্য ন্যায্য পারিশ্রমিক নেয়াও জায়েয। অপরদিকে যদি উদ্দেশ্য অসৎ হয়, (যেমন সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানানো, ঘুষের নামে গরীব ও দুঃস্থদের বিষয়সম্পত্তি আত্মসাৎ করা ইত্যাদি) তাহলে তা জায়েয হবে না। কেননা তা অন্যায় ও পাপাচারে সহযোগিতা করার অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পর সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)।

তৃতীয়তঃ যদি এমন কোন ব্যক্তি মানবরচিত আইন অধ্যয়ন করতে চায়, যার মেধাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা আছে, আর সে তার মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করে এবং তার আছে ইসলামী জ্ঞানে পরিপক্কতা ও সুদৃঢ়তা যার মাধ্যমে সে ন্যায়নীতি ও সত্যবাদিতা হতে বিচ্যুত হওয়া থেকে এবং মিথ্যা প্রলোভনে প্রভাবিত হওয়া থেকে নিরাপদে থাকে। এই অধ্যয়নের উদ্দেশ্যই হল, ইসলামী বিধি-বিধানের সঙ্গে মানবরচিত বিধি-বিধানের তুলনা করা, অতঃপর ইসলামী বিধি-বিধানের কল্যাণকর ও সুবিধাজনক দিকগুলো জনসম্মুখে স্পষ্ট করা এবং মানুষের ধর্মীয় ও জাগতিক সুবিধার্থে এর প্রয়োজনীয়তার ব্যাখ্যা করা। সর্বোপরি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ও মিথ্যাকে প্রতিহত করার জন্য এই শিক্ষা অর্জন করা বৈধ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১২তম খণ্ড, পৃ. ১৩৬-১৩৭ এবং ২৩তম খণ্ড, পৃ. ৫০২)।

শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আইনজীবী বা ওয়াকালতি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগ থেকে শুরু করে আমাদের যুগ পর্যন্ত বিদ্যমান। ওয়াকালতি করা দোষনীয় নয়। যদি আইনজীবী আল্লাহভীরু হয় এবং বাদী অথবা বিবাদীকে মিথ্যা, মনগড়া মানবরচিত মামলা দ্বারা সাহায্য না করে, তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দার্ব, ইবনু বায অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, https://binbay.org.sa/fatwas/10658)।


প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা।





প্রশ্ন (৩৮) : শবে মি‘রাজ উপলক্ষে ছিয়াম পালন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : মসজিদে একই কাতারের বাম পাশ অপেক্ষা ডান পাশে বসা বা ছালাত আদায় করার মধ্যে বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : সমাজের একশ্রেণীর মানুষ বিশ্বাস করে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কবর থেকে সালামের উত্তর দেন। এমনকি কখনো হাত বের করে দেন। উক্ত বিশ্বাস কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : মসজিদের জন্য দান বাক্স নির্মাণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১): কোন্ কোন্ দিন ছিয়াম পালন করা নিষেধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৯) : জীবিত থাকাবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ না করে, তাহলে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তা পরিশোধ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : স্ত্রীর মোহর আদায় না করেই স্বামী মারা গেছেন। এখন করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : চাকুরীর বাধ্যবাধকতার কারণে পানি থাকা সত্ত্বেও হাত ও মুখে কসমেটিকস থাকায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : আমি আমার এক বন্ধুকে ব্যবসা করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছি। শর্ত হল- এই টাকা দিয়ে সে ব্যবসা করবে, তার ব্যবসার মোট মূলধন ১০ লক্ষ এবং আমার ৫ লক্ষ মোট ১৫ লক্ষ টাকা। শর্ত হল- ব্যবসায়ে মাসে যা ইনকাম হবে তার তিন ভাগের দুই ভাগ পরিচালনা খরচ অর্থাৎ কর্মচারীর বেতন, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি বাবদ কর্তন হবে। বাকি তিন ভাগের এক ভাগ ১৫ লক্ষ টাকার আনুপাতিক হারে আমার ৫ লক্ষ টাকার মুনাফা পাব। যেমন মাসের লাভ হল ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকা পরিচালনা খাত অর্থাৎ বেতন, ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি বাবদ। বাকি ১৫০০০ টাকার ভাগ হবে, তাহলে আমি পাব ৫০০০ টাকা। যেহেতু আমার মূলধন ৫ লক্ষ আর সে পাবে ১০০০০। যেহেতু তার মূলধন ১০ লক্ষ, প্রশ্ন হল- উক্ত পদ্ধতিতে ব্যবসা করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জনৈক খতীব বলেছেন, খাদীজা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর ইন্তেকাল হলে তার কবরের জবাব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দিতে চাইলে না-কি স্বয়ং আল্লাহ নিজেই তার কবরের জবাব দিয়েছেন। উক্ত ঘটনাটা কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য কোন গাছের  শিকড় মাদুলীর মধ্যে ঢুকিয়ে গলায় ঝুলিয়ে ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : মিশকাতের ২৯৯০ নং হাদীছ অনুযায়ী বুঝা যায় যে, কুরআন পড়িয়ে টাকা নেয়া হারাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অথবা ছাহাবীগণ কি কুরআন পড়িয়ে হাদিয়া নিতেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ