উত্তর : মিশকাতে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আত-তামহীদ, ২১/১৪১ পৃ.)। তাছাড়া উক্ত হাদীছে হাদিয়ার কথা বলা হয়েছে বেতনের কথা বলা হয়নি। তাই কুরআন-হাদীছ পড়িয়ে বেতন গ্রহণ করা করা শরী‘আত সম্মত। যেমন হাদীছে এসেছে, ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর ছাহাবীদের একটি দল একটি কুয়ার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। কূপের পাশে অবস্থানকারীদের মধ্যে ছিল সাপে কাটা এক ব্যক্তি কিংবা তিনি বলেছেন, দংশিত এক ব্যক্তি। তখন কূপের কাছে বসবাসকারীদের একজন এসে তাদের বলল, আপনাদের মধ্যে কি কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? কূপ এলাকায় একজন সাপ বা বিচ্ছু দংশিত লোক আছে। তখন ছাহাবীদের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বকরী দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন। ফলে লোকটির রোগ সেরে গেল।
এরপর তিনি ছাগলগুলো নিয়ে তাঁর সাথীদের নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁরা কাজটি পসন্দ করলেন না। তাঁরা বললেন, আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক নিয়েছেন। অবশেষে তাঁরা মদীনায় পৌঁছে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক গ্রহণ করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে সকল জিনিসের উপর তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক, তন্মধ্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের (ছহীহ বুখারী. হা/৫৭৩৭)। কুরআন শিক্ষার বিনিময়ে বেতন গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ﷺ) কুরআনের বিনিময়ে এক ছাহাবীর বিয়ে দিয়েছেন...’ (ফাতওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমা, ১৫/৯৬ পৃ.)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘কুরআন শিক্ষার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করাতে কোন সমস্যা নেই’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনে বায, ৫/৩৬৪-৩৬৫ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আলফাজ, ছাকান মার্কেট, পাবনা।