উত্তর : যেনা একটা নোংরা ও বেহায়াপনা কাজ এবং কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। যা সমাজ ও জাতি নষ্টের উন্নতম বড় মাধ্যম। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে যেনাকারী ও যেনাকারিণীর শাস্তির বিধান হল অবিবাহিত হলে একশ’ বেত্রাঘাত ও দেশান্তর (সূরা আন-নূর: ২)। বিবাহিত হলে রজম (মৃত্যুদণ্ড) করা (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৪২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৯১)। যদি ইসলামী শাসন ব্যবস্থা থাকে এবং যেনাকার নিজে স্বীকার করে অথবা স্বাক্ষী উপস্থিত থাকে। পক্ষান্তরে যদি তার বিষয়ে কাউকে না জানায় নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে এবং নিজে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট তওবা করে তাহলে আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমা করতে পারেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা শিরকের গুনাহ ব্যতীত অন্যান্য গুনাহ যাকে খুশি তাকে ক্ষমা করে দেন। যেমন তিনি বলেন, اِنَّ اللّٰهَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِهٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তার সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন’ (সূরা আন-নিসা: ৪৮)। এছাড়া আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ ‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং তাদেরকেও ভালোবাসেন যারা পবিত্র থাকে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২২২)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, আসাম, ভারত।